নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা নবায়নযোগ্য শক্তিকে আজকাল কাজে লাগিয়ে দৈনন্দিন জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করা অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে।

নবায়নযোগ্য-শক্তির-সুবিধা-ও-অসুবিধা
নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই নবায়নযোগ্য শক্তির যাবতীয় সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো বিস্তারিত জেনে যেতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ নবায়নযোগ্য শক্তির যাবতীয় গুনাগুন গুলো বিস্তারিত জেনে নিন

নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা

নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির যাবতীয় সুবিধাগুলো এবং অসুবিধা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধাগুলোঃ 
  • নবায়নযোগ্য শক্তির অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। এ সকল সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি সুবিধা হল জ্বালানির খরচ কম হতে সহায়তা করা। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগালে বিদ্যুতের খরচ অনেকাংশেই কমে যাবে। তাই বিদ্যুতের খরচ কমানোর জন্য আপনারা নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগাতে পারেন।
  • নবায়নযোগ্য শক্তির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল নতুন কাজের সৃষ্টি। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়। যার ফলে নতুন নতুন কাজের সৃষ্টি হয়। আর এর ফলে অনেক বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়ে থাকে।
  • নবায়নযোগ্য শক্তির আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো স্বাস্থ্য ভালো রাখা। অর্থাৎ সঠিকভাবে নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে পরিবেশ থেকে বায়ু দূষণ কমে যাবে। আর বায়ু দূষণ কমে গেলে শরীরের স্বাস্থ্য সঠিকভাবে বজায় থাকবে।
  • নবায়নযোগ্য শক্তির আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল দীর্ঘ মিয়াদে উন্নয়ন করা। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি মজুদ রাখা সম্ভব হবে। তাই নবায়নযোগ্য শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
  • নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমের পরিমাণ কমানো সম্ভব হবে। একই সাথে গ্রীন হাউজ গ্যাসের নির্গমনও বহু অংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। আর এই কাজটি করার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনেকাংশেই কমে যাবে।
নবায়নযোগ্য শক্তির অসুবিধাগুলোঃ
  • নবায়নযোগ্য শক্তির যেমন অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। ঠিক একইভাবে এর বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এ সকল অসুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্রযুক্তির অভাব। নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য ভালো মানের প্রযুক্তির দরকার হয়। কিন্তু ভালো মানের প্রযুক্তি সবার কাছে থাকে না। যা নবায়নযোগ্য শক্তির একটি ব্যর্থতা।
  • নবায়নযোগ্য শক্তির আরো একটি বড় ব্যর্থতা হলো প্রয়োজনের তুলনায় কম উৎপন্ন করা। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য শক্তি বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এটি কম বিদ্যুৎ উৎপন্ন করছে। যেটি মূলত জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় অনেক কম। আর এটি তাই নবায়নযোগ্য শক্তির একটি বড় ব্যর্থতা।
  • নবায়নযোগ্য শক্তির আরো একটি বড় ব্যর্থতা হলো এটিকে সহজে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। এছাড়াও এর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। একই সঙ্গে এর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো দীর্ঘমেয়াদে কাজে আসে না। যা নবায়নযোগ্য শক্তির আরো একটি বড় ব্যর্থতা।
  • নবায়নযোগ্য শক্তির আরো একটি বড় ব্যর্থতা হলো আবহাওয়ার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল হওয়া। অর্থাৎ আকাশের অবস্থা ভালো না থাকলে এটি সঠিক পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না। ফলে এই সময় প্রয়োজনীয় শক্তি পাওয়া সম্ভব হয় না। যা নবায়নযোগ্য শক্তির আরো একটি বড় ব্যর্থতা।

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। নবায়নযোগ্য শক্তির বেশ কয়েকটি উৎস রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি ইত্যাদি। অর্থাৎ এই শক্তিগুলো প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন করা সম্ভব হয়। আর এগুলো সহজে ব্যবহারযোগ্য। একই সঙ্গে এগুলো শেষ হয়ে যায় না। চলুন এবার শক্তিগুলো সম্পর্কে জেনে আসি।

  • সৌর শক্তিটি সূর্যের আলোর মাধ্যমে পাওয়া যেয়ে থাকে। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দৈনিক জীবনে নানা কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ সকল কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঘরবাড়ি, অফিস-আদালতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা ইত্যাদি। এছাড়াও এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেচ দেওয়া হয়ে থাকে।
  • বায়ু শক্তিটি উৎপন্ন করার জন্য খোলা জায়গার প্রয়োজন পড়ে। যেমন এটি হতে পারে সমুদ্রের কোন এক খোলা জায়গায় টারবাইনের সাহায্যে বাতাসের গতিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে। আর এই শক্তি নবায়নযোগ্য শক্তির একটি দুর্দান্ত উৎস বলে বিবেচিত হয়।

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণ কি

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণ কি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণ কি তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণের মধ্যে রয়েছে সূর্যের শক্তি, জলবিদ্যুৎ সহ আরো অনেক শক্তি।

