ত্রিফলার ১১টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা
ত্রিফলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকারিতা বয়ে আনে। আর এজন্যই এর যাবতীয়
গুনাগুন গুলো আমাদের জানা অতীব প্রয়োজন।
ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া
লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র আপনারা
ত্রিফলার যাবতীয় গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যেতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ ত্রিফলার যাবতীয় গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন
ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা
ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে
আমরা ত্রিফলার যাবতীয় ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে
ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
ত্রিফলার উপকারিতা গুলোঃ
- আমাদের শরীরে অনেক সময় রক্তের ঘাটতি দেখা দেই। যা একটি সমস্যা তৈরি করে। যাদের শরীরে রক্ত শূন্যতা দেখা দিবে। তারা ত্রিফলা খেতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে শরীরের রক্তশূন্যতা দূর হয়ে শরীর সুস্থ হয়ে ওঠে।
- ত্রিফলা ইনসুলিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এর ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে অথবা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। তারা ত্রিফলা খেতে পারেন। এটি ডায়াবেটিস সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকবে।
- অনেক সময় মাথাব্যথার সমস্যা তৈরি হয়। এমন হয় যে আর সহ্য হচ্ছে না খুবই মাথা ব্যাথা। তাহলে আপনারা এই অবস্থায় একজন বিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ত্রিফলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এটি মাথা ব্যথার সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
- আমাদের অনেকের হজমের সমস্যা হয়। ঠিকমতো খাবার হজম হয় না। এই সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য সবচাইতে আদর্শ উপায় হতে পারে ত্রিফলা। এটি খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া আরো উন্নত পর্যায়ে পৌছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তারা চাইলে ত্রিফলা খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কেননা এটি শ্বাসকষ্টের রোগের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এটির সঠিক ব্যবহার জেনে শ্বাসকষ্ট রোগীরা এটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- ত্রিফলা খাওয়ার ফলে লিভার থেকে এটি টক্সিন এবং ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারকে খুব ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই লিভারের যত্নে ত্রিফলা খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
- যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে। তারা ত্রিফলা খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কেননা এটি আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে এটি খেতে পারেন।
- ত্রিফলা ভিটামিন সি এবং সেই সাথে নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদানে ভরপুর। যার কারণে এটি খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এটি আমাদের শরীরের নানা রকমের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে।
- ত্রিফলা খাওয়ার ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি ঝরে যায়। আর এর কারণে যাদের ওজনের সমস্যা রয়েছে তারা এটি খেতে পারেন। এটি আপনার অতিরিক্ত চর্বি পুড়িয়ে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকবে। এছাড়াও এটি পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
- ত্রিফলা চুলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি চুলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলস জোগাতে সহায়তা করে থাকে। সেই সাথে এটি নতুন চুল গজানোর জন্য ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি চুলের খুশকি সমস্যা দূর করে চুলকে সুন্দর এবং ঝলমলে রাখতে সহায়তা করে থাকে।
- ত্রিফলায় থাকা বিভিন্ন এনজাইম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভূমিকা রাখে। এটি মূলত আমাদের ত্বকে অকালে বার্ধকের ছাপ পড়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই অকালে বার্ধকের চাপ পড়া প্রতিরোধে ত্রিফলাকে কাজে লাগাতে পারেন।
- ত্রিফলা খাওয়ার ফলে অরুচি ভাব দূর হয়, কিডনির পাথর হওয়া প্রতিরোধ হয়, বাচ্চাদের সিসনাল রোগ প্রতিরোধ করতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এ সকল রোগ প্রতিরোধ করার জন্য আপনারা ত্রিফলা খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
- চোখের অনেক সমস্যায় যেমন ছানি পড়া সমস্যায় ত্রিফলার আয়ুর্বেদিক গুনাগুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
ত্রিফলার অপকারিতা গুলো
- এটি খাওয়ার ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর এর ফলে ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা হবে তারা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়াও এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা, গ্যাস অথবা ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে। তাই এটি অতিরিক্ত সেবন করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
- গর্ভবতী মহিলারা এটি খাওয়ার আগে সতর্ক হবেন। কেননা এটি খাওয়ার ফলে গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে। তাই এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও যারা ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত ওষুধ খান এ সময় তাদের এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এটি এই সময় খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
ত্রিফলার জলের উপকারিতা
