ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে আশ্চর্যকর তথ্য জানুন

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা কোন কারনে এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ভোটের আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার প্রয়োজন পড়ে। তাই এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো।

ভোটার-আইডি-কার্ড-ট্রান্সফার-করার-নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই আপনারা ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার যাবতীয় নিয়ম জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে ট্রান্সফার করতে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার বলতে বোঝানো হচ্ছে কোন এলাকার পরিবর্তন অর্থাৎ এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় যাওয়ার জন্য ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন। এটি সঠিকভাবে করার জন্য আপনাকে নিচের ধাপগুলো ভালোভাবে বুঝে কাজ করতে হবে।

  • এজন্য প্রথমে আপনাকে একটি আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেখানে আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে। আবেদন ফর্মটি পাওয়ার জন্য আপনাকে নির্বাচন কমিশনের যেটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে যেতে হবে। তারপর সেখানে দেখতে পাবেন ফরম-১৩ নামে একটি বাটন ডাউনলোড করতে বলছে। আপনি এখান থেকে ফরম-১৩ ডাউনলোড করে নিবেন। এই ফর্মটিতে আপনার বর্তমান ঠিকানা চাইবে, সেই সাথে আপনি যেখানে যেতে চাচ্ছেন, সেই নতুন ঠিকানার ব্যাপারে সবকিছু তথ্য জানতে চাইবে। আপনি উপযুক্ত তথ্য দিয়ে ফর্মটি ভালোভাবে পূরণ করে নিবেন।
  • ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার জন্য আপনাকে নাগরিক সনদপত্র লাগবে। এটি আপনি যে এলাকায় যাবেন সেই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা পৌরসভার মেয়র কিংবা ওয়ার্ড কাউন্সিলের কাউন্সিলর এর কাছ থেকে খুব সহজে পেয়ে যেতে পারবেন।
  • আপনি যে এলাকায় যাবেন, সেই এলাকার আপনার বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল এবং পানির বিলের কপি আপনার কাছে থাকতে হবে। এছাড়াও আপনার কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স কিংবা কর রশিদ থাকতে হবে। কেননা এটিও প্রয়োজন হতে পারে। আপনার বর্তমানে যে জাতীয় পরিচয়পত্রটি রয়েছে তার ফটোকপিও আপনার কাছে থাকতে হবে।
  • আপনি প্রথমে ফর্মটি ভালোভাবে পূরণ করে, তারপর এসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে আপনি যে এলাকায় যেতে চাচ্ছেন, সেই এলাকার উপজেলায় গিয়ে নির্বাচন অফিসে জমা দিয়ে দিতে হবে।
  • আপনার সবকিছু নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়ার পর আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন হতে ৭ থেকে ১৫ দিন মতো সময় লাগতে পারে। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন হলো কিনা সেই সম্পর্কে আপনি জানার জন্য নির্বাচন অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রটি প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনি নির্বাচন অফিস থেকে এটি পেতে হলে কিংবা অনলাইনের মাধ্যমেও এটি পেতে হলে রি-ইস্যু আবেদন করার প্রয়োজন হবে। রি-ইস্যু আবেদন করার জন্য ২৩০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে কি কি প্রয়োজন হতে পারে তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা প্রয়োজনীয় কাজ করা লাগে তা নিচে দেওয়া হলোঃ

  • প্রথমে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এটি আপনারা নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারেন কিংবা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সংগ্রহ করতে পারেন। এরপর ফর্মটিতে যথাযথ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পূরণ করে নিবেন।
  • আপনি যে এলাকায় যাবেন, সেই এলাকার আপনার পানির বিল, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল এবং টেলিফোন বিলের কপি আপনার কাছে থাকতে হবে। এছাড়াও আপনার কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স কিংবা কর রশিদ থাকতে হবে। এই সবগুলো কাগজপত্র আপনাকে জমা দিতে হবে।
  • আপনার পুরনো জাতীয় পরিচয় পত্রের একটি ফটোকপি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে।
  • আপনাকে সাম্প্রতিক সময়ে তুলা এমন দুই থেকে দিন কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হবে।
  • এই সকল যাবতীয় তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার নতুন এলাকার উপজেলার কিংবা থানার নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে নির্বাচন অফিস থেকে আপনি আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ডটি পেতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার চেক

