এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বা দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষদের মাঝে ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করা যায়।

এজেন্ট-ব্যাংকিং-এর-সুবিধা-ও-অসুবিধা
এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখা গুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এর যাবতীয় কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

এজেন্ট ব্যাংকিং কি

এজেন্ট ব্যাংকিং কি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। এজেন্ট ব্যাংকিং বলতে সাধারণত এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে বুঝায় যেখানে কোন ব্যাংকের শাখা নেই বা শাখা থাকলেও সেই শাখার পরিমাণ খুবই কম রয়েছে।

এমন জায়গায় ব্যাংকের কোন প্রতিনিধি গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকে। এজেন্ট ব্যাংকিং কি তা আমরা আরো ভালোভাবে উদাহরণ এর মাধ্যমে জানতে পারি। চলুন তাহলে আমরা উদাহরণ দেখে আসি। গ্রামের একজন কৃষক শহরে না গিয়ে তার গ্রাম থেকেই এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারে।

কিংবা টাকা জমা করতে পারে। আরো একটি উদাহরণ হলো একজন গার্মেন্টস কর্মী তার আইকৃত টাকা তার পরিবারের কাছে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারে এবং তার পরিবার গ্রাম থেকেই এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সেই টাকা উত্তোলন করে নিতে পারে। নগদ টাকা জমা দেওয়া কিংবা উত্তোলন করা এই সব কিছুই করা যায় এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। এছাড়াও এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করা যায় এবং বিভিন্ন বিল খুব সহজেই পরিশোধ করা যেতে পারে।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং এর যাবতীয় সুবিধা গুলো এবং যাবতীয় অসুবিধা গুলো বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

এজেন্ট ব্যাংকের সুবিধা গুলোঃ
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা খুব সহজে উত্তোলন করা যায়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর দ্বারা বৈদেশিক রেমিটেন্স প্রেরণ করা সম্ভব হয়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিল পরিশোধ করা সম্ভব হয়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বর্তমানে একাউন্টে কত টাকা আছে তা জানা যেতে পারে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন ধরনের ভাতা দিয়ে দিতে পারবেন।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক সময় মতো টাকা লেনদেন করতে পারে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক সহজেই ডিজিটাল পেমেন্ট লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা থেকেই ব্যাংকিং যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যায়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ব্যাংক এ না গিয়েও টাকা উত্তোলন, জমা বা অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং থাকায় শহরে না গিয়ে টাকা খরচ না করে গ্রাম থেকেই যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যায়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নিরাপদে লেনদেন করা সম্ভবপর হয়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যারা ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকে তারাও এর সাথে যুক্ত হতে পারে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক বিভিন্ন লেনদেন এবং ঋণ গ্রহণ করতে পারেন।

এজেন্ট ব্যাংকের অসুবিধা গুলোঃ
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এ প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনকি তথ্য চুরির সম্ভাবনাও রয়েছে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সীমিত ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করে থাকে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এজেন্টরা নগদ টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থায় টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে অনেক সময় চার্জ বেশি লাগে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে লেনদেন ঠিক সময় করতে পারা যায় না।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্কে গ্রাহকরা ভালোভাবে জানতে না পারলে সমস্যার সম্মুখীন হয়।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর কাজ কি

এজেন্ট ব্যাংকিং এর কাজ কি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন. আজকের এই পর্বে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং এর কাজ কি তা বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

এজেন্ট ব্যাংকিং বলতে এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে বোঝানো হয় যেখানে ব্যাংক তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। এজেন্ট ব্যাংকিং নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ

এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা মূলত দূরবর্তী অঞ্চলে অর্থাৎ প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করে থাকে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা খুব সহজেই তাদের জমাকৃত টাকা জমা করতে পারে কিংবা আগে থেকে জমাকৃত টাকা নগদ তুলতে পারে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া।

অর্থাৎ এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকরা নির্দিষ্ট ব্যাংকের আন্ডারে অ্যাকাউন্ট খুলে পায়। যেখান থেকে তারা ব্যাংকিং যাবতীয় সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বিদেশ থেকে কেউ রেমিটেন্স পাঠালে তা গ্রহণ করা। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ করা যায়। যেমন গ্যাস বিল, পানি বিল বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি। এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কোন ঋণ প্রয়োজন হলে সেই ঋণ এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নেওয়া যায়।

সেই সাথে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কিস্তির টাকা খুব সহজে জমা দেওয়া যায়। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে খুব সহজে গ্রাহকরা তাদের একাউন্টের ব্যালেন্স কত রয়েছে তা জানতে পারে। এছাড়াও এমন কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা বীমা সহ অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকে। এগুলোই পরিচালনা করা এজেন্ট ব্যাংকিং এর প্রধান কাজ।

