শসার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানুন
শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানা অতীব জরুরী। কেননা শসায় এমন সকল
উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নানাভাবে কাজ করে থাকে।
এজন্য শসার গুনাগুন গুলো জেনে নেয়া উচিত।
শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে নিচের দেওয়া
লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনি শসার যাবতীয়
গুনাগুন গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে ধারণা পেয়ে যাবেন।
সূচিপত্রঃ শসার যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন
শসার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে অনেকেই আগ্রহী। আজকের এই পর্বে শসার যাবতীয় ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিবো। শসা একটি সবজির নাম। এই সবজিটি ভাতের সাথে সালাত করে খাওয়া হয়। এই সবজিটির অনেকগুলো গুণাবলী রয়েছে। চলুন প্রথমে আমরা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো দেখে আসি এবং তারপরে এর অপকারিতাগুলোও জেনে নিবো।
শসার উপকারিতা গুলোঃ
- শসাতে এরেপসিন নামক এনজাইম রয়েছে। যার কারণে শসা খাওয়ার ফলে হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা থাকে। যার কারণে এটি খাওয়ার ফলে আগে থেকে শরীরে জমে থাকা ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমাণ এটি কমিয়ে থাকে। এই কারণে বাতব্যাতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- শসায় রয়েছে সালফার এবং সিলিকা। যার কারণে এটি আমাদের চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
- শসায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, সিলিকন এবং ম্যাগনেসিয়াম। যার কারণে এটি ত্বকের পরিচর্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- শসা গোল করে কেটে চোখের উপর লাগিয়ে রাখলে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। এছাড়াও এটি করার ফলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়।
- শসাতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, বিটামিন সি রয়েছে। এসব উপাদান গুলো আমাদের দেহের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও শসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- শসার রস খাওয়ার ফলে এসিডিটি, আলসার,গ্যাস্টাইসিন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
- আপনি যদি শসার রস খেতে পারেন তবে ডায়াবেটিকস খাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। আর বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের জন্য শসার রস খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
- শসাতে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি প্রদান করে থাকে।
- শসায় থাকা পানি আমাদের দেহের যাবতীয় বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে ভূমিকা রাখে। এটি খাওয়ার ফলে কিডনিতে হওয়া পাথর খুব সহজেই গলে যায়।
শসার অপকারিতা গুলোঃ
শসা খাওয়ার তেমন কোন অপকারিতা পাওয়া যায়নি। তবে শসা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার
চেষ্টা করবেন না। এতে ক্ষতি হতে পারে। নিয়ম মেনে শসা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
রাতে শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা রাতে শসা খেলে হজমে সমস্যা হয়, ঠিকমতো
ঘুম হয় না। সকালে এবং দুপুরে খাবারের সাথে শসা খাওয়ার চেষ্টা করুন। নিয়ম মেনে
শসা খেতে পারলে অপকারিতা নয় উপকারিতায় বেশি পাবেন।
খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। আজকের এই পর্বে
খালি পেটে শসা খেলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা নিয়ে চলো আলোচনা করি। খালি
পেটে শসার জল অথবা আপনি যদি জুস খেতে পারেন তবে এটি শরীরকে ভালোভাবে হাইড্রেট
করতে সহায়তা করে। শসার জুস খালি পেটে খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পায়। সেই সাথে আমাদের শরীরকে ডিটক্স করার জন্য শসার এই পানি ভূমিকা রাখে।
আপনি যদি খালি পেটে শসার জুস খেতে পারেন তবে এটি আপনার শরীরের বাড়তি ওজন খুব
দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিয়ে দিতে পারে। আপনি যদি রক্তচাপ সমস্যায় ভুগেন তবে খালি
পেটে শসার রস খেতে পারেন। এটি আপনাকে উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।
কেননা শসায় রয়েছে পটাশিয়াম যেটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
খালি পেটে শসা খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যা থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়। ভিটামিন এ থাকার কারণে এটি চোখের যাবতীয় সমস্যা থেকে রেহাই
দিতে পারে। শসাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের জলের
ঘাটতি পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। চলুন আজকের পর্বে
কিভাবে শসা খেলে ওজন কমবে সে সম্পর্কে জেনে আসি। শসা নানা পুষ্টিগুনে