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার চেক সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার চেক সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে জানার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা সম্পর্কে জানতে আপনাকে নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক।

  • এজন্য প্রথমে আপনাকে এনআইডি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার প্রয়োজন হবে। তাই যে কোন একটি ব্রাউজারে গিয়ে services.nidw.gov.bd এই লেখাটি কপি করে ব্রাউজারে পেস্ট করুন। তাহলে আপনাকে এনআইডি ওয়েবসাইটে নিয়ে চলে যাবে।
  • এনআইডি ওয়েবসাইটে এসে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে এখানে একটি একাউন্ট খুলে ফেলুন। এজন্য রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করুন। আর আগে থেকে অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং সেইসাথে যে পাসওয়ার্ডটি দিয়ে একাউন্ট খুলেছিলেন সেই পাসওয়ার্ডটি দিয়ে লগইন করে ফেলুন।
  • এনআইডি ওয়েবসাইটে লগইন করে নিয়ে প্রোফাইলে যান। সেখানে দেখতে পাবেন আপনার নতুন ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা সম্পর্কে। নতুন ঠিকানা পরিবর্তন হলে এখানে তা দেখতে পাবেন।

এছাড়াও আপনারা এসএমএস এর মাধ্যমে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নতুন ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা সম্পর্কে। এজন্য আপনাদের নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে।
  • এজন্য প্রথমে আপনারা মোবাইলে এসএমএস অপশনে যান। তারপর টাইপ করে ফেলুনঃ NID space আপনার ফরম নম্বর space জন্ম তারিখ।
  • (এখানে আপনার ফরম নম্বর বলতে বুঝানো হয়েছে নিবন্ধন স্লিপ এর নাম্বার)
  • উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটা আরো ক্লিয়ার হয়।
  • উদাহরণঃ NID 134567855 01-05-2002
  • এরপর আপনারা এই তথ্যটি লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠিয়ে দিন। তাহলেই আপনারা মেসেজের মাধ্যমে আপনার বর্তমান এনআইডি কার্ডের যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন।
তাছাড়াও আপনার যদি ফরম নম্বরটি না থাকে, তাহলে সেই জায়গায় এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে নিতে পারেন।
  • এজন্য প্রথমে আপনাকে মোবাইলে এসএমএস অপশনে যেতে হবে। তারপর টাইপ করে ফেলতে হবেঃ NID space জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর space জন্ম তারিখ। 
  • উদাহরণঃ NID 239876541209 09-01-2000
  • এরপর আপনারা এই তথ্যটি লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠিয়ে দিন। তাহলেই আপনারা মেসেজের মাধ্যমে আপনার বর্তমান এনআইডি কার্ডের যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন।

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে কত টাকা লাগে

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে কত টাকা খরচ হতে পারে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

ভোটের আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে আপনার নিকটস্থ উপজেলা বা থানায় গিয়ে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা এই সম্পর্কে ভালোভাবে বলে দিতে পারবে। আসল কথা হলো এক এক উপজেলায় এক এক রকম ফ্রি প্রযোজ্য হয়। তাই সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না আসলে কত টাকা লাগতে পারে।

তবে সাধারণত ১১৫ টাকা লাগতে পারে। এখানে ১০০ টাকা ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে প্রয়োজন হয় এবং বাকি ১৫ টাকা ভ্যাট হিসেবে ধার্য করা হয়। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম এবং ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে কি কি লাগে তা সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড হালনাগাদ করার উপায়