  • সূর্যের শক্তি মূলত সূর্যের মাধ্যমে উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। এই শক্তি উৎপন্ন করার জন্য সোলার প্যানেলের প্রয়োজন পড়ে। তারপর সেই শক্তি থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। আর এই বিদ্যুৎ আমাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটের লাইট সহ আরো নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করার জন্য নদীর প্রয়োজন পড়ে। অর্থাৎ নদীর বাঁধের মাধ্যমে পানির প্রবাহকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। আর এটি সহজেই আমাদের পরিবেশের জন্য উপকারী হয়ে থাকে। একই সঙ্গে এটি অনেকদিন যাবত কার্যকরী হয়ে থাকে।

নবায়নযোগ্য শক্তি ও অনবায়নযোগ্য শক্তির পার্থক্য

নবায়নযোগ্য শক্তি ও অনবায়নযোগ্য শক্তির পার্থক্য সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তি ও অনবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে পার্থক্যটা কি তা আপনাদের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক।

  • নবায়নযোগ্য শক্তিগুলো প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া যায়। এই শক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে পানি, বাতাস এবং সূর্যালোক। এগুলো পুনরায় আবার উৎপন্ন করা সম্ভব হয়। অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য শক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা এবং তেল ইত্যাদি। এগুলো পৃথিবীর ভূমির নিচ থেকে অল্প সম্পদের মধ্যে থেকে পাওয়া যায়।
  • নবায়নযোগ্য শক্তিগুলো সহজে শেষ হয়ে যায় না এবং সেই সাথে এটি দীর্ঘমেয়াদের হয়ে থাকে। অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য শক্তিগুলো একবার ব্যবহার করার পর সহজেই ফুরিয়ে যায়। এটি পুনরায় আবার পাওয়ার জন্য অনেক বছর সময় লেগে যায়।
  • নবায়নযোগ্য শক্তিগুলো পরিবেশের জন্য কার্যকরী হয়ে থাকে। অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য শক্তিগুলো পরিবেশের জন্য কার্যকরী হয় না। এই শক্তিগুলো ব্যবহার করার ফলে বায়ু দূষণ হয়ে থাকে। সেই সাথে এটি পানি দূষণ করেও থাকে।
  • নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে রয়েছে জলবিদ্যুৎ, সৌরশক্তি এবং বায়ু শক্তি । অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য শক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা এবং তেল।
  • নবায়নযোগ্য শক্তিগুলো ব্যবহার করার জন্য অনেক বেশি অর্থের প্রয়োজন হয়। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করার ফলে অনেক বেশি অর্থ সাশ্রয় হয়ে থাকে। অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য শক্তিগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন তুলনামূলকভাবে কম হয়। কিন্তু এই শক্তিগুলো যেহেতু একবার ব্যবহার করার পর আর সহজে ব্যবহার করতে পারা যায় না। তাই এগুলো ব্যবহারে দিন দিন অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস নয় কোনটি

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস নয় কোনটি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস নয় কোনটি তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস নয় প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, তেল, পেট্রোলিয়াম। এ সকল শক্তিগুলো মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে অধিক পরিচিত।

নবায়নযোগ্য-শক্তির-উৎস-নয়-কোনটি
এগুলোকে একবারই শুধুমাত্র ব্যবহার করা যায়। এগুলো মূলত আবার উৎপন্ন হতে অনেক অনেক বছর সময় নিয়ে থাকে। এগুলো পরিবেশের জন্য উপকারী কোন কিছু বয়ে আনে না। বরং এগুলো পরিবেশের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক।
এর প্রধান কারণ হলো এগুলো থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়ে থাকে। একই সঙ্গে এগুলো থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গত হয়ে থাকে। যা আমাদের পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ সকল জীবাশ্ম জ্বালানি গুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অনেকাংশেই দায়ী।

নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার

নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির যাবতীয় ব্যবহারগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। 

  • নবায়নযোগ্য শক্তিকে ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব। আপনারা নবায়নযোগ্য শক্তিকে ব্যবহার করে খুব সহজে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেন। এজন্য সৌর প্যানেলকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। এরপর সৌর শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। এছাড়াও বায়ুর টারবাইনকে কাজে লাগাতে পারেন। তারপর বাতাস থেকে খুব সহজে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেন। তাছাড়াও আপনারা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকেও কাজে লাগাতে পারেন। এরপর নদী ও জলপ্রবাহ থেকে খুব সহজে প্রয়োজনমতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেন।
  • নবায়নযোগ্য শক্তি পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োজন হয়। এছাড়াও হাইব্রিড যানবাহন চালানোর জন্যও নবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োজন হয়ে থাকে। এছাড়াও যে সকল যানবাহন হাইড্রোজেন জ্বালানি দিয়ে চালানো হয়ে থাকে। সেই সকল যানবাহন চালানোর জন্যও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার হয়ে থাকে।
  • বাড়ি ঘরের নানা কাজে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই যে ধরুন পানির হিটার ব্যবহার করার জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার হয়ে থাকে। তাছাড়াও রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস উত্তোলন করার জন্যও নবায়নযোগ্য শক্তিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও রান্না ঘরের নানা ধরনের যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • কৃষি ক্ষেত্রে এবং শিল্প ক্ষেত্রেও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার হয়ে থাকে। শিল্পক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগানো হয়ে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিল্প কারখানাগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ করার জন্য বায়োগ্যাসকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এটিও নবায়নযোগ্য শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার।
  • নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিগত উন্নতিও সম্ভব হচ্ছে। এই যে ধরুন সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে মোবাইল চার্জ দেওয়া যায়। একই সাথে সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে রাস্তার ধারে লাইট জালানো সম্ভব হয়। এগুলো সবই নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার। এভাবে নবায়নযোগ্য শক্তিকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।

