টুনা মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

টুনা মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা টুনা মাছ খাওয়ার ফলে শরীরের নানা উপকার হয়ে থাকে। তাই এই মাছ সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

টুনা-মাছ-চেনার-উপায়
টুনা মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা টুনা মাছের যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ টুনা মাছের যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন 

টুনা মাছ চেনার উপায়

টুনা মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা টুনা মাছ চেনার যাবতীয় উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • টুনা মাছ চেনার জন্য আপনারা এর আকার বা গঠনের দিকে নজর দিতে পারেন। টুনা মাছ সাধারণত মাঝারি আকৃতির হয়ে থাকে। একই সঙ্গে এই মাছ অনেক বড় আকারেরও হতে দেখতে পাওয়া যায়। এই মাছকে ভালোভাবে চেনার জন্য এর ওজনের দিকে নজর রাখা যেতে পারে। একটি টুনা মাছ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। এদের শরীর অনেক লম্বা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই মাছটিকে দেখতে কিছুটা পুরু আকৃতির দেখায়। সেই সঙ্গে এর গঠন বলিষ্ঠ হয়ে থাকে।
  • টুনা মাছকে ভালোভাবে চেনার জন্য এর রং এর দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। এই মাছের উপর অংশ দেখতে ধূসর রঙের হয়ে থাকে। এছাড়াও এটিকে নীলচে বর্ণের ও দেখতে পাওয়া যায়। আবার এর নিচের অংশ দেখতে অনেকটা রূপালী বর্ণের হয়ে থাকে। রূপালী বর্ণ ছাড়াও সাদাটে বর্ণেরও হতে দেখা যায়। এই মাছের শরীর শক্ত ধরনের হয়ে থাকে। সেই সাথে এই মাছে মসৃণ আঁশ দেখতে পাওয়া যায়।
  • টুনা মাছকে আরো ভালোভাবে চেনার জন্য এর লেজের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। এর লেজ অনেকটা কাঁচির মত হয়ে থাকে। কাঁচি যেমন দ্বিখন্ডিত এবং তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি টুনা মাছের লেজও এরকম হয়ে থাকে। এই মাছের পিঠের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যাবে দুইটি আলাদাভাবে পাখনা রয়েছে।
  • টুনা মাছের মাথার দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায় এর মাথা তুলনামূলকভাবে ছোট আকৃতির এবং এর চোখ অনেক বড় হয়ে থাকে। এর মুখের অংশের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায় তীক্ষ্ণ আকৃতির হয়ে আছে।
  • টুনা মাছ সাধারণত অনেক দ্রুতগতির হয়ে থাকে। একই সঙ্গে এই মাছ সমুদ্রের পানির অনেক গভীরে সাঁতার কাটতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এই মাছকে সমুদ্রে দল নিয়ে চলতে দেখা যায়। এই মাছের মাংস সাধারণত কম তেল যুক্ত হয়ে থাকে। এই উপসর্গ গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন এটি টুনা মাছ।

টুনা মাছের উপকারিতা

টুনা মাছের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা টুনা মাছের যাবতীয় উপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক।টুনা মাছ খাওয়ার ফলে নানা ধরনের উপকারিতা সাধিত হয়ে থাকে। এ সকল উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপকারিতা হলো ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা।

টুনা মাছ খাওয়ার ফলে কম ক্যালরি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে এটি প্রচুর পরিমানে প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি খাওয়ার ফলে সহজে ক্ষুধা লাগে না। আর ক্ষুধা না লাগার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। এছাড়াও টুনা মাছে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান। এই উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিংক, সেলেনিয়াম ইত্যাদি।

এই উপাদান গুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও টুনা মাছ খাওয়ার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়ে থাকে। যেহেতু টুনা মাছ খাওয়ার ফলে শরীরে অধিক মাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই এটি দেহকে শক্তি যোগাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও টুনা মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ নামক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

