তেজপাতার ১৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া অনেক বেশি প্রয়োজন। কেননা তেজপাতার এমন সকল গুনাগুন রয়েছে। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই এর গুনাগুন জানা অতীব প্রয়োজন।

তেজপাতার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখা গুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র তেজপাতার যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে সক্ষম হবেন।

সূচিপত্রঃ তেজপাতার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন 

তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা তেজপাতার যাবতীয় ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তেজপাতা অত্যন্ত উপকারী একটি মসলা। এটি আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটির যেমন ভাল দিক রয়েছে ঠিক তেমনি খারাপ দিকও রয়েছে। চলুন এর ভালো দিক এবং খারাপ দিকগুলো জেনে আসি।

তেজপাতার উপকারিতা গুলোঃ
  • আপনি যদি কিছু তেজপাতা গরম জলে দিয়ে তার পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করার পর চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার চুলের খুশকি হওয়া, চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • তেজপাতায় ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬ রয়েছে। যার কারণে এটি আমাদের শরীরের যাবতীয় রোগ দূর করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য তেজপাতা হতে পারে একটি আদর্শ উপায়।
  • আপনি যদি প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় তেজপাতা রাখতে পারেন তবে তা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকবে।
  • কাটা-ছেঁড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন এবং ঘা ভালো করতে তেজপাতা কাজ করে থাকে। আপনার বাড়িতে যদি তেজপাতা থাকে তাহলে খুব সহজেই এ ধরনের সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে তেজপাতা বেটে ক্ষতস্থানে এক ঘন্টা মত লাগিয়ে রাখতে হবে।
  • অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন তেজপাতা ধোঁয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ধোঁয়ার এই গন্ধে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
  • তেজপাতা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে থাকে। একই সাথে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে বিভিন্ন হৃদরোগের ঝুঁকে থেকে রক্ষা করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তেজপাতা হতে পারে একটি আদর্শ উপায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে থাকে।
  • যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য তেজপাতা হতে পারে অনেক উপকারী। তেজপাতা আমাদের শরীরের হজম শক্তিকে উন্নত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • ঠান্ডা লাগা, জ্বর-সর্দি ইত্যাদি নানা সমস্যায় তেজপাতা ব্যাপক কার্যকরী। এছাড়াও তেজপাতাতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গলায় হওয়া সংক্রমিত ক্ষত নিরাময়েও কাজ করে থাকে।
  • চার কাপ জলে তেজপাতা ফুটিয়ে খাওয়ার ফলে বর্ষাকালে হওয়া ত্বকের ছত্রাক জনিত সংক্রমণ দূর হয়ে থাকে।
  • মানসিক সমস্যা দূর করার জন্য তেজপাতা হতে পারে একটি আদর্শ উপায়। তেজপাতা রান্নায় ব্যবহারের ফলে মানসিক রোগ থেকে আরাম পাওয়া যায়।
  • তেজপাতায় এমন সকল গুণগণ রয়েছে যা নখের সমস্যায় দ্রুত কাজ করে থাকে। এজন্য আপনারা দুইটি তেজপাতাকে নিয়ে এবং সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসাথে নেওয়ার পর দুটি উপকরণকে একসাথে পেস্ট করুন। এরপরে এই পেস্টটি নখের চারপাশে দুই মিনিট মতো মেসেজ করতে থাকুন।
  • তেজপাতার নির্যাস এর তেল নিয়ে আপনার বুকে ভালোভাবে আলতো হাতে মালিস করতে থাকুন। দেখবেন এতে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
  • তেজপাতাকে পুড়িয়ে ফেলার পর সেই পুরানো ছাই দিয়ে দাঁত মাজুন। এতে করে দাঁতের থাকা ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
  • আপনি যদি দুইটি তেজপাতা নিয়ে এই পাতার ভেজানো জল খেতে পারেন তবে আপনার সঠিকভাবে মূত্র ত্যাগ হবে এবং আপনার কিডনি ঠিক ভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে।
  • বাতে অথবা গেঠের বাতে তেজপাতার ছাল গুড়া করে প্রলেপ দেওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা দূর হবে।
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য খেতে পারেন তেজপাতার চা।
  • বিষন্নতা দূর করার জন্যও তেজপাতার চা অত্যন্ত উপকারী।
তেজপাতার অপকারিতা গুলোঃ

