লাউ শাকের ১১টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা লাউ শাকের এমন সকল গুনাগুন রয়েছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক বেশি উপকারী। তাই এর গুনাগুন গুলো জানা অতীব জরুরী।

লাউ-শাকের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র আপনারা লাউ শাকের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে জানতে সক্ষম হবেন।

সূচিপত্রঃ লাউ শাকের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা লাউ শাকের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। লাউ শাক আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা সবাই খেয়ে থাকি। কিন্তু এ সঠিক গুনাগুন সম্পর্কে আমাদের কারোই সেরকম ধারণা নেই। তাই এর ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো জেনে নেওয়া দরকার। তাহলে জানা যাক।

লাউ শাকের উপকারিতা গুলোঃ

  • লাউ শাক খাওয়ার ফলে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে। সেই সাথে খুব সুন্দর ঘুম হয়ে থাকে। কেননা লাউ শাক দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই মস্তিষ্ক এবং সুন্দর ঘুমের জন্য আপনারা চাইলে লাউ শাক খেতে পারেন।
  • লাউ শাক খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। লাউ শাক ফ্যাট মুক্ত হওয়ার কারণে এটি খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। এছাড়াও এতে পটাশিয়াম থাকার কারণে হৃদস্পন্দন ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। তাই আপনারা চাইলে এটিকে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
  • লাউ শাকে অস্টিওপোরেসিস এবং নানা ক্যালসিয়াম রয়েছে। যেগুলো এ ধরনের পুষ্টির অভাবে হওয়া রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। এছাড়াও এতে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • লাউ শাক খাওয়ার ফলে শরীরে আয়রন পাওয়া যায়। যার কারণে এটি খাওয়ার ফলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং সেইসাথে লোহিত রক্ত কণিকা সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে রক্ত তৈরি হতে সাহায্য করে থাকে।
  • লাউ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যেগুলো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। যার ফলে এটি খাওয়ার ফলে শরীরের যাবতীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
  • লাউ শাকে নানা ধরনের ফাইবার রয়েছে। যার কারণে এটি খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর হয়। সেই সাথে পেটের যাবতীয় সমস্যাবলী থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিরাময় পাওয়া সম্ভব হয়।
  • লাউ শাক খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দূর হয়। পেটের হওয়া বদহজম সমস্যায় যারা ভোগেন তারা এটি খেতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে থাকে।
  • লাউ শাক খাওয়ার ফলে লিভারের অনেক উপকার হয়। এটি খেলে লিভার থেকে যাবতীয় ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়। যার কারণে লিভার সুস্থ থাকে। তাই এটি আপনারা চাইলে আপনাদের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
  • লাউ শাকে রয়েছে লুটেইন নামে এক ধরনের উপাদান। যেটি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চোখের যাবতীয় রোগ বালাই দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • লাউ শাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। যার কারণে এটি খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলসের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে। তারা নিয়মিত এটি খেতে পারেন। আশা করছি সঠিক উপকারিতা পাবেন।
  • লাউ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যেটি নানা ধরনের সংক্রমণ এবং ঠান্ডা জাতীয় যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন করে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে। তারা চাইলে এটি খেতে পারেন।

লাউ শাকের অপকারিতা গুলোঃ

লাউ শাকের নানা উপকারিতা থাকলেও এর রয়েছে কিছু অপকারিতাও। চলুন তাহলে সেগুলো জেনে আসি। একটা কথা মাথায় রাখবেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়ায় স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো কিছু বয়ে আনে না। লাউ শাক তার ব্যতিক্রম নয়। এটি অত্যাধিক মাত্রায় খাওয়ার ফলে গ্যাস এবং পাচনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পেট ব্যথা সহ আরো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যাদের এটি খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা হবে। তারা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়াও এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিডনি স্টোন অথবা গ্রন্থিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও লাউ শাকে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার কারণে এটি অতিরিক্ত খেলে শরীরে পানি জমে কিডনির সমস্যা হতে পারে। তাই এটি প্রয়োজন মত খাওয়ার চেষ্টা করুন। আশা করছি এর সঠিক উপকারিতা পাবেন।

গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা গর্ভাবস্থায় লাউ শাকের যাবতীয় উপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। লাউ শাক গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। কেননা এটি একটি ফলিক এসিড সমৃদ্ধ শাক। নবাগত শিশুর স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের উন্নতির জন্য প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড রয়েছে এমন ধরনের খাবার প্রয়োজন হয়।

আর  লাউ শাক খাওয়ার ফলে সেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলিক এসিড পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও একজন গর্ভবতী মা যদি ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ না করে তাহলে নবগত শিশুর মস্তিষ্ক বিকৃতি এবং মৃত শিশুর জন্ম হতেও পারে। তাই গর্ভবতী মায়ের  লাউ শাক খাওয়া অনেক প্রয়োজনীয়।

আরো পড়ুনঃ লাল শাকের ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

এছাড়াও একজন গর্ভবতী মা যদি এই সময় লাউ শাক খাই তবে এতে থাকা ভিটামিন সি ঠান্ডা জাতীয় যাবতীয় রোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে। তাছাড়াও এটি খাওয়ার ফলে নিদ্রাহীনতায় ভুগলে সুন্দর ঘুমের ব্যবস্থা হবে। তাই লাউ শাক এই সময় খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে অতিরিক্ত খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। নিয়ম মেনে এটি খান আশা করছি এই সময় একজন গর্ভবতী মা এর সঠিক উপকারিতা পাবে।

লাউ শাকের পুষ্টি উপাদান

লাউ শাকের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা লাউ শাকের যাবতীয় পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। লাউ শাক নানা পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ। এটি খাওয়ার ফলে নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়। চলুন তাহলে এতে থাকা নানা পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জেনে আসি।

প্রতি ১০০ গ্রাম লাউ শাকে 

ক্যালসিয়াম রয়েছে ২০ মিলিগ্রাম, ফ্যাট রয়েছে ০.৬ মিলিগ্রাম, ফসফরাস রয়েছে ১০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম রয়েছে ৮৭ মিলিগ্রাম, নিকোটিনিক এসিড রয়েছে ০.২ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ২.৫ গ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ০.২ গ্রাম, ফ্যাট রয়েছে ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন সি রয়েছে ৬ গ্রাম।

লাউ শাক খাওয়ার নিয়ম

লাউ শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা লাউ শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। লাউ শাক আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। এটি স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় রান্না করে খাওয়া সবচাইতে ভালো। এটি কি আপনারা ডালের সাথে রান্না করে খেতে পারেন।

এছাড়াও এটিকে বিভিন্ন মাছের সাথে রান্না করেও খেতে পারেন। তাছাড়াও এটিকে  আপনারা চাইলে ভাজি করেও খেতে পারেন। এজন্য প্রথমে আপনারা টাটকা লাউ শাক নির্বাচন করবেন। এরপর সেগুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে রান্নার জন্য উপযুক্ত করে তুলবেন।

আরো পড়ুনঃ কলমি শাকের ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন 

তাহলেই আপনারা ভাতের সাথে মজাদার লাউ শাক খেতে পারবেন। এটি অনেক স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ার কারণে এটি খেলে নানা উপকারিতা পাবেন। অতিরিক্ত খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এই নিয়মগুলো মেনে খাওয়ার চেষ্টা করুন। আশা করছি উপকারিতা পাবেন।

লাউ শাকে কি এলার্জি আছে

লাউ শাকে কি এলার্জি আছে এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা লাউ শাক খাওয়ার ফলে এলার্জি হয় কিনা সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। প্রতিটি জিনিসেরই কিছু ভালো দিক রয়েছে এবং খারাপ দিক রয়েছে। লাউয়ের শাক তার ব্যতিক্রম নয়। এটি খাওয়ার ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখন বুঝবেন কিভাবে কার সমস্যা দেখা দিবে। 

লাউ-শাকে-কি-এলার্জি-আছে
আর কার দেখা দিবে না। এজন্য প্রথমে আপনাকে নিজেকে খেয়ে দেখতে হবে। যদি এ ধরনের সমস্যা হয় অর্থাৎ অ্যালার্জি সমস্যা হলে চুলকানি, শরীরের কোথাও গোটা গোটা হয়ে ফুলে যাওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দেই। তাহলে বুঝবেন আপনার এটি খাওয়া নিরাপদ হবে না।
অন্যদিকে যদি আপনার এটি খাওয়ার ফলে কোন ধরনের সমস্যা না হয়। তাহলে বুঝবেন এটি আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। এই নিয়মগুলো মেনে লাউয়ের শাক খেতে পারেন। আশা করছি সঠিক উপকারিতা পাবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে উপরের আলোচনা থেকে লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

