হরিতকির ৩টি অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

হরিতকির অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা হরিতকির এমন সকল গুনাগুন রয়েছে যা মূলত আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে। আর এই জন্যই এর যাবতীয় গুণাগুণ গুলো জানা প্রয়োজন।

হরিতকির-অপকারিতা
হরিতকির অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা হরিতকির যাবতীয় গুনাগুন গুলো খুব ভালোভাবে জেনে যেতে সক্ষম হবেন।

সূচিপত্রঃ হরিতকির যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা

হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা হরিতকি খাওয়ার যাবতীয় ভালো দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
  • সর্দি কাশি সমস্যার জন্য হরিতকি হতে পারে একটি কার্যকরী উপায়। এটি খাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এজন্য আপনারা হরিতকির গুড়ার সঙ্গে অল্প পরিমাণে লবণ মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। খাওয়ার পর আপনারা উষ্ণ গরম জল খেয়ে নিবেন। তাহলেই দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যে সর্দি কাশি সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
  • চোখের সমস্যায় হরিতকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি থেকে খোসা ছাড়িয়ে রেখে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই পানি দিয়ে চোখ ধোয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার চোখের রোগের সমস্যা দূর হবে। এটি আপনারা হাঁপানি, পেট ফাঁপা, বাতরোগ এবং মুত্রনালীর সমস্যায় খেতে পারেন। এ ধরনের সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • হরিতকি ফুটিয়ে সেই পানি খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা থাকলে তা প্রতিরোধ হয়ে থাকে। এছাড়াও হরিতকি গুড়া নারকেল তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে মাথায় লাগানোর ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়াও আপনারা যদি রাতে ঘুমানোর আগে হালকা বিট লবণের সঙ্গে দুই গ্রাম লবণ এবং দারুচিনির সঙ্গে হরিতকির গুড়া মিস করে খেতে পারেন। তাহলে আপনাদের পেট পরিষ্কার থাকবে। তাই পেট পরিষ্কার রাখতে রোজ ঘুমানোর আগে এটি খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

হরিতকির অপকারিতা জানুন

হরিতকির অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা হরিতকির যাবতীয় খারাপ দিকগুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • ক্লান্ত, দুর্বল এবং সেই সাথে যারা গর্ভবতী মা রয়েছেন। তাদের জন্য হরিতকি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হবে। তাই এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়াও যারা বদহজম ও গরমের সমস্যায় ভুগছেন তারাও এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • কোন কিছু প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। হরিতকি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা অর্থাৎ ডায়রিয়ার সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। যাদের এটি খাওয়ার ফলে অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি হয়। তারা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
  • আরো পড়ুনঃ শতমূল পাউডার খাওয়ার ১১টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন  

  • যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান অথবা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান। তারা এটি এই অবস্থায় খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। নয়তো শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। যারা রক্তচাপের সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। তাদের জন্যও এটি খাওয়া নিরাপদ হবে না। কেননা এটি খাওয়ার ফলে রক্তচাপ আরো কমে যেতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

হরিতকী গাছের উপকারিতা

হরিতকী গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা হরিতকী গাছের যাবতীয় গুণাবলী গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • হরিতকি গাছটি নানা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি মূলত একটি ঔষধি গুনাগুন সমৃদ্ধ গাছ। এটি খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দূর হয়। আর হজমের সমস্যা দূর হলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকে। এছাড়াও এই গাছটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে এটি আমাদের শরীরের নানা সংক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে আন্দোলন গড়ে তুলতে সহায়তা করে থাকে।
  • এই গাছটি আমাদের ত্বক এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ এটি আমাদের ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে মসৃণ এবং উজ্জ্বল করে তোলে। সেই সাথে এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
  • হরিতকী গাছটি মেটাবলিজম বাড়িয়ে মেদ কমাতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও এটি সর্দি, কাশি এবং জ্বরের সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে এটি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান গুলো বের করে দেওয়ার কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এই গাছটি আমাদের দৃষ্টি শক্তিকে উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা এই গাছটিকে শরীরের নানান উপকারে কাজে লাগাতে পারেন।

হরিতকি খাওয়ার নিয়ম

হরিতকি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা হরিতকি খাওয়ার নিয়ম গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • আপনারা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হরিতকির এক চামচ গুঁড়া হালকা গরম পানির সাথে মিস করে খেয়ে ফেলুন। এছাড়াও আপনারা রাতে ঘুমানোর আগে এটি এমনভাবে খেতে পারেন। এতে করে হজমশক্তি আরও উন্নত পর্যায়ে যাবে। সেই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও এমনভাবে খাওয়ার ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যাবে। তাই এই নিয়মটি মেনে সকালে ও রাতে হরিতকি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • আরো পড়ুনঃ কাবাব চিনির ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

  • হরিতকি সাধারণত তেতো সাধের হয়ে থাকে। এজন্য অনেকে এটি খেতে চায় না। এজন্য আপনারা চাইলে এটি খাওয়ার সময় মধু অথবা গুড় এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনারা গুড়া করে উষ্ণ গরম পানির সাথে মিস করে খাবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে হরিতকি সিদ্ধ করে নিয়ে সেই জল খেতে পারেন। তাছাড়াও আপনারা যারা বয়স্ক রয়েছেন। তারা এক থেকে তিন গ্রাম মত হরিতকির গুড়া খাবেন। আর যারা বাচ্চা রয়েছে। তাদের আপনারা এক গ্রাম মত হরিতকির গুড়া খাওয়াবেন।

