শুকনা মরিচের ১৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

শুকনা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানা প্রয়োজন। কেননা এটি আমাদের নিত্যদিনের  রান্নায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা কেউই এর সঠিক গুনাগুন জানিনা। সেজন্য এর গুণাবলী জানা অতীব প্রয়োজনীয়।

শুকনা-মরিচের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
শুকনা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র শুকনা মরিচের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে এ টু জেড জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ শুকনো মরিচের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

শুকনা মরিচের উপকারিতা

শুকনা মরিচের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা শুকনা মরিচের যাবতীয় উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। শুকনা মরিচ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এতে থাকা নানা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের নানা অসুখ বিসুখ দূর করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। চলুন তাই এবার আমরা শুকনা মরিচের উপকারিতা গুলো দেখে আসি।

  • শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে যাদের বাতের ব্যথা রয়েছে। তাদের এই সমস্যা দূর হয়ে থাকে। তাই আপনারা যদি বাতের ব্যথা থাকে। তাহলে আপনি শুকনা মরিচ খেয়ে দেখতে পারেন।
  • শুকনা মরিচ ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যার কারণে এই মরিচ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণে এই মরিচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • হাই প্রেসার সমস্যায় ভুগা রোগীদের জন্য শুকনা মরিচ হতে পারে একটি আদর্শ ঔষধ। এ মরিচ খাওয়ার ফলে হাই প্রেসার সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়।
  • আপনি যদি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাহলে আজ থেকেই শুকনা মরিচ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহু গুণে বেড়ে যাবে।
  • শুকনা মরিচে থাকা ভিটামিন এ চোখের উন্নতির জন্য ব্যাপক কার্যকরী। নিয়মিত শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো হয়ে থাকে। এজন্য আপনি যদি চোখের সমস্যায় ভুগেন। তাহলে নিয়মিত শুকনা মরিচ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • ঠান্ডার কারণে যদি আপনার নাক বন্ধ হয়ে থাকে। তাহলে শুকনা মরিচ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ধরনের সমস্যায় শুকনা মরিচ অত্যন্ত কার্যকরী।
  • শুকনা মরিচে রয়েছে ক্যাপসিসিন নামক এক ধরনের উপাদান। এই উপাদানটি থাকার কারণে আপনি যদি শুকনা মরিচ খান তবে আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকবে।
  • শুকনা মরিচ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যার কারণে নিয়মিত শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে মূত্রনালী ও ফুসফুসের যাবতীয় সংক্রমণ খুব সহজেই ঠেকানো সম্ভব হয়।
  • শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল কমে থাকে। সেই সাথে এটি খাওয়ার ফলে হাইপারটেনসন কমে থাকে। আর এর কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্টকের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
  • শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে ফোলেট ও ভিটামিন বি৬ উপাদান পাওয়া যায়। যার কারণে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়ে থাকে।
  • ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে শুকনা মরিচ কাজ করে থাকে। এতে থাকা লাইকোপিন নামক উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে আন্দোলন গড়ে তুলে।
  • শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে শরীর থেকে ক্যালরি ঝরে যায়। আর এর কারণে ওজন নিয়ন্ত্রনে চলে আসে।
  • শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে আলসার ভালো হয়ে থাকে। এছাড়াও এই মরিচ খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া অনেক উন্নত হয়। সেই সাথে গ্যাস এবং বমি বমি ভাবসহ পেটের যাবতীয় রোগ দূর হয়ে থাকে।
  • নিয়মিত শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে এটি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে থাকে।
  • নিয়মিত শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে আর্থাইটিস, সোরিয়াসিস, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি এ ধরনের যাবতীয় ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়।
  • শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে নাক অথবা ফুসফুসের জড়তা দূর করার জন্য এটি কাজ করে থাকে।

শুকনা মরিচের পুষ্টিগুণ

শুকনা মরিচের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা শুকনা মরিচের যাবতীয় পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। শুকনা মরিচে নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। তাই চলুন সেই পুষ্টিগুণগুলো জেনে নিই।

প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনা মরিচে

ভিটামিন সি রয়েছে ২৩৯%, আয়রন রয়েছে ৫%, ভিটামিন বি৬ রয়েছে ২৫%, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ৫%, ক্যালসিয়াম রয়েছে ১%, সোডিয়াম রয়েছে ৯ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম রয়েছে ৩২২ মিলিগ্রাম, সুগার রয়েছে ৫ গ্রাম এবং প্রোটিন রয়েছে ১.৯ গ্রাম।