এই উপাদানটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও টুনা মাছে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি। এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। টুনা মাছ খাওয়ার ফলে এ সকল উপকারিতা গুলো পাওয়া যায়। 

টুনা মাছ খাওয়ার নিয়ম

টুনা মাছ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। আজকের এই পর্বে আমরা টুনা মাছ কিভাবে খেলে ভালো হয় সে সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। টুনা মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যকর। তবে এটি নিয়ম মেনে খেলে এর সম্পূর্ণ উপকারিতা গুলো পাওয়া সম্ভব হয়।

টুনা মাছে যেহেতু পারদ রয়েছে। সেহেতু এটি কম পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। টুনা মাছ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার খাওয়া নিরাপদ হবে। এতে কোন ক্ষতি হবে না। টুনা মাছ সাধারণত গর্ভবতী নারীদের জন্য কিংবা শিশুদের জন্য না খাওয়াই ভালো হবে। আর খেলেও এক থেকে দুই বার সপ্তাহে খেতে পারে।

সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এটি রান্না করে খাওয়ার জন্য সতেজ টুনা মাছ সংগ্রহ করতে হবে। তারপর এটিকে গ্রিল করে অথবা সেদ্ধ করে রান্না করতে হবে। এটি রান্না করার সময় অতিরিক্ত পরিমাণে তেল কিংবা মসলা ব্যবহার করা যাবে না। যেসব ব্যক্তিরা উচ্চ রক্তচাপের রোগী রয়েছে কিংবা কিডনি রোগে আক্রান্ত রয়েছে।

তাদের জন্য টুনা মাছ খাওয়া নিরাপদ নয়। তারপরও এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে। এই নিয়মগুলো মেনে টুনা মাছ খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে টুনা মাছ চেনার উপায় এবং টুনা মাছের উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। 

টুনা মাছের কাবাব রেসিপি

টুনা মাছের কাবাব রেসিপি সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা টুনা মাছের কাবাব রেসিপি কিভাবে বাড়িতে বসেই তৈরি করতে পারবেন তা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

টুনা মাছ নিতে হবে ২০০ গ্রাম

একটি সেদ্ধ আলু নিতে হবে

পেঁয়াজের কুচি নিতে হবে

কাঁচা মরিচ নিতে হবে

ধনেপাতা নিতে হবে

ব্রেডক্রাম্ব নিতে হবে

লেবুর রস নিতে হবে

ডিম নিতে হবে

জিরা গুড়া নিতে হবে

লবণ নিতে হবে

গরম মসলা নিতে হবে

আদা রসুন বাটা নিতে হবে

যেভাবে প্রস্তুত করতে হবেঃ

এজন্য প্রথমে আপনাদের টুনা মাছ থেকে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর সেদ্ধ আলুর সঙ্গে মিস করে নিতে হবে। এরপর আপনাদের পেঁয়াজ, লেবুর রস, কাঁচামরিচ, মসলা, ধনেপাতা সহ উপরের সবগুলো উপকরণগুলো প্রয়োজনমতো দিয়ে সবগুলোকে একসঙ্গে করে কাবাব যেরকম হয় সেরকম আকার দিয়ে দিতে হবে।

এরপর ডিমে কাবাবগুলো ভালোভাবে চুবিয়ে নিতে হবে। তারপর আপনারা ব্রেডক্রাম্ব এর উপর কাবাব গুলোকে ভালোভাবে গড়িয়ে গড়িয়ে ব্রেডক্রাম্ব ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এটি এজন্যই লাগিয়ে নিতে হবে যাতে করে কাবাবের গায়ে লেয়ার জমে এটি খেতে অনেক মচমচে লাগে সেই জন্য। এরপর আপনারা এই কাবাব টিকে গরম তেলে ছেড়ে দিন।