ভরপুর। শসায় ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, বিটামিন কে রয়েছে। সবচাইতে মজার
বিষয় হলাে শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুব কম হওয়ার কারণে এটি শরীরের
বাড়তি ওজন কমাতে সহায়তা করে।
আপনি যদি শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত হন। তবে নিয়মিত শসা খেতে পারেন।
শসায় শূন্য চর্বি রয়েছে। যার ফলে এটি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। স্থুলতা
বৃদ্ধিতে চিনি ভূমিকা রাখে। যে কোন চিনি যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে
স্থুলতা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কেননা এটি যদি বেড়ে যায় তবে ওজনও বেড়ে
যাবে। তবে শসা খাওয়ার ক্ষেত্রে এমন কোন ভয় নেই।
এতে কোন প্রকারের চিনি থাকে না। যার ফলে স্থুলতাও বৃদ্ধি পায় না। ওজনও
নিয়ন্ত্রণে থাকে। শসা খাওয়ার ফলে পেট অনেকক্ষণ যাবত ভরা থাকে। কেননা এতে
প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। এর ফলে খুদাও লাগে না। নিয়মিত শসা খাওয়ার অভ্যাস
করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ত্বকের যত্নে শসার উপকারিতা
ত্বকের যত্নে শসার উপকারিতা এই সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। চলুন আজকে
আমরা এই সম্পর্কে জেনে নিই। শসাতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার কারণে এটি
ত্বককে সতেজ রাখতে ভূমিকা রাখে। শসা ত্বকের তেল দূর করে, ত্বকের ব্রণ জাতীয়
সমস্যা মোকাবেলায়ও ভূমিকা রাখে। শসা একসঙ্গে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে, রোদে
পড়া যে কোন দাগ দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
শসা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে ত্বকের মেলানিন উৎপাদন কম করে ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। শসার এন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য
থাকার কারণে চোখের নিচের কালো দাগ এটি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
শসাতে থাকা কুলিং এজেন্ট গরমের দিনে ত্বককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। চলুন
ত্বককে ঝলমলে করার একটি উপায় জেনে নিই। শসা কুচি করে কেটে ব্লেন্ডারে
ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এর সঙ্গে অল্প দুধ মিশিয়ে দিন।
একটি পাত্রে এই মিশ্রণটি ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর যখন কাজের ফাঁকে ফাঁকে সময়
পাবেন তখন ফ্রিজ থেকে বের করে এক চামচ করে মুখে মেখে নিবেন। ৩০ মিনিট রাখার পর
ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে এটি ব্যবহার করতে থাকলে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব দেখতে
পাবেন। এছাড়াও উপরের আলোচনাতে শসার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খালি পেটে
শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। চাইলে জেনে আসতে পারেন।
শশা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি
শশা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি এধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। আজকের এই পর্বে শসা
দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক সম্পর্কে জেনে নিবো। শসা দিয়ে খুব সহজেই আপনি ফেসপ্যাক
তৈরি করতে পারবেন। চলুন এখন আমরা ত্বকের বলিরেখা দূর করার একটি ফেসপ্যাক তৈরির
পদ্ধতি জেনে নিই। এজন্য প্রথমে দুই টুকরা শসা বেটে নিবেন।
এবার এর সঙ্গে কফির গুঁড়া ও সামান্য মধু দিয়ে সবকটি উপকরণকে একসঙ্গে মিস করে
নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ত্রিশ মিনিট মতো রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি
দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এই ফেসপ্যাকটি ব্যাপক কাজ
করবে। আরেকটি ফেসপ্যাক হলো এলোভেরা জেল এবং শসা ব্লেন্ডারে একসঙ্গে পেস্ট করে
নিবেন।
আপনার মুখটাকে আগে পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর এই মিশ্রিত
ফেসপ্যাকটি ২০ মিনিট মতো আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর তা ধুয়ে ফেলুন। এটি
ব্যবহার করার ফলে ত্বকে বার্ধকের ছাপ, রোদে পরা ভাব দূর হবে, ত্বক হবে তরতাজা
এবং মসৃণ।
শসা খাওয়ার সঠিক সময়
শসা খাওয়ার সঠিক সময় এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। আজকের এই পর্বে শসা
কখন কিভাবে খেলে উপকারিতা পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে জেনে নিবো। শসা খাওয়ার
একটা নিয়ম রয়েছে। যখন তখন শসা খেলে উপকারিতা তো পাবেন না বরং এটি
নিয়ম-কানুন না মেনে খেলে বাড়বে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। শসা সকালে খাওয়া
সবচাইতে উপকারী।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে শসা খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি দুপুরের খাবারের
সাথেও শসা খেতে পারেন। তবে রাতে শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ রাতে শসা
