চুন খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
সূচিপত্রঃ চুন খাওয়ার যাবতীয় গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
চুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
চুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চুন খাওয়ার যাবতীয় উপকারিতা গুলো এবং অপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
চুন খাওয়ার উপকারিতা গুলোঃ
- অনেকের জয়েন্টে ব্যাথা হতে দেখা যায়। এটি হয় মূলত ক্যালসিয়ামের অভাবে। যাদের এই ধরনের সমস্যা তৈরি হবে, তারা চুন খেতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে এবং জয়েন্টের ব্যাথা দূর হবে।
- চুন খাওয়া ভালো। কেননা এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান। এই খনিজ উপাদান গুলো শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
- চুন খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। একই সাথে চুন খাওয়ার ফলে ভিটামিন সিও শরীরে পাওয়া যায়। আর ভিটামিন সি রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এর ফলে হার্টকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হয়।
- চুন খাওয়ার ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে থাকে। কেননা চুনে রয়েছে সাইটিক অ্যাসিড। এটি আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। ঠিক এর কারণে আমাদের শরীরে থাকা মাত্রাতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরে গিয়ে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমে থাকে।
- দাঁতকে পরিষ্কার রাখতে অল্প পরিমাণ চুন নিয়ে তা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে দাঁতের অস্বাভাবিক ভাব পরিষ্কার হয়ে দাঁতকে ঝকঝকে লাগবে।
- যাদের ব্লাডের কোলেস্টেরল লেভেল হাই থাকে, তারা ব্লাডের কোলেস্টেরল লেভেল লো করার জন্য একটি ভাতের সমান চুন খেতে পারেন। এটি এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকবে।
- দাঁত ও হাড়কে সুরক্ষিত রাখার জন্য চুন খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। চুনে রয়েছে ক্যালসিয়াম। যেটি দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে অনেক বেশি কাজ করে থাকে।
- যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তারা এই সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য একটি ভাতের সমান চুন খেতে পারেন। তাহলে কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকবে।
- যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা চাইলে চুন খেতে পারেন। এটি হজমের সমস্যা দূর করে গ্যাস, এসিডিটি এবং বদ হজমের সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে।
- বিভিন্ন ধরনের ব্যথায় চুন উপকারী হতে পারে। যাদের কোমরে ব্যথা রয়েছে, কাঁধে ব্যাথা রয়েছে, দাঁতের ব্যথা রয়েছে এবং বাতের ব্যথা রয়েছে। তারা একটি ভাতের সমান চুন খেতে পারেন। তাহলে এ ধরনের ব্যথা প্রতিরোধ হয়ে থাকবে।
চুন খাওয়ার অপকারিতা গুলোঃ
চুন খাওয়ার কিছু উপকারিতা থাকলেও এর রয়েছে বেশ কিছু অপকারিতা। যেগুলো আমাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এটি খাওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পেটের সমস্যা হতে। অর্থাৎ এটি খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হতে দেখা যায়। এছাড়াও আলসারের মতো সমস্যাও তৈরি হয়ে থাকে। অতিরিক্ত চুন খাওয়ার ফলে কিডনির অথবা হাড়ের ক্ষতিসাধন হতে পারে। কেননা চুনে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।
আর এর কারণে অতিরিক্ত চুন খেলে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম দেহে জমা হতে পারে। যার কারণে কিডনি ও হাড়ের ক্ষতি হয়ে থাকে। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে চুন খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। চুন খাওয়া কিছু ক্ষেত্রে ভালো হতে পারে। তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেসীর দুর্বলতা প্রকাশ পেতে পারে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে চুন খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
পানের সাথে চুন খেলে কি হয়
পানের সাথে চুন খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা পানের সাথে চুন খেলে কি হতে পারে তা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। পানের সাথে চুন খাওয়ার ফলে পান খাওয়ার যে স্বাদ আছে তা আরো বেড়ে যায়।
অর্থাৎ পান খাওয়ার সময় পানের সাথে চুন ব্যবহার করলে পান খাওয়ার মজা আরো বেড়ে যায়। এছাড়াও পানের সাথে চুন খাওয়ার ফলে এতে থাকা ক্যালসিয়াম হজমে সহায়তা করে থাকে। তবে পানের সাথে অতিরিক্ত চুন খাওয়া যাবেনা। কেননা পানের সাথে অতিরিক্ত পরিমাণে চুন খেলে মুখের ভেতরে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ দুধের সর খাওয়ার ১২টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