ভোটার আইডি কার্ড হালনাগাদ করার উপায় আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে হালনাগাদ করতে হয় তার উপায় আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ভোটার-আইডি-কার্ড-হালনাগাদ-করার-উপায়
ভোটার আইডি কার্ড হালনাগাদ করা বলতে বোঝায় পুরনো তথ্য আপডেট করে নতুন ভাবে সাজানো। এটি করার জন্য আপনাদের নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক।

  • আপনি যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড এর পুরনো তথ্য আপডেট করে নতুনভাবে সাজাতে চাচ্ছেন। সেহেতু প্রথমে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন পড়বে। এজন্য আপনাকে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য services.nidw.gov.bd এই লেখাটি যে কোন ব্রাউজারে কপি করে পেস্ট করতে হবে। তাহলেই নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
  • নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনার একাউন্ট করা থাকলে লগইন করে ফেলুন। আর একাউন্ট করা না থাকলে সাইন আপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একাউন্ট খুলে ফেলুন।
  • নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লগইন করার পর তথ্য সংশোধন অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে ক্লিক করুন। এবার আপনি যে অংশটি পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন, তা পরিবর্তন করে ফেলুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের প্রমাণ দিয়ে আপলোড করে ফেলুন।
  • তথ্য হালনাগাদ করার জন্য কিছু ক্ষেত্রে ফি এর প্রয়োজন হয়। যদি দেখেন এখানে ফি চাচ্ছে, তাহলে আপনারা বিকাশ, রকেট এবং নগদের মাধ্যমে তা পরিশোধ করে দিবেন।
  • অনলাইনের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনার নিকটস্থ উপজেলার নির্বাচন অফিসে নির্ধারিত তারিখে যান। সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যাবেন। সেখানে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হবে এবং একই সঙ্গে ছবি তোলা হবে। তারপর নির্বাচন কমিশন সবকিছু যাচাই করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটিকে অনুমোদন দিবে।
  • নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি অনুমোদিত হয়ে গেলে অনলাইন থেকে ডিজিটাল কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আর আপনার মূল এনআইডি কখন পাবেন তা নির্বাচন অফিস থেকে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড হালনাগাদ করার বিষয়ে আরো ভালোভাবে জানতে চান, তবে আপনার নিকটস্থ উপজেলার নির্বাচন অফিসে গিয়ে এই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাবতীয় তথ্য জেনে কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার ফরম

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার ফরম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার ফরম সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার জন্য ফরমের প্রয়োজন হয়। এটি আপনি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন কিংবা আপনার নিকটস্থ উপজেলার নির্বাচন অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। তারপর ফরমটিতে উপযুক্ত তথ্য দিয়ে পূরণ করে ফেলতে পারেন।
  • অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার ফরম পাওয়ার জন্য আপনাকে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রথমে services.nidw.gov.bd এই লেখাটি আপনার ফোনের যে কোন ব্রাউজারে কপি করে পেস্ট করতে হবে। তারপর নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। 
  • নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার যদি একাউন্ট খোলা থাকে। তাহলে লগইন করে নিবেন। আর যদি অ্যাকাউন্ট খোলা না থাকে তাহলে সাইন আপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করে ওয়েব সাইটে ঢুকে পড়বেন। এরপর ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার ফর্মটি খুঁজে বের করবেন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন করতে হয় তা সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