তেজপাতার উপকারিতার পাশাপাশি এর কিছু অপকারিতও রয়েছে। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তেজপাতা ব্যবহারের ফলে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। তাই যাদের তেজপাতা ব্যবহারের ফলে এলার্জির সমস্যা হবে। তারা তেজপাতা ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের এটি ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাছাড়াও যারা হার্টের রোগী রয়েছে। তাদের জন্যও এটি খাওয়া নিরাপদ নয়। এটি খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। হজমের সমস্যা থাকলে এটি খাওয়া ঠিক হবে না। আপনার যদি পেট খারাপের সমস্যা থাকে তখন যদি আপনি রান্নায় তেজপাতা ব্যবহার করেন। তখন আপনার অসুস্থতা বেড়ে যেতে পারে। তাই এই নিয়মগুলো মেনে তেজপাতা খাওয়ার চেষ্টা করুন।

চুলের জন্য তেজপাতার উপকারিতা

চুলের জন্য তেজপাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা তেজপাতা কে কিভাবে চুলের জন্য কাজে লাগানো যায় সে সম্পর্কে জেনে নেব। চুল আমাদের মাথার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আমাদের শরীরকে সৌন্দর্য বর্ধিত করে তোলে। তাহলে বুঝতে পারছেন চুল থাকা কতটুকু প্রয়োজন। এজন্য চলে যত্ন নেওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর আপনি চাইলে তেজপাতা দিয়ে চুলের যত্ন নিতে পারেন।
  • এজন্য আপনাকে একটি পাত্র দিতে হবে। সেই পাত্রতে নারিকেল তেল এর সাথে কিছু তেজপাতা গরম করে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর এই তেল একটি বোতলে ভরে রেখে নিয়মিত ব্যবহার করুন। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাবে।
  • শুকনো তেজপাতা নিয়ে তা গুঁড়ো করে ফেলুন। এরপর তার সাথে টক দই মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি চুলে ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • তেজপাতাকে পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে এই পানি দিয়ে চুল ধুতে পারেন। এ পানি দিয়ে চুল ধোয়ার পর আবার পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন। এ কাজটি নিয়মিত করার ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
  • আরো পড়ুনঃ ধনে পাতার ৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন   

  • দুই কাপ মত পানি নিন। এরপর এই পানিতে পাঁচটি তেজপাতা কিছুক্ষণ ধরে গরম করতে থাকুন। পানি গরম হয়ে ফুটিয়ে গেলে ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। এরপর প্রথমে শ্যাম্পু করুন। তারপর এই ফুটানো পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এবার আবারো এমনি ঠান্ডা পানি নিন তারপর আবার চুল ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি নিয়মিত করার ফলে চুলের রুক্ষতা দূর হবে এবং চুল মসৃণ হয়ে উঠবে।

ত্বকের জন্য তেজপাতার উপকারিতা

ত্বকের জন্য তেজপাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা তেজপাতাকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া যেতে পারে সেই সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। তেজপাতা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চলুন তা দেখে নিই।

  • এজন্য প্রথমে বেশ কিছু পানিতে তেজপাতা সিদ্ধ করে নিন। এরপর তা ঠান্ডা হতে সময় দিন। তারপর সেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এ কাজটি নিয়মিত করার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ত্বকে হওয়া ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
  • প্রথমে দুই কাপ পানি নিয়ে তাতে পাঁচটি তেজপাতা দিয়ে হালকা করে জাল করে নিন। এরপর এই পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে নিন। এটি দিয়ে আপনার ত্বকে ৫ মিনিট মতো স্টিম করতে থাকুন। এ কাজটি করার ফলে ত্বক পুনরুজ্জীবিত হবে। সেই সাথে আপনার ত্বকের এক সুন্দর গ্লো দিবে।
  • নিয়মিত তেজপাতা সেদ্ধ করা পানি দিয়ে মুখে ভাব নেন। এ কাজটি নিয়মিত করার ফলে ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকবে। কেননা তেজপাতার সেদ্ধ করা পানিতে এনজিং সলিউশন রয়েছে। তাই নিয়মিত এই কাজটি করার চেষ্টা করুন।

তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম

তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা তেজপাতা কিভাবে খেতে হয় তা সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নিই। তেজপাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে নানা ধরনের অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

  • তেজপাতাকে সাধারণত রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনারা চাইলে তেজপাতাকে রান্নার সাথে দিয়েও খেতে পারেন। এর ফলে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।
  • তেজপাতা খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে সেটাও দূর হয়ে থাকে। এজন্য তেজপাতার সম্পূর্ণ উপকারিতা পাওয়ার জন্য তেজপাতাকে গরম জলে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই ফুটানো পানি নিয়মিত সকালে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এ কাজটি করতে পারলে অনেক ধরনের রোগ থেকেই মুক্তি পেতে পারবেন।
  • আরো পড়ুনঃ শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা - শিমের বিচি খাওয়ার নিয়ম 

  • তেজপাতা দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন। এজন্য প্রথমে একটি পাত্রে তেজপাতা এবং দারুচিনি গুঁড়ো ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর এই ফুটানো পানি ছেঁকে নিয়ে তাতে আপনি মধু অথবা লেবুর রস যোগ করে মজাদার চা খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার হবে।

তেজপাতার ধোয়ার উপকারিতা

তেজপাতার ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে তেজপাতার ধোঁয়া ব্যবহার করে কি ধরনের উপকারিতা পেতে পারেন তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন আমরা তা জেনে নেই।

তেজপাতার-ধোয়ার-উপকারিতা

  • বুকে জমা কফ অথবা সর্দি কাশিতে কষ্ট পেলে তেজপাতা জ্বালিয়ে এর ধোঁয়া মুখ হা করে টানতে থাকুন। এটি করার ফলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • তেজপাতার মধ্যে থাকে এক ধরনের তৈল উপাদান। যার কারণে ঘরের ভেতর তেজপাতা পোড়ালে এটি ঘরের মধ্যে সুগন্ধ ছড়িয়ে দিবে। ঘরকে সুগন্ধ করে তোলার জন্য এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন।
  • তেজপাতার ধোঁয়া ঘরের ভেতর দিলে ঘরের ভেতর থেকে যাবতীয় পোকামাকড় দূর হয়ে যাবে। সেই সাথে পরিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া যাবে।
  • তেজপাতা পোড়ানোর গন্ধ আপনি যদি নিতে পারেন। তবে আপনার শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকবে। তাই শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত তেজপাতা পোড়ানোর গন্ধ নিতে পারেন।
  • তেজপাতাকে পুড়িয়ে সারা ঘরে এর ধোঁয়া ছড়িয়ে দিন। এতে করে তেজপাতার ধোঁয়াতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মন এবং শরীরের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর এর ফলে শরীরের ক্রান্তি এবং মন চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
  • ঘরে তেজপাতার ধোঁয়া দিলে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসবে। তাই ঘুমের এ ধরনের সমস্যা সমাধান করার জন্য তেজপাতার ধোঁয়াকে ব্যবহার করতে পারেন।

তেজপাতার পানি খাওয়ার উপকারিতা

তেজপাতার পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা তেজপাতার পানি খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা হতে পারে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তেজপাতার পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। চলুন দেখে নেই কি সেই উপকারিতাগুলোঃ