লাউ শাকে কি ভিটামিন থাকে

লাউ শাকে কি ভিটামিন থাকে এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা লাউ শাকে কি ভিটামিন থাকে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। লাউ শাক উচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যার কারণে এটি খাওয়ার ফলে যাবতীয় সংক্রমণ এবং ঠান্ডা জাতীয় যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে এটি প্রতিরোধে আন্দোলন গড়ে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ পুঁই শাকের অপকারিতা সম্পর্কে ৬টি অবাক করা তথ্য জেনে নিন

এছাড়াও এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উপাদানটি শরীরের হাড় শক্ত এবং মজবুত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি পটাশিয়ামের ভালো উৎস হওয়ার কারণে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। এ সকল ভিটামিন গুনাগুন গুলো থাকার কারণে লাউ শাক খাওয়া প্রয়োজন। তাহলে এই ধরনের ভিটামিন গুলো শরীরে পাওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে উপরের আলোচনা থেকে লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

লাউ শাক খেলে কি উপকার হয়

লাউ শাক খেলে কি উপকার হয় এ সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা লাউয়ের শাক খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।

  • মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে।
  • দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • পাইলসের রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
  • ঘুম ভালো হয়।
  • বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এবং ঠান্ডা জাতীয় রোগ নিরাময় সম্ভব হয়।
  • হাড় শক্ত ও মজবুত হয়।
  • রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে।
  • ভ্রুণের দেহ গঠনে সহায়তা করে।
  • পাকস্থলী সুস্থ রাখে।
  • দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।

লাউ শাক খেলে কি ওজন বাড়ে

লাউ শাক খেলে কি ওজন বাড়ে এ সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব লাউ শাক খাওয়ার ফলে ওজন কমে না বাড়ে সে সম্পর্কে। লাউ শাক একটি অত্যন্ত উপকারী শাক। এটি খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ে না বরং কমে থাকে। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম রয়েছে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে খুব সহজে হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।

লাউ-শাক-খেলে-কি-ওজন-বাড়ে
এজন্য এটি খাওয়ার ফলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। যার কারণে বারবার খিদা লাগে না। আর খিদা না লাগলে বুঝতেই পারছেন আপনি বারবার খাবেন না। আর যত কম খাবেন ততই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে লাগবে।
তাছাড়াও আপনি আপনার নিকটস্থ কোনো ডাক্তারের ভালো পরামর্শ নিয়ে আর কোন কোন খাবার গুলো খেলে আপনি খুব সহজেই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন তা জেনে নিতে পারেন। আশা করছি এতে করে আপনার উপকার হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে উপরের আলোচনা থেকে লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

লাউ শাকের পাকোড়া

লাউ শাক দিয়ে পাকোড়া তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে কিছু উপকরণ নিতে হবে। এই উপকরণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তিন কাপ লাউ শাকের পাতার কুচি, পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি, ময়দা, চালের গুড়া, জিরা গুঁড়া, লবণ। এরপর একটি বাটি নিয়ে সেই বাটিতে তেল বাদ দিয়ে সবগুলো উপকরণকে একসাথে করে ভালোভাবে মেখে নেব।

এরপর একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করতে থাকবো। এরপর তেল গরম হয়ে এলে গরম তেলে এই উপকরণগুলো দিয়ে তৈরি ছোট ছোট পাকোড়া গুলো দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিব। তাহলেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার পাকোড়া। এগুলো আপনারা বিকেলের নাস্তায় তৈরি করে খুব সহজেই খেতে পারেন। আশা করছি উপকারিতা পাবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে উপরের আলোচনা থেকে লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও। লাউ শাকের অনেক গুণাবলী রয়েছে। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

উপরের আলোচনায় লাউয়ের শাকের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি উপরের আলোচনাটি আপনারা যদি ভালোভাবে পড়ে থাকেন অবশ্যই উপকার পাবেন। তাহলে অবশ্যই এখনই উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়ে আসুন। তাহলেই লাউ শাকের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে এ টু জেড জানতে সক্ষম হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url