ক্যাস্টর অয়েলের ক্ষতিকর দিক - অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েল চেনার উপায়

ক্যাস্টর অয়েলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা ক্যাস্টর অয়েলের অনেক ভালো দিক থাকলেও এর কিছু খারাপ দিক রয়েছে। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

ক্যাস্টর-অয়েলের-ক্ষতিকর-দিক
ক্যাস্টর অয়েলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই আপনারা ক্যাস্টর অয়েলের যাবতীয় খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে জানতে সক্ষম হবেন।

সূচিপত্রঃ ক্যাস্টর অয়েলের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ক্যাস্টর অয়েলের ক্ষতিকর দিক

ক্যাস্টর অয়েলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ক্যাস্টর তেলের ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ক্যাস্টর অয়েলের অনেক ভালো দিক থাকলেও এর রয়েছে কিছু খারাপ দিক। এই খারাপ দিকগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। নিচে সেই ক্ষতিকর দিকগুলো দেখানো হলোঃ
  • ক্যাস্টর অয়েল প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহারে বমি ভাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও এই তেল ব্যবহার করার ফলে পানি শূন্যতাও দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও এই তেল অতিরিক্ত ব্যবহারে পেশির সংকোচন ধরা দিতে পারে। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যাগুলো তৈরি হবে। তারা এই তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
  • ক্যাস্টর অয়েল বেশি ব্যবহার করার ফলে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়া, পেটের ব্যথা, ডায়রিয়া হওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যা তৈরি হতে দেখা যায়। এজন্য এই ব্যবহার করার আগে নিজের শরীরের সাথে এই তেলটি খাপ খাচ্ছে কিনা তা দেখে শুনে এই তেলটি ব্যবহার করতে হবে। আর প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • ক্যাস্টর অয়েল প্রতিদিন ব্যবহার করার ফলে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এটি ব্যবহারে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে শরীরে দূর্বলতা ভাবও দেখা যেতে পারে। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা গুলো দেখা দিবে। তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই তেল ব্যবহার করা শুরু করবেন।
  • এই তেলটি ব্যবহার করার ফলে এলার্জির সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই এই তেলটি ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে নিশ্চিত হয়ে যান। এই তেলটি আপনার জন্য ব্যবহার করা উচিত হবে কিনা সেই সম্পর্কে। এটি যদি আপনার জন্য ব্যবহার করা উচিত না হয়। তাহলে এটিকে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।
  • এই তেল ত্বকে অথবা চুলে লাগাতে গিয়ে যদি নাকি অথবা চোখে পড়ে যায় তাহলে জ্বালা যন্ত্রণা হতে পারে। তাই এটি ব্যবহার করার আগে সাবধানতার সাথে ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।
  • যারা গর্ভধারিণী মা রয়েছেন তাদের জন্য এই তেল গর্ভকালীন সময়ে খাওয়া উচিত হবে কিনা সেই সম্পর্কে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার খেতে বললে খাবেন। আর খেতে না বললে তা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • এই তেল চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এটি অতিরিক্ত চুলে ব্যবহার করার ফলে চুল ভারি হয়ে গিয়ে চুল দূর্বল হয়ে যায়। যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।

ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের জন্য উপকারী

ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের জন্য উপকারী এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ত্বকের জন্য ক্যাস্টর অয়েল কি ধরনের উপকারিতা বয়ে আনে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
  • অনেক সময় রোদের কারণে ত্বকে দাগ পড়ে যায়। এই দাগ পড়ার জন্য ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। কিন্তু আপনারা চাইলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করেই এই রোদে পড়া দাগ দূর করতে পারবেন। এজন্য আপনারা এই তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে দিন। এরপর তা আধা ঘন্টার মত রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি করার ফলে ত্বকে পড়া দাগ দূর হয়ে যাবে।
  • ক্যাস্টর অয়েল এন্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ সমৃদ্ধ। এই গুণটি থাকার কারণে এটি ত্বকে ব্যবহার করার ফলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে থাকে। এছাড়াও এই তেলটি ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফোলাভাব কমানোর জন্য কাজ করে থাকে। তাই আপনারা ত্বকের যত্নে এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন।
  • ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের বলিরেখা দূর করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের ত্বকে বলিরেখা রয়েছে তারা এই তেল নিয়ে আলতো করে ত্বকে মেসেজ করুন। দেখবেন আপনার ত্বকের পড়া বলে রেখা খুব অল্প সময়ের মধ্যে দূর হয়ে গেছে।

ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা

ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা গুলো দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক।
  • ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি ত্বকের বলিরেখা, দাগছোপ দূর করে দিয়ে ত্বককে কোমল এবং মসৃণ করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ব্রণ নির্মূলে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা চাইলে ত্বকের যত্নে এটিকে ব্যবহার করতে পারেন।
  • ক্যাস্টর অয়েল চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি ব্যবহার করার ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং সেই সাথে নতুন চুল গজানোর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি চুলের খুশকি এবং শুষ্কতা কমিয়ে চুলকে ঘন কালো মসৃণ এবং উজ্জ্বল করে তোলে। তাই আপনারা চাইলে চুলের যত্নে এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন।

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের নিয়ম

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ক্যাস্টর অয়েল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। এটা কি আপনারা চুল এবং ত্বকে লাগাতে পারেন। এটি ত্বকের যত্নে হালকা করে ত্বকে মালিশ করে লাগাবেন।

এটিকে আপনারা চুলের যত্নে নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল তেলের সঙ্গে মিস করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে দিন। লাগানোর আধা ঘন্টা বা এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও আপনারা ত্বকের যে স্থানগুলোতে দাগ রয়েছে।

সেই স্থানগুলোতে এই তেল নিয়ে প্রতিদিন রাতে লাগানোর পর হালকা করে মেসেজ করতে থাকুন। তাহলে দেখবেন এই সমস্ত দাগ গুলো ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ম গুলো মেনে ক্যাস্টর অয়েল চুল এবং ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আশা করছি এই তেল ব্যবহার করার ফলে ত্বক ও চুলের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।

ক্যাস্টর অয়েল প্রাইস ইন বাংলাদেশ

ক্যাস্টর অয়েল প্রাইস ইন বাংলাদেশ এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা ক্যাস্টর অয়েল বাংলাদেশে কেমন দামে বিক্রি হয়ে থাকে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

ক্যাস্টর-অয়েল-প্রাইস-ইন-বাংলাদেশ
আমরা ক্যাস্টর অয়েল এর দাম কত তা দেখতে গিয়ে একটি ওয়েবসাইট খুঁজে বের করি। সেই অনলাইন ওয়েবসাইটে ক্যাস্টর অয়েল এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা করে। এছাড়াও আমরা আরো একটি বড় অনলাইন শপ দারাজ থেকে ক্যাস্টর অয়েল এর দাম দেখতে গিয়ে এর দাম পায় ১৩৫ টাকা করে।

যেখানে তেলের পরিমাণ থাকবে ১০০ মিলিলিটার। তেলের দাম এরকমই হয়ে থাকে। আপনারা বাজারে তেল কিনতে গিয়ে দেখতে পাবেন তেলের দাম এরকমই। তবে অনলাইনে থেকে অফলাইনে তেলের দাম অনেক কম পাওয়া যাবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ক্যাস্টর অয়েলের ক্ষতিকর দিক এবং অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েল চেনার উপায় সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

ক্যাস্টর অয়েল চুলে ব্যবহারের নিয়ম

ক্যাস্টর অয়েল চুলে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ক্যাস্টর অয়েল চুলে কিভাবে ব্যবহার করবেন তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
  • প্রথমে নারিকেল তেল এবং ক্যাস্টর অয়েল নিতে হবে। মনে রাখবেন ক্যাস্টর অয়েল যতটুকু নিবেন তার দ্বিগুণ পরিমাণ নারিকেল তেল নিবেন। অর্থাৎ আধা চামচ যদি ক্যাস্টর অয়েল নেন। তবে তাতে এক চামচ নারিকেল তেল মিসাতে হবে। এরপর এই মিশ্রণটিকে একটু গরম করে তুলার সাহায্যে চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে। এটি আপনারা রাতে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। এই কাজটি আপনারা সপ্তাহে দুইদিন করার চেষ্টা করবেন।
  • আপনারা প্রথমে ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিবেন। এরপর এটি থেকে তেল বের করে ফেলবেন। এরপর এর সাথে ক্যাস্টর অয়েল যোগ করবেন। মিশ্রণটিকে ভালোভাবে মিছানোর পর চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিবেন। লাগানো হলে এক ঘন্টা মত এভাবেই রেখে দিবেন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনারা ক্যাস্টর অয়েল তুলে লাগাতে পারেন।

অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েল চেনার উপায়

অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েল চেনার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েল কিভাবে চিনতে পারবেন তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
  • এমন কিছু ক্যাস্টর অয়েল এর ব্র্যান্ড রয়েছে। যারা এই তেল যে আসলেই খাঁটি তার প্রমাণ পত্র পেস করে। আপনাদেরও যদি সম্ভব হয় তাহলে এর প্রমাণ পত্র গুলো দেখে এই তেল নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও এই তেলটি আসল কিনা তা বুঝার জন্য আপনারা চাইলে কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে পানিতে মেশাতে পারেন। যদি আসল হয় তাহলে তা সহজে পানির সাথে মিশবে না। আর যদি তা নকল হয়। তাহলে তা পানির সাথে মিশে যাবে। এছাড়াও দেখবেন খাঁটি ক্যাস্টর অয়েল সহজে আগুন ধরবেনা। আর নকলে আগুন ধরে যাবে।
  • ক্যাস্টর অয়েল চেনার জন্য আপনারা এর গন্ধের দিকে নজর দিতে পারেন। এর গন্ধ আসলে স্বাভাবিক কিংবা হালকা বাদামের গন্ধের হয়ে থাকে। যদি আপনারা দেখেন এর গন্ধ অস্বাভাবিক কিংবা কৃত্রিম গন্ধযুক্ত। তাহলে আপনারা বুঝে নেবেন এই তেলটি আসল তেল নয়। এছাড়াও আপনারা ক্যাস্টর অয়েল তেল কিনার সময় এর রংয়ের দিকে নজর দিতে পারেন। এর রং সাধারণত হালকা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। আপনারা যদি দেখেন এর রং গাঢ় রংয়ের হয়ে আছে কিংবা অন্য যে কোন রঙের হয়ে আছে। তাহলে বুঝে নিবেন এই তেলটি আসল তেল নয়।

ক্যাস্টর অয়েল কতদিন রাখতে হয়

ক্যাস্টর অয়েল কতদিন রাখতে হয় এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা ক্যাস্টর অয়েল কতদিন রাখা যায় তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। এই তেলটি সাধারণত খোলা অথবা প্যাকেটিং অবস্থায় পাওয়া যায়। খোলা যে তেলটি আছে এই তেলটি সাধারণত এক থেকে দুই বছর অনায়াসেই ব্যবহার করা যেতে পারে।

ক্যাস্টর-অয়েল-কতদিন-রাখতে-হয়
তবে লক্ষ্য রাখতে হবে এই তেলটি যাতে শুকনো, ঠান্ডা এবং অন্ধকার স্থানে যাতে সংরক্ষণ করা হয়। তবে এই তেলটি ভালো থাকবে। এছাড়াও যে তেলটি প্যাকেটিং করা থাকে। সেই তেলটি তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

সবসময় চেষ্টা করবেন তেল ব্যবহার করার পর এর টিপি লাগিয়ে দেওয়ার। যাতে এর ভেতর কোন ধরনের বাতাস প্রবেশ না করে। এছাড়াও আপনারা যদি দেখেন এর রং কিংবা এর গন্ধ বাজে হয়ে গেছে তাহলে আপনারা এটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ক্যাস্টর অয়েলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

ক্যাস্টর অয়েল কি মুখে ব্যবহার করা যায়

ক্যাস্টর অয়েল কি মুখে ব্যবহার করা যায় এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা ক্যাস্টর অয়েল মুখে মাখা যায় কিনা সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। হ্যাঁ, ক্যাস্টর অয়েল মুখে মাখা যায়। এই তেলটি মুখে অর্থাৎ ত্বকে মাখা যায়। এটি ত্বকে মাকার ফলে ত্বকের নানা ধরনের উপকারিতা সাধিত হয়ে থাকে।

এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করে, দাগছোপ দূর করে। সেই সাথে এটি ত্বকের ব্রণ দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা এটি আপনাদের ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন।

তাহলে বুঝতেই পারছেন এই তেল আপনার ত্বকে নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের নানা উপকার সাধিত হবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ক্যাস্টর অয়েলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ক্যাস্টর অয়েলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি অরিজিনাল ক্যাস্টর অয়েল চেনার উপায় সম্পর্কেও। এই তেলটি সাধারণত আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই তেলটি ব্যবহার করে আমাদের শরীরের নানা যত্ন নেওয়া সম্ভব হয়।

এই তেলের অসাধারণ গুনাগুন আমাদের সকলের জানা অতীব প্রয়োজন। কিন্তু আমরা এটা হয়তো সকলে জানিনা। তাই আজকে আমি এই তেলের যাবতীয় গুণাগুণ গুলো উপরের আলোচনায় খুব ভালোভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়তে পারেন। তবে এর সকল গুণাগুণ সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url