  • তেজপাতাকে পাঁচ থেকে দশ মিনিট গরম পানিতে সেদ্ধ করে এই পানিতে আপনি চাইলে আদা বা লেবুর রস মিশিয়ে সেই পানি খেলে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা প্রদান করে থাকবে। এছাড়াও বদহজমের সমস্যা দূর করতেও এই পানি কাজ করে থাকবে।
  • তেজপাতার এরকম পানি খাওয়ার ফলে শরীরের ক্রান্তি ভাব দূর হবে এবং সারাদিনের জন্য শরীরের বাড়তি এনার্জি পাওয়া যাবে। সেই সাথে এই পানিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আপনার রোগ প্রতিরধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা প্রদান করবে।
  • আরো পড়ুনঃ কাঁচা মরিচের ১৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

  • তেজপাতার এরকম পানি রোজ সকালে খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য, ফুসফুস এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকবে।
এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং চুলের জন্য তেজপাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

তেজপাতা ব্যবহার করার উপায়

তেজপাতা ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা তেজপাতাকে কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • তেজপাতা মাথা ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা এবং বাতের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। এজন্য আপনারা চাইলে তেজপাতা এবং রেডির পাতার পেস্ট তৈরি করে। ব্যথায় আক্রান্ত জায়গায় ২০ মিনিট মত লাগিয়ে রাখুন। তাহলেই এই ব্যথা কমে যাবে। তাছাড়াও এই পাতার তেলগুলো কপালে ম্যাসাজ করলে মাথাব্যথা সমস্যা দূর হয়।
  • আরো পড়ুনঃ সাদা তিলের উপকারিতা ও অপকারিতার মারাত্মক কিছু তথ্য জেনে নিন  

  • তেজপাতা ব্যবহার করার ফলে মানসিক চাপ কমে থাকে। কেননা এতে রয়েছে লিনালুল নামে এক ধরনের উপাদান। যেটি মানসিক চাপ কমিয়ে উৎকণ্ঠা রোধ করতে,শান্ত থাকতে এবং হতাশা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

তেজপাতার চা খাওয়ার উপকারিতা

তেজপাতার চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। চলুন আজকে আমরা চা তৈরীর পদ্ধতি এবং এটি খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। এজন্য প্রথমে আপনাকে একটি প্যানে তিন থেকে চারটি তেজ পাতা দিয়ে তাতে এক কাপ জল দেওয়ার পর পাঁচ মিনিট মতো জাল দিয়ে গরম করে নিন।

তেজপাতার-চা-খাওয়ার-উপকারিতা
এরপর তা হয়ে এলে ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিন। তৈরি হয়ে গেল তেজপাতার চা। এই চা খাওয়ার ফলে ঠান্ডা লাগা সমস্যা দূর হয়। সেই সাথে আর্থাইটিসের ব্যথা উপশম হয়ে থাকে। এই চাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। এছাড়াও এ চা খাওয়ার ফলে হজম শক্তি উন্নক্ত হয়।

তাছাড়াও এই চা খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও এই চা দারুন কার্যকরী। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

ওজন কমাতে তেজপাতা খেলে কি হয়

ওজন কমাতে তেজপাতা খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ওজন কমানোর জন্য তেজপাতা কতটুকু প্রয়োজনীয়। সেইসব জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত। তারা শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোন ভাবেই কমাতে পারছেন না।

তারা চাইলে তেজপাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। এটি নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি তেজপাতা দিয়ে তৈরি চা নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ পুড়ে যাবে। যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তাই নিয়মিত তেজপাতা দিয়ে তৈরি চা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি চুলের জন্য তেজপাতার উপকারিতা সম্পর্কেও। তেজপাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ধরনের উপকারিতা বয়ে আনে। কিন্তু আমরা হয়তো এ কথাটা আগে থেকে জানি না। যার কারনে এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আমরা আজও অজানা ছিলাম। 

আপনাদের সুবিধার্থে তাই আমি উপরের আলোচনায় তেজপাতার যাবতীয় উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি উপরের আলোচনাটি যদি আপনারা পড়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই তেজপাতার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে জানতে সক্ষম হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url