খেলে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। এজন্য সকালে অথবা দুপুরে শসা খাওয়ার
চেষ্টা করবেন। রাতে শসা খাওয়ার ফলে হজম হতে পারে না।
এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ইত্যাদি নানা সমস্যায় পড়তে হয়। রাতে শসা খেলে
ঠিক মত ঘুম আসে না। পেট ভারী হয়ে যায়। এজন্য সকালে ও দুপুরেয় শসা খাওয়ার
চেষ্টা করবেন, এতে আপনার ভালো হবে। শসার উপকারিতা ও অপকারিতা কি আপনি যদি না
জেনে থাকেন। তাহলে উপরের আলোচনা থেকে জেনে নিতে পারেন।
বেশি শসা খেলে কি হয়
বেশি শসা খেলে কি হয় এই সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। আজকের এই পর্বে
শসা অতিরিক্ত খেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তা সম্পর্কে জেনে নিবো।
শসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে ও এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি
অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে বদহজনের সমস্যা হতে পারে।
আপনারা জানেন শসাতে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে
খাওয়ার ফলে পেট ফেঁপে যেতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খাওয়ার ফলে শরীরে
অধিক মাত্রায় জল প্রবেশ করে। আর এটি করলে রক্তনালীর উপর এবং হার্টের উপর
চাপ সৃষ্টি হবে। যা মোটেও ভালো কথা নয়। তাই অবশ্যই প্রয়োজনের অতিরিক্ত
শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খাওয়ার ফলে বারবার প্রস্রাব করা লাগে। আর এর ফলে দেহ
জলের ঘাটতি শূন্যতাই পরে। এজন্য নিয়ম মেনে শসা খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং
প্রয়োজনের অতিরিক্ত শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আশা করি উপকারিতা
পাবেন।
শসা কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর
শসা কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। আজকের এই
পর্বে শসা কিডনির জন্য ভালো না খারাপ সেই সম্পর্কে জেনে নিবো। শসা কি
কিডনির জন্য ক্ষতিকর এই প্রশ্নের উত্তর হল অবশ্যই না। শসা কিডনির জন্য
অনেক উপকারী। এর আগেই আমরা জেনেছি শসাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকে। এটি
আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে কিডনিতে
অথবা পিত্তথলিতে হওয়া পাথর খুব সহজেই গলে যাই।
শসা খাওয়ার ফলে কিডনি ও রক্ত পরিষ্কার হয়। শসা আমাদের দেহের বর্জ্য
পদার্থগুলো দূর করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে
শসা কিডনির জন্য ক্ষতিকারক নয়। এটি খাওয়ার ফলে কিডনি সুস্থ থাকে
এবং কিডনির যাবতীয় সমস্যা দূর হয়। শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
উপরের আলোচনাতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। চাইলে জেনে আসতে পারেন।
প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। আজকের এই
পর্বে প্রতিদিন শসা খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যাবে চলুন
তা জেনে আসি। শসা একটি সবজির নাম। এটি আমরা সালাত করে ভাতের সঙ্গে খেয়ে
থাকি। বাড়িতে গরুর মাংস, মুরগির মাংস অথবা যে কোন ধরনের মাংস রান্না হচ্ছে
আর শসা নেই এমনটা কখনোই হয় না।
বাড়িতে মাংস রান্না হলেই শসা লাগবেই। শসা নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। শসা যদি
আপনি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তবে মিলবে নানা ধরনের
উপকারিতা। নিয়মিত শসা খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক উপকার সাধিত হয়।
নিয়মিত এই শসা খাওয়ার ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও অনেক কম থাকে।
নিয়মিত আপনি যদি শসা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তবে হজমের সমস্যা
দূর হবে, শরীরের হার মজুদ হবে, চুল ও নাকের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে, মানসিক
চাপের সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও পরিত্রাণ পাবেন। এজন্য খাদ্য তালিকায়
প্রতিদিন শসা রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও আপনি যদি শসার উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন। তাহলে উপরের আলোচনা থেকে জেনে আসতে
পারেন।
লেখকের শেষ কথা
উপরের আলোচনা থেকে আমরা শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
এছাড়াও আমরা আরো জানতে পেরেছি। খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও।
শসা আমাদের নিত্যদিনের একটি প্রয়োজনীয় সবজি। এই সবজিটি মূলত আমরা যখন খাবার
খাই তখন সালাত হিসেবে ভাতের সঙ্গে খেয়ে থাকি। শসায় নানা ধরনের পুষ্টিগুণ
উপাদান রয়েছে।
এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যায় কাজ করে থাকে। আপনি যদি নিয়ম মেনে
শসা খাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে নানা ধরনের উপকারিতা পাবেন। আমি উপরের আলোচনায়
শসার যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা
করছি উপরের পোষ্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url