শুকনা মরিচের অপকারিতা

শুকনা মরিচের অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা শুকনা মরিচের যাবতীয় অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। শুকনা মরিচের অনেকগুলো উপকারিতা থাকলেও এর রয়েছে কিছু অপকারিতাও। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। চলুন এই অপকারিতা গুলো দেখে আসি।

  • শুকনো মরিচ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেপটিক আলসারের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে শুকনো মরিচের সাথে ব্যবহার করা কৃত্রিম রং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক।
  • গর্ভবতী মায়েরা যদি এই অবস্থায় শুকনা মরিচ খায় তবে তাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও নবাগত শিশুরও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। এজন্য গর্ভবতী মায়েদের শুকনা মরিচের গুড়া খাওয়া নিরাপদ নয়।
  • শুকনা মরিচের গুড়া অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ ধরনের সমস্যা দূরে রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে শুকনা মরিচের গুড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে শুকনা মরিচের গুড়া খেলে মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে অন্য যে কোন খাবার খাওয়ার প্রতি রুচি আসে না। এছাড়াও শুকনা মরিচ হজমের সমস্যা তৈরি করে থাকে।

শুকনা মরিচের গুড়া সংরক্ষণ পদ্ধতি

শুকনা মরিচের গুড়া সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চেষ্টা করব শুকনা মরিচ কিভাবে খুব সহজে সংরক্ষণ করা যায় তা সম্পর্কে জানার। আপনারা অনেকে শুকনা মরিচের গুঁড়া অনেকদিন সংরক্ষণ করতে চান। এজন্য আপনাদের যেটা করতে হবে তা হল শুকনো মরিচ থেকে আগে বোটা ছাড়িয়ে ফেলতে হবে।

এরপর যদি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধোয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সেগুলো মিলে নিয়ে গিয়ে গুড়া করে নিতে হবে। এরপর মিল থেকে গুড়া করে নিয়ে আসার পর যেগুলোকে ঠান্ডা হতে দিতে হবে। এরপর তা কাচের বৈয়োমে ভরে রেখে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ধনে পাতার ৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন   

এভাবেই আপনি খুব সহজে শুকনা মরিচের গুড়া অনেকদিন সংরক্ষণ করে খেতে পারেন।এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে শুকনা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

শুকনা মরিচের ভর্তা 

শুকনা মরিচের ভর্তা কিভাবে তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা শুকনা মরিচকে ব্যবহার করে কিভাবে ভর্তা তৈরি করা যায় তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। শুকনা মরিচের ভর্তা তৈরি করার জন্য প্রথমে কিছু শুকনা মরিচ দিতে হবে, নিতে হবে পেঁয়াজের কুচি, আরো নিতে হবে প্রয়োজনমতো লবণ, এরপর নিতে হবে ধনিয়া পাতা।

শুকনা মরিচের ভর্তা
এরপর শুকনো মরিচ গুলোকে একটি পাত্রে ভালো ভাবে ভেজে কুরকুরে করে নিতে হবে। এরপর এই মরিচ গুলোকে গুড়া করে ফেলতে হবে। তারপর এর সাথে পেঁয়াজ কুচি, লবণ, ধনেপাতা, সরিষার তেল ভালো ভাবে সবগুলো উপকরণকে একসাথে করার পর ভালোভাবে মিস করে নিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার শুকনো মরিচের ভর্তা।

এই ভর্তা আপনারা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে শুকনা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

শুকনা মরিচের আচার রেসিপি

শুকনা মরিচের আচার রেসিপি কিভাবে করা যায় সে সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের পর্বে আমরা শুকনা মরিচ দিয়ে কিভাবে আচার তৈরি করতে হয় সেই সম্পর্কে এ টু জেড জানার চেষ্টা করব। এজন্য প্রথমে আপনাদের কিছু শুকনা মরিচ নিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ থেকে ওপরের অংশটুকু কেটে এর ভেতরের বিচি বের করে একটি বাটিতে রাখতে হবে।

ট্যারা বাঁকা শুকনা মরিচ নেওয়া যাবে না সবগুলো শুকনা মরিচ সোজা হতে হবে। এরপর নিয়ে নিতে হবে সাদা সরিষা, কালো সরিষা, শুকনা ধনে ইত্যাদি। এইগুলো সবগুলোকে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর এই ব্লেন্ড কৃত অংশগুলোর সাথে কিছু পরিমাণ আমসত্ত্ব এবং আগে থেকে রেখে দেওয়া শুকনো মরিচের বিচিগুলো মিশিয়ে দিয়ে আবার ব্লেড করে নিতে হবে।