যেমন মুখে ঘা হওয়া, মুখ জ্বালাপোড়া করা ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাছাড়াও পানের সাথে চুন দীর্ঘ দিন যাবত একটানা খাওয়ার ফলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এটি অতিরিক্ত না খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পানের সাথে দীর্ঘকালীন যাবত একটানা চুন খাওয়ার ফলে সবচাইতে যে ক্ষতিটি হয়ে থাকে তা হলো ক্যান্সারের ঝুঁকি। দীর্ঘকালীন যাবত একটানা পান ও চুন খাওয়ার ফলে খাদ্যনালীতে ক্যান্সারের আশঙ্কা তৈরি হতে দেখা যায়। তাই নিয়ম মেনে পরিমিত পরিমাণে পানের সাথে চুন খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
চুন খাওয়ার নিয়ম
চুন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা কিভাবে চুন খেতে হয় তা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। চুন সাধারণত পানের সাথে খাওয়া হয়ে থাকে। পানের সাথে খুব অল্প পরিমাণ চুন খাওয়া ভালো।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য চালের সঙ্গে চুন মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এজন্য প্রথমে চালের সঙ্গে অল্প পরিমাণে চুন মিস করে দিয়ে ভাত রান্না করে নিতে হবে। তারপর সেই ভাত খেতে হবে। এতে করে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকাংশেই পূরণ করা সম্ভব হবে। একটি গমের দানা যত বড় হয় ঠিক তত বড় চুন খাওয়া যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মৌরি খাওয়ার ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
এই চুন খেতে হবে এক সপ্তাহ পর পর। তারপর খেতে হবে দুই সপ্তাহ পর পর। এরপর খেতে হবে তিন সপ্তাহ পর পর। এভাবে চুন খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এটি অতিরিক্ত খাওয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই পারলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে চুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
চুনের পানি খেলে কি হয়
চুনের পানি খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চুনের পানি খাওয়ার ফলে কি হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। চুনের পানি খাওয়ার ফলে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এটি খাওয়ার ফলে মুখে ও গলায় ক্ষত তৈরি হতে পারে।
সেই সাথে এটি মুখে ও গলায় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও এই পানি খাওয়ার ফলে পেটের ব্যাথা সমস্যা তৈরি হতে পারে। চুনের পানি খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও তৈরি হতে পারে। তাই এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। সেই সাথে চুনের পানি যদি খুব বেশি খাওয়া হয়, তাহলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
এই পানি খাওয়ার ফলে যদি মুখে ও গলায় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়, তাহলে এই সমস্যা তৎক্ষণাৎ প্রতিরোধ করার জন্য ঠান্ডা দুধ খাওয়া যেতে পারে বা দই খাওয়া যেতে পারে। এই পানি খাওয়ার যাবতীয় নিয়মাবলী জেনে এ পানি খাওয়া উচিত। নয়তো চুনের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
চুন খাওয়া কি হারাম
চুন খাওয়া কি হারাম এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চুন খাওয়া হারাম না হালাল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ইসলামের দৃষ্টিতে কোন কিছু হারাম না হালাল তা নির্ভর করে তা মানুষের জন্য কেমন ভালো না খারাপ তার উপর।
আরো পড়ুনঃ কাবাব চিনির ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিছু ক্ষতি হতে পারে। তাই এই দিকটি বিবেচনা করে চুন খাওয়া যেতে পারে। আশা করছি আপনারা চুন খাওয়া হারাম না হালাল এই বিষয়টি পুরোপুরি ভাবে জানতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে চুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
চুন খাওয়ার অপকারিতা
চুন খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চুন খাওয়ার যাবতীয় অপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। চুন কিছু ক্ষেত্রে উপকারী হলেও এর রয়েছে বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক। এ সকল ক্ষতিকর দিকগুলো আমাদের সকলের জেনে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
চুনের ক্ষতিকর দিক গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হজমের সমস্যা তৈরি হওয়া। অর্থাৎ এটি খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। আর হজমের সমস্যা তৈরি হলে গ্যাস, এসিডিটি, বদহজম তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যেহেতু এটি অত্যন্ত ক্ষারযুক্ত। যার কারণে এটি খেলে গলার ও মুখের ভেতর যে টিস্যু রয়েছে তা পুড়ে যেতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সাবধান হতে হবে।