হরিতকির দাম কত

হরিতকির দাম কত এ সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা হরিতকির দাম কেমন হতে পারে তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। হরিতকি একটি ঔষধী গুণাগুণ সম্পন্ন গাছ। এটি আমাদের শরীরের জন্য নানা উপকারিতা বয়ে আনে। এটি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের নানা অঙ্গের নানা সমস্যায় এটি কাজ করে থাকে।

হরিতকির-দাম-কত
এখন আপনাদের প্রশ্ন হলো এটির দাম কেমন সেই সম্পর্কে। হরিতকি পাউডারের দাম ১৫০ টাকা করে হয়ে থাকে। জেটিতে হরিতকি পাউডার রয়েছে ১০০ গ্রাম মত। আমরা আরো একটি জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারি হরিতকি পাউডারের দাম ৫৮ টাকা করে। অর্থাৎ এখানে হরিতকি পাউডার রয়েছে ১০০ গ্রাম। আরেকটি ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারি ১০০ গ্রাম হরিতকি পাউডারের দাম ৮৬ টাকা করে। এর দাম সাধারণত এরকমই হয়ে থাকে।

হরতকি চুলের উপকারিতা 

হরতকি চুলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চুলের জন্য হরিতকি কি ধরনের কাজ করে থাকে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • হরিতকি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এছাড়াও এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে এটি অর্থাৎ এতে থাকা এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য চুলের খুশকি সমস্যা দূর করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • হরিতকির পাউডার দিয়ে আপনারা হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন। এই প্যাকটি ভালোভাবে তৈরি করে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। এছাড়াও আপনারা এটির তৈরি তেল দিয়েও হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন। যেটি চুলে লাগালে চুলের থাকা ময়লা দূর হয়ে চুলকে উজ্জ্বল এবং মসৃণ করে তুলবে।
  • আরো পড়ুনঃ মৌরি খাওয়ার ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন  

  • হরিতকির হেয়ার প্যাক তৈরি করার জন্য হরিতকি পাউডার নিন, মধু নিন, নারিকেল তেল নিন, দই নিন। এবার সবগুলো উপকরণকে একসাথে করে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ঘন হলে হালকা পানি দিয়ে পাতলা করে নিন। এরপর এটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে আধা ঘন্টার মত রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে আপনারা হরিতকি দিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন।
এছাড়াও আপনারা চাইলে হরিতকির অপকারিতা সম্পর্কে উপরের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

কাচা হরতকির উপকারিতা

কাচা হরতকির উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকে আমরা কাচা হরতকির উপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • আমাদের সকলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হজমের সমস্যা। আর এর কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হয়। তাই আপনারা যদি কাচা হরতকি খেতে পারেন। তবে এ ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে এটি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের করে দিয়ে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।
  • কাচা হরতকি আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি গ্যাস ও এসিডিটির সমস্যা প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। এই উপকারগুলো পাওয়ার জন্য আপনারা কাচা হরতকি শুকিয়ে নিবেন। এরপর তা গুড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন।
এছাড়াও আপনারা চাইলে হরিতকির অপকারিতা এবং হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও উপরের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

সকালে খালি পেটে হরতকি খেলে কি হয়

সকালে খালি পেটে হরতকি খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা সকালে খালি পেটে হরিতকি খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। এটি সকালে খালি পেটে খাওয়ার ফলে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন ধরেন অনেকের গ্যাসের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে।

সকালে-খালি-পেটে-হরতকি-খেলে-কি-হয়
সকালে খালি পেটে এটি খাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা গুলো মোকাবেলা হয়ে থাকে। এছাড়াও সকালে খালি পেটে এটি খাওয়ার ফলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। সে সাথে চর্বি পোড়াতেও এটি অবদান রেখে থাকে। যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই গুনাগুন গুলো ছাড়াও এটি আমাদের শরীরের অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্যও ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও আপনারা চাইলে হরিতকির অপকারিতা সম্পর্কে উপরের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। 

মুখে হরিতকি মাখলে কি হয়

মুখে হরিতকি মাখলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা মুখে হরিতকি মাখার ফলে কি হতে পারে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • হরিতকিতে রয়েছে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই গুনাগুন গুলো থাকার কারণে এটি মুখে মাখলে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। সেইসাথে ত্বকের নরমভাব এবং মসৃণতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও এটি ত্বকের হওয়া নানা ধরনের দাগ থেকে ত্বককে প্রতিরোধ করে তুলতে সহায়তা করে থাকে। সেই সাথে এটি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • ত্বকের প্যাক তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাদের হরিতকির পাউডার নিতে হবে। এরপর এই পাউডারের সাথে গোলাপজল অথবা মধু মিশিয়ে দিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর এটি আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট এভাবে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে আপনারা আপনাদের মুখের যত্নে হরিতকিকে কাজে লাগাতে পারবেন।
এছাড়াও আপনারা চাইলে হরিতকির অপকারিতা সম্পর্কে উপরের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনাতে আমরা হরিতকির অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি হরিতকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও। হরিতকি খাওয়ার নানা উপকারিতা রয়েছে। এই উপকারিতা গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি ওষুধি গুণাগুণ সম্পন্ন গাছ। এখান থেকেই মূলত নানা রোগের চিকিৎসায় এটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

আপনারা এটিকে কিভাবে আপনাদের শরীরের যত্নে কাজে লাগাতে পারবেন। তা সম্পর্কে উপরের আলোচনা বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এর যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url