যতক্ষণ না এটি সোনালী আকার রং ধারণ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত এটিকে ভাজতে থাকুন। এরপর এটি যখন পুরোপুরি সোনালী আকার রং ধারণ করে ভাজা হয়ে যাবে। তখন এর সাথে আপনারা সস কিংবা চাটনি লাগিয়ে খেতে পারেন। এভাবে আপনারা খুব সহজে ঘরে বসেই টুনা মাছের কাবাব তৈরি করে নিতে পারেন।

টুনা মাছ কোথায় পাওয়া যায়

টুনা মাছ কোথায় পাওয়া যায় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা টুনা মাছ কোথায় পাওয়া যেতে পারে তা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক। টুনা মাছ সাধারণত আপনারা বড় বড় সুপার শপে হিমায়িত অবস্থায় পেতে পারেন।

টুনা-মাছ-কোথায়-পাওয়া-যায়
এছাড়াও আপনারা অনলাইনের বড় বড় মার্কেটপ্লেস থেকে টুনা মাছ সংগ্রহ করতে পারেন। এ সকল মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে অন্যতম হলো Daraz, HungryNaki ইত্যাদি। এছাড়াও আপনারা বাংলাদেশের সামুদ্রিক বাজার থেকে টুনা মাছ সংগ্রহ করতে পারেন।

সামুদ্রিক বাজার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুয়াকাটা, চট্টগ্রাম ইত্যাদি। এ সকল বাজারগুলো থেকে আপনারা খুব সহজে আপনাদের প্রয়োজন মতো টুনা মাছ সংগ্রহ করতে পারেন। আশা করছি আপনারা টুনা মাছ কোথায় পাওয়া যেতে পারে সেই সম্পর্কে আপনারা ধারণা পেয়েছেন।  

টুনা মাছের দাম কত

টুনা মাছের দাম কত এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা টুনা মাছের দাম কেমন হতে পারে তা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক। টুনা মাছ সাধারণত প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা করে বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়াও তিন কেজির সাইজের টুনা মাছ ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে এর দাম কমবেশি বিভিন্ন রকম হতে পারে। এছাড়াও এই মাছের দাম সময় অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হতে পারে। তবে এই মাছের দাম প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনারা এই মাছ কিনতে পারেন। এর মাছের রয়েছে নানা উপকারিতা।

যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা এই মাছটি বাজার থেকে কিনতে পারেন। যেহেতু এটি সামুদ্রিক মাছ। আর আপনারা জানেন সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কেমন ভূমিকা রাখতে পারে। আশা করছি আপনারা টুনা মাছের দাম কেমন হতে পারে তা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

টুনা মাছ কি সামুদ্রিক

টুনা মাছ কি সামুদ্রিক এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা টুনা মাছ সামুদ্রিক মাছ কিনা তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। হ্যাঁ, আপনারা যেটি ধারনা করছেন সেটি ঠিক। টুনা মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ। টুনা মাছের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি খুব দ্রুত সাঁতার কাটতে সক্ষম।

এই মাছটি সাধারণত সমুদ্রের পানির গভীরে চলাচল করে থাকে। এই মাছ সাধারণত ছোট মাছ এবং চিংড়ি খেতে ভালোবাসে। এই মাছ যে কোন শিকার ধরার জন্য বেশ পারদর্শী বলে জানা যায়। এই মাছ শিকার ধরার সময় তার শক্তিশালী দাঁত ব্যবহার করে থাকে। এই মাছে নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

এ সকল পুষ্টি উপাদানের মধ্যে অন্যতম হলো ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, অধিক প্রোটিন, ভিটামিন১২। এছাড়াও এই মাছ আয়রনের একটি ভালো উৎস। এজন্য এই মাছ খাওয়ার ফলে এই সকল পুষ্টি উপাদান গুলো শরীরে পাওয়া যায়। যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়।

একই সঙ্গে এটি খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এছাড়াও এটি দেহে শক্তি যোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে টুনা মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