তারপর এই অংশগুলো শুকনো মরিচের ভেতর অল্প অল্প করে ভরে দিতে হবে। প্রত্যেকটি মরিচের ভেতর এই মিশ্রণটি অল্প অল্প করে ভোরে দেয়ার পর একটি কাঁচের বৈয়মে সোজা সোজা করে মরিচের ভেতর মিশ্রণগুলো ভরা অবস্থায় রেখে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ তেজপাতার ১৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন  

এরপর সবগুলো শুকনো মরিচ রেখে দেওয়ার পর সরিষার তেল দিয়ে বৈয়মটি ভরাট করে ফেলতে হবে। এরপর কয়েকদিন রেখে দিলে মরিচগুলো নরম হয়ে আসবে। আর এভাবে খুব সহজে আপনারা শুকনো মরিচের আচার তৈরি করতে পারবেন।

শুকনা মরিচের দাম

শুকনা মরিচের দাম সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা শুকনো মরিচের দাম কেমন তা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিব। চলুন সেই ধারণা নেয়া যাক। শুকনা মরিচের দাম ওঠা নামা করে থাকে। সবসময় যে একই দাম থাকবে তার কোন মানে নেই। আজকে আমরা এই পর্বে শুকনো মরিচের প্রতি কেজি দাম কত হতে পারে সেই সম্পর্কে হালকা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

গত সপ্তাহে শুকনা মরিচের দাম ছিল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে । এখন তার দাম হয়েছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। চাহিদা যতোটুকু রয়েছে শুকনা মরিচের তার থেকে কম পাওয়ার কারণে মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরো পড়ুনঃ বিট লবণের ১৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন   

যেহেতু শুকনা মরিচের দাম প্রতিনিয়ত কমবেশি হয়ে থাকে সেহেতু আপনারা বাজারে গিয়েই এর সঠিক দামটা জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে শুকনা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং শুকনা মরিচের পুষ্টিগুণ সম্পর্কেও জেনে আসতে পারেন।

শুকনো লঙ্কা বেশি খেলে কি হয়

শুকনো লঙ্কা বেশি খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা শুকনো মরিচ বেশি খাওয়ার ফলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। অতিরিক্ত শুকনো লঙ্কা রান্নায় ব্যবহার করে হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনে। অতিরিক্ত শুকনা লঙ্কা খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি সাধনে থাকে।

শুকনো-লঙ্কা-বেশি-খেলে-কি-হয়
যার কারণে পেট ব্যথা অথবা বমি বমি ভাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আইবিএস আক্রান্ত রোগীরা যদি নিয়মিত শুকনা লঙ্কা খেয়ে ফেলে তাহলে তাদের পেট ব্যথা থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমস্যা হবে। এছাড়াও অতিরিক্ত শুকনা লঙ্কা খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এ লঙ্কা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

তাছাড়াও নাক দিয়ে জল পড়তে পারে। হাঁপানি রোগের জন্য শুকনো লঙ্কা খাওয়া একদম নিরাপদ হবে না। এই শুকনো লঙ্কার গুঁড়া নাকে গেলে এলার্জির সমস্যাও হতে পারে। শুকনো লঙ্কা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা গুলো হতে পারে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে শুকনা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

শুকনো লাল মরিচ খেলে কি ভালো

শুকনো লাল মরিচ খেলে কি ভালো এ ধরনের প্রশ্ন আপনারা করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা শুকনো লাল মরিচ খাওয়ার ফলে ভালো হয় না হয় না সে সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। অবশ্যই শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের নানা উন্নতি হয়ে থাকে। নিয়মিত শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।

এছাড়াও শুকনা মরিচে ভিটামিন এ থাকার কারণে এটি আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী। তাছাড়াও শুকনো মরিচ নিয়মিত খাওয়ার ফলে বাতের ব্যথা, আর্থাইটিস এর যন্ত্রণা উপশম হয়ে থাকে। এছাড়াও এই মরিচ নিয়মিত খাওয়ার ফলে নানা ধরনের রোগ বালাই দূরে থাকে।

তাই বলা যায় যে শুকনো লালমরিচ খেলে অবশ্যই ভালো হয়। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে শুকনা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা 

উপরের আলোচনা থেকে আমরা শুকনা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি শুকনা মরিচের পুষ্টিগুণ সম্পর্কেও। আমাদের নিত্যদিনের রান্নায় শুকনো মরিচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ মরিচের নানা গুনাগুন আমরা এতদিন হয়তো জানতাম না।

আজকের এই পর্বে আপনারা শুকনো মরিচের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। উপরের আলোচনায় খুব ভালোভাবে শুকনো মরিচের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url