ত্রিফলার জলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা
ত্রিফলার জলের যাবতীয় উপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা
করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- ত্রিফলার জল মূলত চোখের সমস্যায় ভূমিকা পালন করে থাকে। এই জল চোখে ক্লান্তি দূর করে। সেই সাথে এটি চোখের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এই জল শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমানোর কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়াও ত্রিফলার জল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার জন্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
- ত্রিফলার জল আমাদের শরীরের নানা রোগ দূর করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহু গুণে বাড়িয়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্রিফলার জল আপনি যদি নিয়মিত সেবন করার চেষ্টা করেন। তাহলে দেখবেন আপনার চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়ে এটি নতুন চুল গজানোর জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকছে।
- ত্রিফলার জল আমাদের নিত্যদিনের সমস্যা হজম শক্তির উন্নতি ঘটাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এ জল খাওয়ার ফলে আমাদের হজম শক্তির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে এটি গ্যাস বা এসিডিটির সমস্যা দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে। এছাড়াও এটি ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ পোস্ত খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময়
ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে
আমরা ত্রিফলা খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন
তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- ত্রিফলা ঔষধী গুণাগুণ সম্পন্ন। এটি মূলত হরিতকী, আমলকি এবং বহেড়ার সংমিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে। এটি আপনারা রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানিতে অর্থাৎ হালকা কুসুম গরম পানিতে মিস করে খেতে পারেন। চাইলে আপনারা এর সাথে মধু মিশ্রিত করেও খেতে পারেন। এতে করে আপনাদের হজম প্রক্রিয়া খুব দ্রুতগতিতে সম্পূর্ণ হবে। আর হজম প্রক্রিয়া ভালো হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
- আপনারা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ত্রিফলা মিস করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার শরীর থেকে যাবতীয় ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের হয়ে যাবে। সেই সাথে এটি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করবে। তবে মাথায় রাখবেন ত্রিফলার গুড়া খাবেন। তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার উপকারিতা
ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই
পর্বে আমরা ত্রিফলা চূর্ণ করে খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাবেন তা
সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- ত্রিফলা চূর্ণ করে খাওয়ার ফলে আমাদের যেটি সবচাইতে বড় উপকার হয় তা হলো হজমের সমস্যা দূর হয়। অর্থাৎ এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। আর এর কারণে গ্যাস, এসিডিটি, পেট ফাঁপা ইত্যাদি নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। তাই এ ধরনের সমস্যা গুলো প্রতিরোধ করার জন্য আপনারা ত্রিফলা চূর্ণ করে খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
- ত্রিফলা চূর্ণ করে খাওয়ার ফলে এটি ল্যাক্সেটিভ উপাদান হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এর ফলে আমাদের পেট সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হয়ে যায়। আর পেট পরিষ্কার থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে খুব সহজে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়। এছাড়াও এটি আমাদের ত্বকের, চুলের এবং চোখের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ কাবাব চিনির ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এিফলা খাওয়ার নিয়ম
এিফলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা
চেষ্টা করব কোন উপায়ে এবং কিভাবে ত্রিফলা খেলে এর সঠিক উপকারিতা পাওয়া যাবে
সেই সম্পর্কে। প্রথমে আপনারা ভালোভাবে জেনে নেন যে ত্রিফলা মূলত হরিতকি,
আমলকি এবং বহেড়ার সংমিশ্রনে তৈরি হয়ে থাকে।
এটি আপনারা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশ্রিত
করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এটিকে আরও স্বাদযুক্ত করে তোলার জন্য আপনারা চাইলে
এর সাথে মধু মিস করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা যখন রাতে ঘুমাতে যাবেন তখনও
আপনারা হালকা গরম কুসুম পানির সাথে ত্রিফলা এবং মধু মিস করে পান করতে পারেন।
এতে করে যে উপকারটা হবে তা হলো আপনার হজম শক্তি খুব ভালো পর্যায়ে চলে যাবে।
অর্থাৎ খাবার হজম না হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আর খাবার হজম হওয়ার
সমস্যা থেকে মুক্তি পেলে গ্যাস্ট্রিক, এসিডিটি এবং বদ হজমের সমস্যা থেকে
রক্ষা পাবেন। তাই আপনাদের এই নিয়ম গুলো মেনে ত্রিফলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
ত্রিফলা পাউডার এর উপকারিতা
ত্রিফলা পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে
আমরা ত্রিফলা পাউডার এর যাবতীয় গুণাবলী গুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- ত্রিফলা পাউডারটি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয়ে থাকে। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরের যত ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ রয়েছে তা দূর করে দেয়ার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এই বিশেষ পাউডারটি আমাদের শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে এটি আমাদের শরীরকে শক্তি যোগিয়ে শরীরকে এনার্জি ফুল করে তোলার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগে থাকে। দিন যত যাচ্ছে এর পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা চাইলে হরিতকি, আমলকি এবং বহেড়ার সংমিশ্রনে তৈরি ত্রিফলার পাউডার সেবন করতে পারেন। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