এজেন্ট ব্যাংকিং কি নিরাপদ

এজেন্ট ব্যাংকিং কি নিরাপদ এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। এজেন্ট ব্যাংকিং কি নিরাপদ না অনিরাপদ তা সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

এজেন্ট ব্যাংকিং মূলত একটি নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থা। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের যাবতীয় নিয়মাবলী অনুসরণ করা হয়ে থাকে। আপনার যে ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট থাকুন না কেন। প্রত্যেকটি ব্যাংকেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। প্রতিটি ব্যাংক চেষ্টা করে নিরাপত্তার জন্য আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করা।

এছাড়াও তারা ওটিপি যাচাইয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা খুব সহজে অর্থের লেনদেন সরাসরি করতে সক্ষম হয়ে থাকে। এ সকল সুবিধা গুলো এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব হয়। তবে এর কিছু খারাপ দিক রয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সবকিছু দেখে শুনে কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরও একটি অন্যতম অসুবিধা হলো অনেক এজেন্ট অনেক বেশি চার্জ নিয়ে থাকে। এজন্য নিরাপদ এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালনা করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে তা পরিচালনা করতে হবে। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন নির্ভরযোগ্য কোন এজেন্ট থেকে অর্থের লেনদেন করা কিংবা অনুমোদিত এজেন্ট থেকে অর্থের লেনদেন করা। আপনারা যখন অর্থের লেনদেন করবেন, তখন এজেন্ট থেকে লেনদেনের রশিদ নিতে ভুলবেন না।

অবশ্যই এটি নিবেন। আপনারা আপনাদের একাউন্ট কে সুরক্ষিত রাখতে এখানকার যাবতীয় পিন কিংবা ওটিপি কারো কাছে শেয়ার করবেন না। তাই সবশেষে বলা যায় যে আপনারা যদি অনুমোদিত এজেন্ট থেকে অর্থের লেনদেন করেন এবং আপনাদের একাউন্টের যাবতীয় তথ্যাবলী গোপন রাখেন। তাহলে অবশ্যই এজেন্ট ব্যাংকিং নিরাপদ হবে।

এজেন্ট ব্যাংকিং কয়টি

এজেন্ট ব্যাংকিং কয়টি এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং কয়টি এবং কি কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দূরবর্তী কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করা যায়। বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয় ২০১৪ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশের ২৯ টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করে থাকে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো।

এজেন্ট-ব্যাংকিং-কয়টি
এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আগে থেকে জমাকৃত নগদ টাকা জমা রাখা যায় এবং সেই সাথে আগে থেকে জমাকৃত নগদ টাকা খুব সহজে উত্তোলন করা যায়। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে খুব সহজে চলতি, সঞ্চয়ী এবং ডিপিএস একাউন্ট খোলা যায়। এছাড়াও এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা খুব সহজে গ্রহণ করা সম্ভব হয়।

এছাড়াও এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিল অর্থাৎ পানি বিল, গ্যাস বিল এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সম্ভব হয়। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এক ব্যাংকের এক শাখা থেকে আরেক শাখায় টাকা পাঠানো সম্ভব হয়। এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরো একটি সুবিধা হলো অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়া।

তাছাড়াও এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সরকারি ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং বিধবা ভাতা ইত্যাদি। এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো চেক বই প্রদান করে থাকে এবং এই চেক বইয়ের মাধ্যমে যাবতীয় লেনদেন সম্পূর্ণ হয়ে থাকে।

এজেন্ট ব্যাংকিং কিভাবে নিতে হয়

এজেন্ট ব্যাংকিং কিভাবে নিতে হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং কিভাবে নেওয়া যেতে পারে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা নিতে চাইলে প্রয়োজনীয় কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচের সেই ধাপগুলো আলোচনা করা হলোঃ

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা পাওয়ার জন্য আপনি যদি একজন ব্যবসিক হন, তাহলে আপনার ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে। এছাড়াও আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে। সেই সাথে আপনার যদি পাসপোর্ট থাকে সেটি লাগবে। এছাড়াও আপনি যদি একজন চালক হন, তাহলে আপনার চালকের লাইসেন্স লাগবে। তাছাড়াও যারা এনজিও পরিচালনা করেন, সমবায় সমিতি পরিচালনা করেন, ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন তাদের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।