  • এজন্য প্রথমে আপনাকে এনআইডি ওয়েবসাইটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে। এনআইডি ওয়েবসাইটে যাওয়ার জন্য services.nidw.gov.bd এই লেখাটি কপি করে আপনার ফোনের যে কোন ব্রাউজারে পেস্ট করুন। তাহলে আপনি এনআইডি ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন।
  • এনআইডি ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর এনআইডি নম্বর এবং সেইসাথে মোবাইল ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আপনার একাউন্টটি লগইন করে ফেলুন। আপনার যদি একাউন্ট না থাকে, তাহলে সাইন আপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট লগইন করে ফেলবেন।
  • আপনি যেহেতু অনলাইনে ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন, সেহেতু আপনাকে এনআইডি ওয়েবসাইটে লগইন করার পর প্রোফাইলে যেতে হবে, তারপর সেখান থেকে আপনার ঠিকানা অপশন দেখতে পাবেন। এবার আপনি এই ঠিকানা এডিট করে আপনি যেটা দিতে চাচ্ছেন, তা দিয়ে ফেলুন। ঠিকানা এডিট করার সময় আপনি শুধু বাড়ির নম্বর, পোস্ট অফিস এবং পোস্ট কোড পরিবর্তন করতে পারবেন।
  • এই কাজগুলো করার পর ফি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। ২৩০ টাকার মতো ফি লাগতে পারে। এটি আপনারা বিকাশ, রকেট কিংবা নগদের মাধ্যমে পরিশোধ করে দিবেন। এরপর কিছু প্রমাণপত্র আপলোড করতে হতে পারে। যেমন ধরেন নাগরিক সনদ কিংবা ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি। এই কাজগুলো করার পর ৩০ থেকে ৬০ দিনের ভেতর আপনার আগের দেওয়া ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে নতুন দেওয়া ঠিকানায় রূপান্তর হয়ে যাবে।

ভোটার আইডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন ফরম

ভোটার আইডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন ফরম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ভোটার আইডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন ফরম সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

ভোটার-আইডি-কার্ডের-স্থায়ী-ঠিকানা-পরিবর্তন-ফরম

  • ভোটার আইডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে প্রথমে ফরম-১৩ পূরণ করতে হবে। ফরম-১৩ পূরণ করা লাগে মূলত যখন কোন ভোটার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর হয় তখন। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম-১৩ ডাউনলোড করা যায়।
  • এই ফর্মটি পূরণ করে এর সাথে আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনি বর্তমানে যে ঠিকানায় রয়েছেন, সেই ঠিকানার নিকটস্থ উপজেলা বা থানার নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে, আপনার কাছে যে বর্তমানে এনআইডি কার্ডটি রয়েছে তার ফটোকপি, আপনি যে নতুন ঠিকানায় রয়েছেন তার নাগরিকত্ব সনদ, আরো লাগবে আপনার নতুন ঠিকানার বিভিন্ন পানির বিল, গ্যাসের বিল, বিদ্যুৎ বিল এবং করের রশিদ ইত্যাদি।
  • ফরম-১৩ এর দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় আপনি নতুন যে এলাকায় রয়েছেন, সেই এলাকার চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর লাগবে। আপনার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ৩০ থেকে ৬০ দিনের ভেতর আপনি আপনার সংশোধিত এন আইডি কার্ডটি পেয়ে যেতে পারবেন। এজন্য হয়তো ২৩০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফি

ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফি সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার জন্য কেমন ধরনের ফি প্রদান করা লাগে তা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার জন্য ফরম-১৩ পূরণ করতে হয়।

ফরম-১৩ এটি আপনারা নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ফর্মটি ভালোভাবে পূরণ করে, এর সাথে আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনার নিকটস্থ উপজেলা বা থানার নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। ভোটের এলাকা পরিবর্তন হতে ৭ থেকে ১৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।

এজন্য ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফি ৩৪৫ টাকা মতো খরচ হয়ে থাকে। আশা করছি আপনারা ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা 

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে কি কি লাগে তা সম্পর্কেও। ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার বলতে বুঝায় এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় স্থানান্তর। অর্থাৎ কোন একজন ব্যক্তি আগে এক এলাকায় বসবাস করত।

এখন আরেক এলাকায় তিনি বসবাস করছেন। এখন তিনি যে নতুন এলাকায় বসবাস করছেন, সেই এলাকার ঠিকানা তিনি তার এনআইডি কার্ডে যুক্ত করতে চাচ্ছেন। এজন্য যা কিছু করা লাগবে তা সম্পর্কে আমি উপরের আলোচনায় এ টু জেড আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়তে পারেন। তাহলে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে ট্রান্সফার করতে হয় তা সম্পর্কে ভালোভাবে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url