বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে অবাক করা কথা
সূচিপত্রঃ বুক জ্বালাপোড়া করার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায়
বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার জন্য কি কি করবেন তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- যাদের বুক জ্বালাপোড়া করে তাদের জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করা দরকার। যেমন ধরেন চর্বিযুক্ত যে সকল খাবার রয়েছে তা পরিহার করতে হবে, আরো পরিহার করতে হবে মসলাযুক্ত খাবার। এছাড়াও ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। টক অথবা ঝাল জাতীয় যাবতীয় ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও দুপুর অথবা রাতের খাবার গ্রহণের পর বিছানায় শুয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। খাবার গ্রহণের পর অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিন ঘন্টা মত বসে থাকার চেষ্টা করতে হবে। অথবা হাঁটাচলা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
- খাবার খাওয়ার সময় মনে রাখতে হবে একসাথে অনেক খাবার খাওয়া যাবে না। খাবার খাবেন অল্প অল্প করে। তাহলে বুক জ্বালাপোড়া করার সমস্যা থাকবে না। যে সকল পানীয় জাতীয় পণ্য রয়েছে তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। কেননা এ সকল পানীয় জাতীয় পণ্য খাওয়ার ফলে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। পানীয় জাতীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে কফি অথবা অ্যালকোহল। যে কোন খাবার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কেননা পর্যাপ্ত পানি খেলে গ্যাসের সমস্যা কমে। যার ফলে বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যায়।
বুক জ্বালাপোড়া করলে কি করতে হয়
- আপনার যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে তখন আপনি চাইলে ঠান্ডা দুধ পান করতে পারেন। কেননা এটি পান করার ফলে বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। এছাড়াও আপনার বুক জ্বালাপোড়া করলে কিছু হালকা জাতীয় খাবার খান। কেননা আপনি যদি খালি পেটে থাকেন এবং বুক জ্বালাপোড়া করে। তাহলে খালি পেটে থাকার কারণে বুক জ্বালাপোড়া আরো বেড়ে যাবে। তাই হালকা জাতীয় খাবার খান। তাহলে বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা কমে আসবে।
- বুক জ্বালাপোড়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি যে সকল ওষুধ খেতে বলবেন তা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা কমে আসবে। এছাড়াও আপনারা বুক জ্বালাপোড়া করলে পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করবেন। তাহলে দেখবেন বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা কমে আসছে। আর মাথায় রাখবেন যে কোন খাবার গ্রহণের পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এটি বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা কমাতে সহায়তা করবে।
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায়
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা বুক জ্বালাপোড়া কমার যাবতীয় ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- বুকের জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য আপনারা হারবাল চা খেতে পারেন। এ ধরনের চা বুকের জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য ভূমিকা রাখে। হারবাল চা বলতে মেথি দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন। যে কোন খাবার গ্রহণ করার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এই পানি মূলত পেটের ভিতর হওয়া যাবতীয় গ্যাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। যার ফলে বুকের জ্বালাপোড়া সমস্যা কমে থাকে।
- বুকের জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য আপনারা আপনাদের খাদ্য তালিকায় যে সকল খাবার গুলো খান। তার সাথে জিরা অথবা হলুদ এমনকি মেথি যুক্ত করে খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এ সকল উপাদানগুলো যুক্ত করে খাওয়ার ফলে হজমের উন্নতি হয়ে থাকে। যার ফলে বুকের জ্বালাপোড়া সমস্যা কমে থাকে। এছাড়াও আপনারা রাতের খাবার গ্রহণের পর বিছানায় শুয়ে যাবেন না। আপনার চেষ্টা করবেন অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিন ঘন্টার মত হাঁটাচলা করতে অথবা বসে থাকতে। এ নিয়ম গুলো মেনে জীবন পরিচালনা করুন। আশা করছি বুকের জ্বালাপোড়া সমস্যা কমে যাবে।
বুক জ্বালাপোড়া করে কেন
- চর্বিযুক্ত খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- ভাজাপোড়া খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- তেলযুক্ত খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- মসলা জাতীয় খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- ঝাল খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- অতিরিক্ত চা খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- অতিরিক্ত কফি খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- কোমল পানি অতিরিক্ত খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- খাবার গ্রহণের পর শুয়ে গেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- বেশি খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- ধূমপান অথবা মদ্যপান করলে বুক জ্বালা পোড়া করে।
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর উপায়