    নবায়নযোগ্য শক্তি কোনটি

    নবায়নযোগ্য শক্তি কোনটি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তি কোনটি তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। নবায়নযোগ্য শক্তি বেশ কয়েকটি রয়েছে। এ সকল গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জৈব শক্তি, জিওথার্মাল শক্তি সহ আরো অনেক শক্তি।
    • জৈব শক্তি উৎপন্ন করার জন্য প্রয়োজন পড়ে গাছপালা, একই সঙ্গে প্রাণীর বর্জ্য। এ সকল থেকেই মূলত জৈব শক্তি উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দৈনন্দিন এর নানা কাজ সম্পন্ন হয়। যেমন ধরেন রান্না করা সহ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতেও এই শক্তিকে কাজে লাগানো হয়।
    • জিওথার্মাল শক্তি উৎপন্ন হয়ে থাকে মূলত পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকা তাপের মাধ্যমে। এই শক্তি উৎপন্ন করার জন্য সবচাইতে কার্যকরী এলাকা হলো ভূমিকম্প এলাকা। সেই সাথে অগ্নিয়গিরি প্রবন এলাকা। এ সকল এলাকায় এই শক্তি উৎপন্ন হয়ে থাকে।

    কয়লা কি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস

    কয়লা কি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা কয়লা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কিনা তা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। কয়লা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস নই।

    কয়লা-কি-নবায়নযোগ্য-শক্তির-উৎস
    কেননা এটি একবার ব্যবহার করার পর পুনরায় এটি উৎপন্ন হতে লক্ষ লক্ষ বছর সময় লেগে যায়। তাই এটি নবায়নযোগ্য শক্তি হতে পারে না। নবায়নযোগ্য শক্তি সেইগুলোই যেগুলো সহজে ফুরিয়ে যায় না। সেই সাথে এগুলো দীর্ঘমেয়াদের হয়ে থাকে।
    কয়লা সাধারণত একটি অনবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ। এটি ভূগর্ভের নিচে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা এবং বিভিন্ন জৈব পদার্থের ক্ষয়ের ফলে গঠিত হয়ে থাকে। এজন্য বলা যায় যে কয়লা নবায়নযোগ্য শক্তি নয়। এটি একটি অনবায়নযোগ্য শক্তি।

    নবায়নযোগ্য শক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণ কোনটি

    নবায়নযোগ্য শক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণ কোনটি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণ কোনটি তা সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। নবায়নযোগ্য শক্তি বলতে সেই শক্তি গুলোকে বুঝায় যেই শক্তিগুলো সহজে ফুরিয়ে যায় না। সেই সাথে এগুলো দীর্ঘ মেয়াদের হয়ে থাকে।

    নবায়নযোগ্য শক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণের মধ্যে অনেকগুলো উদাহরণ রয়েছে। যেমন সৌরশক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়ু শক্তি, জৈবশক্তি ইত্যাদি। সৌরশক্তির সাহায্যে সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে বাসা ঘরের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়। বায়ু শক্তির সাহায্যে বাতাসকে কাজে লাগানোর ফলে এখান থেকেও খুব সহজে প্রয়োজনীয় কাজে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব পর হয়ে থাকে।

    এছাড়াও নদীর জলপ্রবাহ কে কাজে লাগানোর ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হয়। এভাবে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে থাকে। তাছাড়াও আবার উদ্ভিদের নানা বর্জ্য এবং সেই সাথে প্রাণীর নানা বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এই শক্তিকে বলে জৈবশক্তি। আর এইগুলো সবগুলোই হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। 

    লেখকের শেষ কথা 

    উপরের আলোচনা থেকে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরও জানতে সক্ষম হয়েছি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি তা সম্পর্কেও। নবায়নযোগ্য শক্তি বলতে সেই শক্তিগুলো বুঝাই যেগুলো সহজে ফুরিয়ে যায় না এবং সেই সাথে যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদের হয়ে থাকে।

    নবায়নযোগ্য শক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি জলবিদ্যুৎ, জৈব শক্তি ইত্যাদি। এগুলো হচ্ছে সব নবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ। এ সকল শক্তিগুলোকে ব্যবহার করে এখন নানা প্রকার উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। যেমন ধরেন সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরবাড়ির জন্য কিংবা আরো নানা কাজের জন্য বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও সাগর বা নদীর জলের প্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।

    আমি উপরের আলোচনায় নবায়নযোগ্য শক্তির নানা ধরনের সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা যদি উপরের আলোচনা গুলো ভালোভাবে পড়তে পারেন। তাহলে খুব সহজেই নবায়নযোগ্য শক্তির যাবতীয় সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যেতে পারবেন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url