পটলের ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা পটল আমাদের নিত্যদিনের একটি প্রয়োজনীয় সবজি। কিন্তু আমরা এর সঠিক গুনাগুন জানিনা। তাই আমাদের উচিত এর গুনাগুন জানা।

পটলের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা পটলের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে এ টু জেড জেনে নিতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ পটলের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা

পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা পটলের যাবতীয় ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

পটলের ভালো দিকগুলোঃ

  • পটলে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। এই উপাদান গুলো ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কাজ করে থাকে। সেই সাথে এই উপাদানগুলো বার্ধক্য আসার আগে ত্বকে বার্ধকের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করে থাকে।
  • পটল খাওয়ার ফলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সেইসাথে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে।
  • রক্ত পরিষ্কার করার জন্য পটল হতে পারে একটি আদর্শ উপায়। এটি আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা আপনাদের খাদ্য তালিকায় পটল যুক্ত করতে পারেন।
  • পটলে রয়েছে ফাইবার যেটি হজম প্রক্রিয়াকে আর উন্নত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও পটলে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি নানা উপাদান। এই উপাদান গুলো ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • আমরা সাধারণত ভাজাপোড়া অথবা পানি কম করে খাই। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আক্রান্ত হই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় পটল যোগ করুন। এটি এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা প্রদান করে থাকে।
  • যদি আপনার ঠান্ডা, জ্বর ও গলা ব্যাথার সমস্যা থাকে। তাহলে খাদ্য তালিকায় পটল যোগ করতে পারেন। এটি এ ধরনের সমস্যায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হিসেবে কাজ করে থাকে। এই সময় পটল খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • পটলের রস মাথায় মাখানোর ফলে মাথা ব্যথা দূর হয়ে থাকে। এছাড়াও যারা অল্প বয়সে ডাক হয়ে গেছেন তাদের জন্যও পটলের রস হতে পারে একটি আদর্শ উপায়। তারা চাইলে পটলের রস মাথায় মাখতে পারেন।
  • পটল খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং লিভারের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে থাকে। তাই আপনারা যদি এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাহলে আজ থেকেই খাদ্য তালিকায় পটল যোগ করুন। এটি নিয়মিত রান্না করে খাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পাবেন।
  • পটলে কপার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলো রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে থাকে। যার কারণে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য পটল হতে পারে এক মহা ওষুধ।
  • পটলে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং আয়রন। এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের নানা ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা অ্যানিমিয়া রোগ দূর করে থাকে। সেই সাথে শরীরের নানান ব্যথা এবং ক্লান্তি ভাব দূর করতে সহায়তা করে।

পটলের খারাপ দিকগুলোঃ

  • যাদের পটল খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা হবে। তারা পটল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আর যাদের কোনো সমস্যা হবে না। তারা নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।
  • এটি অধিক পরিমাণে খেলে পেটব্যথা বা পীর হওয়া সম্ভাবনা থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার বমি বমি ভাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এটি পরিমাপ মতো খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • পটলে ফাইবারের পরিমাণ অধিক রয়েছে। যার কারণে এটি অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। আর এর ফলে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, অসস্তিবোধ করা ইত্যাদি নানা সমস্যা হয়।
  • পটলের এন্টি হাইপারগ্লাইসেমিক উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। যার কারণে যাদের রক্তে চিনির মাত্রা কম রয়েছে। তারা পটল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

পটলের খোসার উপকারিতা

পটলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এ পর্বে পটলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • পটলের খোসা বেটে মুখের প্যাক তৈরি করতে পারেন। এ প্যাকটি মুখে মাখালে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং বয়স হওয়ার আগে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধে হয়ে থাকে। কেননা পটলের খোসাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যেটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ও বার্ধকের ছাপ প্রতিরোধ করে থাকে।
  • পটলের খোসাতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এছাড়াও এই খোসাতে ফাইবার ও থাকে। যার কারণে এই খোসা খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান। তারা পটলের খোসা খেতে পারেন।
  • আরো পড়ুনঃ বিট লবণের ১৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