- এটি আপনারা রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিস করে খেতে পারেন। এতে করে চুল, ত্বক এবং চোখের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। অর্থাৎ এটি চোখের ছানি পড়া প্রতিরোধ করবে। সেই সাথে এটি চুল পড়া কমিয়ে চুলকে ঘন আকর্ষণীয় করে তুলবে। এছাড়াও এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকবে।
আরো পড়ুনঃ মৌরি খাওয়ার ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায়
ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায় এ সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই
পর্বে আমরা ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যেতে পারে তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার
চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ত্রিফলা অনেক রোগের চিকিৎসায়
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এটি বিশেষ করে আমাদের ত্বকের, চুলের এবং চোখের সমস্যা সহ আরো নানা রোগের
সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি মূলত আপনি কতদিন খাবেন তা
নির্ভর করবে আপনার শারীরিক অবস্থার ওপর। অর্থাৎ আপনি যে সমস্যায় ভুগছেন। সেই
সমস্যাটা যদি সমাধান হয়ে যায়। তাহলে এটি আর খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
যেমন ধরেন আপনি হজমের সমস্যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ করার সমস্যায় ভুগছেন। এ
সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আপনি চাইলে এক থেকে তিন মাস এটি খেতে পারেন।
এরপর যখন দেখবেন আপনার হজমের সমস্যা সেই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণ করার সমস্যা দূর
হয়ে গেছে।
আরো পড়ুনঃ শিমুলের মূল খাওয়ার ১৩টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
তখন এটি খাওয়া বন্ধ করে দিবেন। সবচাইতে বেশি ভালো হয় আপনি এটি কত দিন খেতে
পারবেন তা সম্পর্কে একজন বিজ্ঞ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
তিনি সবচাইতে ভালো উপায়টা বলে দিতে পারবে আপনাকে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ত্রিফলার জলের উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
ত্রিফলার দাম কত
ত্রিফলার দাম কত এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা
ত্রিফলার দাম কেমন হতে পারে তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন
তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ত্রিফলা এটি মূলত হরিতকি, আমলকি এবং বহেড়ার
সংমিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে। এটি আমাদের শরীরের নানা রোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে থাকে।
এটিকে কাজে লাগিয়ে আপনারা নানা সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এখন আপনাদের
প্রশ্ন হল এটির দাম কেমন হতে পারে তা সম্পর্কে। আমরা একটি জনপ্রিয় অনলাইন
ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে ত্রিফলা পাউডারের দাম দেখতে পায় ১০০ টাকা।
যেখানে
এই পাউডার থাকবে ১০০ গ্রাম। এছাড়াও আমরা আরও একটি জনপ্রিয় অনলাইন ই-কমার্স
ওয়েবসাইটে গিয়ে এর দাম দেখতে পাই ৬০ টাকা। এই পাউডারের দাম মূলত এরকমই হয়ে
থাকে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায়
ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায় এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের
এই পর্বে আমরা ত্রিফলা প্রতিদিন খাওয়া যায় কিনা তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার
চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- ত্রিফলা এটি একটি ঔষধি গুনসম্পন্ন পাউডার। এই পাউডার নিয়মিত খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এবং সেই সাথে গ্যাস, এসিডিটি এবং বদহজমের সমস্যা প্রতিরোধে থাকে। কিন্তু আপনাদের প্রশ্ন হল এটি কি প্রতিদিন খাওয়া যাবে। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে এর উত্তর হবে হ্যাঁ, এটি নিয়মিত খাওয়া যাবে।
- তবে আপনাদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে এটি নিয়মিত আপনারা তখনই খাবেন যখন আপনাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, বদহজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা তৈরি হবে তখন। অর্থাৎ আপনাদের যখন এই ধরনের সমস্যা গুলো তৈরি হবে তখনই আপনারা এটি খাবেন। এটি এক থেকে দুই মাস অথবা তিন মাস খাওয়ার পর যখন দেখবেন এ ধরনের সমস্যা গুলো প্রতিরোধ হয়ে গেছে। তখন আর এটি খাওয়ার প্রয়োজন হবে না। তবে যাদের ক্ষেত্রে টানা খাওয়ার ফলে সমস্যা তৈরি হবে। তারা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা
উপরের আলোচনা থেকে আমরা ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি ত্রিফলার জলের উপকারিতা
সম্পর্কেও। ত্রিফলা মূলত একটি ঔষধি পাউডার। এই বিশেষ পাউডারটি হরিতকি, বহেড়া
এবং আমলকির সংমিশ্রনে তৈরি করা হয়। এই বিশেষ পাউডারটি নিয়ম মেনে নিয়মমাফিক
খাওয়ার ফলে শরীরের নানা উপকার হয়ে থাকে।
এই উপকারগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আমি উপরের আলোচনায় এর যাবতীয় গুনাগুন গুলো আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা
করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়ার চেষ্টা করেন। তাহলে এর
যাবতীয় গুনাগুন গুলো আপনাদের শরীরে ধারণ করতে সক্ষম হবেন। সেই সাথে নানা
উপকারে গুণান্বিত হতে পারবেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url