টুনা মাছ কি প্রতিদিন খাওয়া ভালো

টুনা মাছ কি প্রতিদিন খাওয়া ভালো এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা টুনা মাছ প্রতিদিন খাওয়া ভালো হবে না হবে না সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। টুনা মাছ প্রতিদিন খাওয়া ভালো হবে কিনা তা নির্ভর করবে আপনি এটি কী পরিমাণ খাচ্ছেন তার উপর।

টুনা-মাছ-কি-প্রতিদিন-খাওয়া-ভালো
এই মাছের বেশ কিছু ভালো দিক রয়েছে। এসব ভালো দিকের মধ্যে অন্যতম হলো এটি অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ। যেমন এতে আয়রন, ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড, উচ্চ প্রোটিন রয়েছে। যার কারণে এটি খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও এটি কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় এবং বেসি প্রোটিন যুক্ত হওয়ায় এটি খাওয়ার ফলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

এছাড়াও এর বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এ সকল ক্ষতিকর দিকের মধ্যে অন্যতম হলো এতে থাকা বিষাক্ত পারদ। এজন্য এটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। এজন্য স্কিপজ্যাক টুনা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার খাওয়া নিরাপদ হতে পারে।

 এছাড়াও যেটি ব্লুফিন টুনা রয়েছে, সেটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সপ্তাহে একবার খাওয়া নিরাপদ হতে পারে। তাছাড়াও যারা গর্ভবতী মা রয়েছে বা শিশু রয়েছে তাদের এই মাছের বদলে যে সকল মাছে পারদের মাত্রা অনেক কম রয়েছে। সে সকল মাছ খাওয়া উচিত। আশা করছি আপনারা প্রতিদিন টুনা মাছ খাওয়া নিরাপদ হবে কিনা তা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

টুনা মাছ কি প্রোটিনের ভালো উৎস

টুনা মাছ কি প্রোটিনের ভালো উৎস এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা টুনা মাছ প্রোটিনের ভালো উৎস কিনা তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। হ্যাঁ, অবশ্যই টুনা মাছ প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। কেননা টুনা মাছ খাওয়ার ফলে এতে থাকা কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন দেহে পাওয়া সম্ভব হয়।

আপনারা যদি ১০০ গ্রাম টুনা মাছ রান্না করেন, তাহলে সেই টুনা মাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন অনাসেই  পেয়ে থাকবেন। এছাড়াও আপনারা পাবেন প্রায় ১৪৪ ক্যালোরি। প্রোটিনের পাশাপাশি এতে রয়েছে আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। এ সকল পুষ্টি উপাদানের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন১২ এবং সেলেনিয়াম।

এই উপাদান গুলো হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখার জন্য, রক্ত কণিকা উৎপন্ন করার জন্য এবং একই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেহেতু এই মাছে পারদ রয়েছে। তাই এটি অতিরিক্ত না খেয়ে সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনবার খেতে হবে। তাহলে এর উপকারিতা গুলো পাওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে টুনা মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা 

উপরের আলোচনা থেকে আমরা টুনা মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি টুনা মাছের উপকারিতা সম্পর্কেও। টুনা মাছ প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি খাওয়ার ফলে দেহের পেশী গঠন হয়ে থাকবে। এছাড়াও টুনা মাছ খাওয়ার ফলে শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেল পাওয়া সম্ভব হয়।

আর এর কারণে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং একই সঙ্গে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহু গুনে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যেহেতু এই মাছে পারদ রয়েছে সেহেতু এটি পরিমাণে অল্প খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়াও যাদের এই মাছ খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা তৈরি হবে। তারা এই মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।

আমি উপরের আলোচনায় টুনা মাছ খাওয়ার যাবতীয় উপকারিতা গুলো এবং অপকারিতা গুলো উপরের আলোচনায় বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়ার চেষ্টা করেন। তাহলে অবশ্যই এর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। আশা করছি এতে আপনাদের উপকার হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url