  • পটলের খোসাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকে। এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা পটল খাওয়ার সময় পটলের খোসা গুলো ফেলে দিবেন না। এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

পটলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন

পটলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা পটলের থাকা যাবতীয় পুষ্টিগুণ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। পটল নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এই পুষ্টিগুণগুলো আমাদের দেহের নানা রকম অসুখ বিসুখ দূর করার জন্য ভূমিকা রাখে। চলুন সেই পুষ্টিগুণ গুলো জেনে আসি।

প্রতি ১০০ গ্রাম পটলে

চর্বি রয়েছে ০.৬ গ্রাম, পটাশিয়াম রয়েছে ৮৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস রয়েছে ৪০ মিলিগ্রাম, নিকোটিনিক এসিড রয়েছে ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি রয়েছে ২৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম রয়েছে ৩০ মিলিগ্রাম, শর্করা রয়েছে ৪.১ গ্রাম, লোহা রয়েছে ১.৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ রয়েছে ২৫৫ i.u, আমিষ রয়েছে ২.৪ গ্রাম, ফাইবার রয়েছে ৩ গ্রাম, খাদ্য শক্তি রয়েছে ৩১ কিলো ক্যালরি।

পটল পাতার উপকারিতা

পটল পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা পটল পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। পটলের পাতাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর পাতাও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। চলুন এর পাতার গুনাগুন গুলো দেখে আসি।

  • পটলের পাতার বড়া খাওয়ার ফলে মুখের স্বাদ ফিরে আসে। এছাড়াও ঠান্ডা-সর্দি লাগলে এই পাতা দিয়ে তৈরি বড়া খেতে পারেন। এই বড়া ঠান্ডা সর্দি সমস্যা থেকে রেহাই দিয়ে থাকে।
  • পটলের পাতা বড়া করে বা রান্না করে খাওয়ার ফলে কিডনি থাকে সুস্থ এবং শরীর থাকে সুস্থ এবং সতেজ। পাকস্থলী বা লিভার হজম না করতে পারলে। পটলের পাতা খাওয়া যেতে পারে। এটি পাকস্থলী বা লিভারের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
  • পটলের পাতা খাওয়ার ফলে পোকা লেগে নষ্ট হয়ে যাওয়া দাঁত পুনরায় সুস্থ হবে। এজন্য নিয়ম করে এক সপ্তাহ পটলের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে দাঁতের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে।
  • আরো পড়ুনঃ ফুলকপির ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন  

  • পটলের পাতা খাওয়ার ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। আপনারা যদি পটলের পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে মুখে আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখেন। তবে আপনাদের ত্বক অনেক উজ্জ্বল এবং চকচকে দেখাবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পটলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

পটলের বীজের উপকারিতা

পটলের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা পটলের বীজের যাবতীয় উপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

পটলের-বীজের-উপকারিতা

  • পটলের বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • পটলের বীজ খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরীভূত হয়ে থাকে।
  • পটলের বীজে থাকা কিছু উপাদান জ্বর, সর্দি, কাশি থেকে পরিত্রাণ দিয়ে থাকে দিয়ে থাকে।
  • বীজসহ পটল থেঁতো করে ধনেপাতার সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এরপর অল্প পানিতে ভিজিয়ে রেখে তিন চারবার পান করুন। এতে করে হজমের সমস্যা দূর হবে।
  • পটলের বীজে থাকা নানা উপাদান রক্ত পরিষ্কার রাখে। এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে।