সঠিক ব্যাংক নির্ধারণঃ
বাংলাদেশের ২৯ টি ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু রয়েছে। এসব ব্যাংকগুলোর মধ্যে আপনার যেটি ভালো লাগবে আপনি সেই ব্যাংকের আন্ডারে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা নিতে পারেন। এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু রয়েছে এমন ব্যাংকগুলো হলো ডাচ বাংলা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ইসলামিক ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে আপনার যেটি পছন্দ হবে সেই ব্যাংকের আন্ডারে আপনি এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা নিতে পারেন।

আবেদন করার উপায়ঃ
আপনি যে ব্যাংকের আন্ডারে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা নিতে চাচ্ছেন, সেই ব্যাংক সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জেনে নিন। তারপর তাদের শর্তমতো কিভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবেন তা তাদের কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে নিন। এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা নিতে হলে সাধারণত প্রথমত ফরম পূরণ করতে হয়। সে সাথে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে। যেমনঃ জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি। সব শেষ কথা আপনাকে প্রথমে নির্বাচন করতে হবে, আপনি কোন ব্যাংকের আন্ডারে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা নিতে চাচ্ছেন। তারপর আপনাকে নির্বাচিত ব্যাংকে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

এজেন্ট ব্যাংকিং কমিশন কত

এজেন্ট ব্যাংকিং কমিশন কত এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং কমিশন কত হতে পারে তা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। এজেন্ট ব্যাংকিং কমিশন কত এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।

এটি একের ব্যাংকের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়ে থাকে। ব্যাংকের যারা এজেন্ট রয়েছে তারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে কমিশন পেয়ে থাকে। যেমনঃ টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে তারা কমিশন পায়, টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা কমিশন পায়, রেমিটেন্স বিতরণের ক্ষেত্রে তারা কমিশন পায় এবং বিভিন্ন বিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে তারা কমিশন পেয়ে থাকে।

এজেন্ট ব্যাংকিং কমিশন কত এ সম্পর্কে আপনার যদি খুবই জানার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি যে ব্যাংকের আন্ডারে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে চাচ্ছেন বা গ্রহন করেন সে ব্যাংকের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।  এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা

এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। এজেন্ট ব্যাংকিং বলতে আসলে বোঝাই দূরবর্তী অঞ্চলে বা প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া।

এজেন্ট-ব্যাংকিং-নীতিমালা
অর্থাৎ গ্রামের মানুষকে এখন টাকা খরচ করে শহরে এসে ব্যাংকিং সেবা নিতে হয় না। তারা এখন গ্রামে বসেই এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ব্যাংকের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গুলো পেয়ে থাকে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া, টাকা উত্তোলন করা, বিভিন্ন বিল পরিশোধ করা এবং রেমিটেন্স বিতরণ করা সম্ভব হয়।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ লেনদেন করা সম্ভব হবে প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো। এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা শহরে এবং গ্রামে উভয় জায়গায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

এজেন্ট ব্যাংকিং বাংলাদেশ

এজেন্ট ব্যাংকিং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। বাংলাদেশে বর্তমানে ২৯ টি ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু রয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলের কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের মাঝে ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করা সহজ হয়ে উঠেছে।

গ্রামের মানুষজনকে এখন টাকা খরচ করে এসে শহরে ব্যাংকিং সেবা নিতে হয় না। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেবা এখন অনেক উন্নত স্তরে পৌঁছে গেছে। যার ফলে গ্রামের মানুষজন এখন গ্রামে থেকেই এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ব্যাংকের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। তারা খুব সহজে টাকা জমা করতে পারে, আবার টাকা উঠাতেও পারে।

বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা যতগুলো ব্যাংক পরিচালনা করে থাকে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডাচ-বাংলা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক এবং ইসলামিক ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এই ব্যাংকগুলোর আন্ডারে আপনারা বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা নিতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং কি এই সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরও জানতে সক্ষম হয়েছি এজেন্ট ব্যাংকিং কি তার সম্পর্কেও। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাম অঞ্চলের মানুষদের অনেক বেশি সুবিধা হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং থাকায় গ্রাম অঞ্চলের মানুষকে আর শহরে আসতে হয় না।

টাকা খরচ করে শহরে না এসেই গ্রামে থেকেই টাকা উত্তোলন, টাকা জমা দেওয়া কিংবা বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ করতে এখন আর সমস্যা তৈরি হয় না। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমেই যাবতীয় কার্যক্রম খুব সহজে সম্পন্ন করা যাচ্ছে। আমি উপরের আলোচনায় এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়তে পারেন, তাহলে এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্কে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url