বুক জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা বুক জ্বালাপোড়া কমানোর বেশ কয়েকটি উপায় আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- যেকোনো ভারী খাবার গ্রহণ করার পর সহজে বিছানায় শুয়ে যাবেন না। আপনার চেষ্টা করবেন দুই থেকে তিন ঘণ্টার মতো হাঁটাচলা করা অথবা আপনারা বসে থাকবেন। কিন্তু শুয়ে যাবেন না। এছাড়াও আপনারা উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণের চেষ্টা করবেন। এ সকল খাবারগুলো খুব সহজে হজম হয়ে যায়। তাছাড়াও আপনারা শাকসবজি অথবা ফলমূল এমনকি আঁশ যুক্ত খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এ ধরনের খাবারগুলো খুব সহজে হজম হয়ে যায়। যার ফলে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমানো সম্ভব হবে।
- এছাড়াও আপনারা ধূমপান এবং অ্যালকোহল জাতীয় খাবারগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। কেননা এ সকল খাবারগুলো খেলেও বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা হয়ে থাকে। তাছাড়াও আপনারা চেষ্টা করবেন যে সকল খাবার গুলো গ্যাসে পরিপূর্ণ তা এড়িয়ে চলার। এছাড়াও আপনারা তৈলাক্ত এবং মসলা জাতীয় খাবার গুলোর থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। এই নিয়মগুলো মেনে খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমে আসবে।
কি খেলে বুক জ্বালা কমবে
কি খেলে বুক জ্বালা কমবে এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা কি খাওয়ার ফলে বুক জ্বালা কমে যাবে তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- বুক জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য শসা খেতে পারেন। এটি একটি ঠান্ডা জাতীয় সবজি। যা বুক জ্বালাপোড়া কমিয়ে থাকে। এছাড়া আপনারা আদা চা খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এটিও বুক জ্বালাপোড়া কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও আপনারা হালকা খাবার খেতে পারেন। যেমন ধরেন ওটস। এটিও খাওয়ার ফলে বুকের জ্বালাপোড়া অনেকাংশে কমে থাকে।
- বুকের জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য এক গ্লাস মতো ঠান্ডা দুধ খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এটিও আপনার বুকের জ্বালাপোড়া কমাতে সহায়তা করে থাকবে। বুকের জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য কলা খেতে পারেন। এটি পেটের ভেতরের যাবতীয় এসিড কমিয়ে দিয়ে বুকের জ্বালাপোড়া সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকবে। বুকের জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য তরমুজ খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এটিও পেটের এসিডিটি কমিয়ে দিয়ে বুকের জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর করে থাকে।
বুক জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ
বুক জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা বুক জ্বালাপোড়া করার সমস্যাটা আসলে কিসের লক্ষণ তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। বুক জ্বালাপোড়া করা অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এছাড়াও বুক জ্বালাপোড়া করা পেটের ভিতর ক্ষত হওয়ার লক্ষণও হতে পারে।
তাছাড়াও যখন পেটের ভেতরে থাকা এসিড উপরের দিকে উঠে যায় তখনোও বুকে জ্বালাপোড়া করতে পারে। এটিও একটি লক্ষণ হতে পারে। এখন প্রশ্ন হল আপনি কখন একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন? যখন দেখবেন বুকের জ্বালাপোড়া সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে অথবা বুক জ্বালাপোড়া করার সময় বুকে ব্যথা হচ্ছে অথবা শ্বাসকষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে।
এছাড়াও খাবার গ্রহণের পর বুকের জ্বালাপোড়ার সমস্যাটা প্রায় হতে দেখা যাবে। তখন আপনারা একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আমি উপরের আলোচনায় অর্থাৎ বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় কি তার সম্পর্কে উপরের আলোচনায় বিস্তারিত জানিয়েছি। চাইলে তা দেখে আসতে পারেন।
বুক জ্বালাপোড়া করলে কি করব
বুক জ্বালাপোড়া করলে কি করব এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা বুক জ্বালাপোড়া করলে তৎক্ষণাৎ কি উপায় অবলম্বন করতে পারেন তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। বুক জ্বালাপোড়া করলে এই সময় আপনারা ঠান্ডা দুধ পান করার চেষ্টা করবেন। অথবা আপনারা এক গ্লাস পানি নিয়ে তা পান করার চেষ্টা করবেন।
বুক জ্বালাপোড়া শ্বাসকষ্ট
বুক জ্বালাপোড়া শ্বাসকষ্ট এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা বুক জ্বালাপোড়া করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় কিনা তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। বুক জ্বালাপোড়া করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এটি হওয়ার কারণ হলো বুক যখন জ্বালাপোড়া করে তখন পেটের ভেতর থাকা এসিড খাদ্যনালির উপরের দিকে উঠে যায়।
যার কারণেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে। আর দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়ে আসলে এজমার মত ভয়াবহ সমস্যা তৈরি হতে দেখা যাবে। তাই আপনারা বুকের জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর করার জন্য যে সকল নিয়মকানুন মেনে চলা দরকার তা মেনে চলার চেষ্টা করবেন। আমি উপরের আলোচনায় অর্থাৎ বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় কি তার সম্পর্কে উপরের আলোচনায় বিস্তারিত জানিয়েছি। চাইলে তা দেখে আসতে পারেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url