পটল খেলে কি কি উপকার হয়

পটল খেলে কি কি উপকার হয় এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা পটল খেলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা অল্প কথায় জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহু গুনে বৃদ্ধি পায়।
  • মাথাব্যথা সমস্যা দূর হয়।
  • শরীরের রক্ত পরিষ্কার থাকে।
  • হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • বয়স হওয়ার আগে বয়সের ছাপ শরীরে পরে না।
  • গরমের জন্য পটল অনেক উপকারী।
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূরে রাখে।
  • সুগারের মাত্রা বজায় রাখে।
  • ত্বকের সমস্যা সমাধান করে।
  • আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • চুলের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।।

পটল খেলে কি ওজন বাড়ে

পটল খেলে কি ওজন বাড়ে এই ধরনের প্রশ্ন অনেক শুনতে পাওয়া যায়। পটল খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ে না কমে চলুন সেই সম্পর্কে জেনে আসি। পটল খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ে না বরং কমে থাকে। পটলে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। সেই সাথে পটলে ফ্যাটের সংখ্যা খুবই কম থাকে অর্থাৎ নেই বললেই চলে। তাই যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন।

তারা তাদের খাদ্য তালিকায় পটল যুক্ত করতে পারেন। এই সবজিটি খাওয়ার ফলে সহজে খিদা লাগবে না। আর খিদা যদি না লাগে তাহলে আপনি খুব কম খাবেন। আর কম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে মাথায় রাখতে হবে এটি যাতে অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়া হয়। 

আরো পড়ুনঃ মিষ্টি কুমড়ার বিচির ১৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন  

এটি অতিরিক্ত যাতে তেলে ভেজে না খাওয়া হয়। এটি সাধারণত রান্না করার সময় ভাজতে হবে কম এবং তেলের সংখ্যা হতে হবে কম। এভাবে রান্না করে পটল খেতে হবে। আশা করছি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

পটলে কি আয়রন আছে

পটলে কি আয়রন আছে এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। পটলে কি আয়রন আছে না নাই চলুন সেই সম্পর্কে জেনে আসি। হ্যাঁ পটলে আয়রন রয়েছে। আপনি জানলে অবাক হবেন প্রতি ১০০ গ্রাম পটলে ০.৫ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। এতে আয়রনের পরিমাণ কম থাকলেও এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা বয়ে আনে।

পটলে-কি-আয়রন-আছে
দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণে পটল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা চাইলে আপনাদের খাদ্য তালিকায় পটল যুক্ত করতে পারেন। এটি আপনাদের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে শরীরকে সুস্থ এবং সতেজ রাখবে।

আয়রনের পাশাপাশি পটলে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, মিনারেল, ফাইবার ইত্যাদি নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এ সকল পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

পটলে কি কি ভিটামিন আছে

পটলে কি কি ভিটামিন আছে এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা পটলের কি কি ভিটামিন থাকে এবং এগুলো কি কি কাজে লাগে তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। পটলে রয়েছে ভিটামিন এ। এই উপাদানটি আমাদের চোখের যাবতীয় সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

এছাড়াও এই ভিটামিন এ ত্বকের যাবতীয় সমস্যা বলি দূর করার জন্য কাজ করে থাকে। পটলে আরো রয়েছে ভিটামিন সি। এই উপাদানটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। এই উপাদানটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। পটলে আরো রয়েছে ভিটামিন বি৬।

এই উপাদানটি আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও এই উপাদানটি হিমোগ্লোবিন উৎপাদনেও অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে বলা যেতে পারে যে পটলে থাকা এই ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরের উন্নতিতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা 

উপরের আলোচনা থেকে আমরা পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি পটলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কেও। পটল একটি নিত্যদিনের সবজি। এই সবজিটি আমরা প্রায় সবাই খেয়ে থাকি। কিন্তু হয়তো আমরা এর সঠিক উপকারিতা জানতাম না।

আশা করছি আজকের পর থেকে আপনারা এর উপকারিতা ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন। উপরের আলোচনায় আমরা পটলের যাবতীয় উপকারিতা সম্পর্কে এবং খারাপ দিক সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে পটলের যাবতীয় ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো জেনে আসতে পারেন। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url