এছাড়াও এটি খাওয়ার ফলে বুক জ্বালাপোড়া করার সমস্যাও তৈরি হতে পারে। চুন যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তাহলে অনেক সময় বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আর এটি সৃষ্টি হলে বমি বমি ভাব কিংবা ডায়রিয়ার মত ভয়াবহ সমস্যা তৈরি হতে পারে। চুন যদি আপনারা একটানা খেতে থাকেন, তাহলে এটি আপনাদের লিভার এবং কিডনির উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই এটি কখনো একটানা খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। চুন খাওয়া হাড়ের পক্ষে ভালো। কেননা এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম। কিন্তু আপনি যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করেন। তাহলে হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে এটি দাঁতের এনামেল ক্ষতি করে দিতে পারে। তাই এই দিকগুলো বিবেচনা করে আপনাদের চুন খাওয়া উচিত।
পাথুরে চুনের উপকারিতা
পাথুরে চুনের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা পাথুরে চুনের যাবতীয় উপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক। পাথুরে চুনের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। এ সকল উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হজম প্রক্রিয়া সহজ করে তোলা।
অর্থাৎ এটি খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এর ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এই চুনকে ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়। যেমন এই চুনকে জমিতে ব্যবহার করলে জমির অম্লতা দূর করা সম্ভব হয়।
আরো পড়ুনঃ পোস্ত খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
একই সঙ্গে এটি ব্যবহারে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করা যায়। এছাড়াও এটি জমিতে ব্যবহারে জমির ফসল বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। পাথুরে চুন সিমেন্ট তৈরির মূল উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও এই চুনকে ব্যবহার করে রাস্তাঘাট ও বিল্ডিং তৈরি করা হয়। তাছাড়াও এই চুনকে ব্যবহার করে প্লাস্টিক তৈরি করা হয়, রং তৈরি করা হয় এবং কাগজ তৈরিতেও এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এভাবেই পাথুরে চুন বিভিন্ন উপকারে এসে থাকে।
চুন খেলে কি ইনফেকশন ভালো হয়
চুন খেলে কি ইনফেকশন ভালো হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চুন খাওয়ার ফলে ইনফেকশন ভালো হয় কিনা সেই সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। চুন খাওয়ার ফলে সরাসরি ইনফেকশন ভালো হয় না। তবে এটি খাওয়ার ফলে এটি অ্যান্টিসেপটি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
অর্থাৎ ইনফেকশন হলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে এর উপযুক্ত ওষুধ সংগ্রহ করা উত্তম হবে। তাই বলা যেতে পারে চুন খাওয়ার ফলে সরাসরি কোন ইনফেকশন ভালো হয় না। আশা করছি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে চুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
ঝিনুকের চুনের উপকারিতা
ঝিনুকের চুনের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ঝিনুকের চুনের যাবতীয় উপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক। ঝিনুকের চুনের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। এ সকল উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপকারিতা হলো ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা।
অর্থাৎ এটি খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হতে পারে। তবে এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। এছাড়াও এই চুন কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। এই চুন কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে ফসলের মান ভালো হয়। একই সঙ্গে ফসলের জমির অম্লতা কমানো সম্ভব হয়।
এছাড়াও এই চুন জমিতে ব্যবহার করলে জমির পুষ্টির অভাব দূর করা যায়। তাছাড়াও এই চুন ব্যবহার করে পুকুরের পানিকে খুব সহজে পরিষ্কার করা যায়। এছাড়াও এই চুন সিরামিক তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একই সঙ্গে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল হিসেবেও এটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে নজর রাখতে হবে যাতে এটি অতিরিক্ত খাওয়া না হয়। একই সঙ্গে এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে চুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পানের সাথে চুন খেলে কি হয় এই সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url