মুলার ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

মুলার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। মুলা সবজিটি প্রায় সবাই কমবেশি খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা কেউই এর গুণাবলী সম্পর্কে অবগত নয়। তাই মুলার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে জানা দরকার।

মুলার-উপকারিতা-অপকারিতা
মুলার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র আপনারা মুলার এ টু জেড গুণাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যেতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ মুলার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন

মুলার উপকারিতা অপকারিতা

মুলার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা মুলার যাবতীয় উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করার চেষ্টা করব। প্রতিটি জিনিসের ভালো দিক রয়েছে এবং খারাপ দিকও রয়েছে। মূলা তার ব্যতিক্রম নয়। এই সবজিটি খাওয়ার ফলে যেমন উপকারিতা হয়ে থাকে ঠিক তেমনি কিছু অপকারিতাও হয়ে থাকে। চলুন তাই এর ভালো দিক এবং খারাপ দিক গুলো দেখে আসিঃ

মুলার উপকারিতা গুলোঃ
  1. মুলা খাওয়ার ফলে ওজন কমে থাকে।
  2. মূলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
  3. মূলা খাওয়ার ফলে কিডনি সুস্থ থাকে।মুলা খাওয়ার ফলে রক্ত পরিশোধন হয়ে থাকে।
  4. আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে মুলা ভূমিকা রাখে।
  5. মুলা দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে এবং বিলিরুবিন নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে জন্ডিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  6. মূলা খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  7. শ্বেত রোগের চিকিৎসায় মূল আত্যান্ত কার্যকরী।
  8. মূলার টুকরা ত্বকে লাগানোর ফলে ব্রণ দূর হয়ে থাকে।
  9. মূলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।
  10. মুলার পাতায় আয়রন এবং ফসফরাস থাকে। যার ফলে এটি আমাদের শরীরে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  11. মূলা খাওয়ার ফলে ক্লান্তি ভাব দূর হয়।
  12. মুলার রস খেলে শরীরের কোন জায়গায় আঘাত পাওয়া ব্যথা বা জ্বালা যন্ত্রণা দূর হয়।
  13. মূলার রস খেলে হাঁচি কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  14. মুলা খাওয়ার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  15. নিয়মিত মূলা খাওয়ার ফলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়।
মূলার অপকারিতা গুলোঃ 
মূলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি নানা গুনে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে আমাদের শাস্তির অনেক উপকার করে থাকে। তবে এটি প্রয়োজনের বেশি খাওয়া নিরাপদ নয়। আপনি যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তবে আপনার গ্যাস, বদহজম, বমি হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিবে। এছাড়াও অতিরিক্ত মূলা খাওয়ার ফলে থাইরয়েডের সমস্যা হয়ে থাকে।

যেসব রোগীরা থাইরয়েডে আক্রান্ত তারা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়াও যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারাও মূলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। মুলা খাওয়ার ফলে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বহু গুণে বেড়ে যায়। যা ডায়বেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এছাড়াও মূলা খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই প্রয়োজন অতিরিক্ত মূলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। অতিরিক্ত মূলা খাওয়ার ফলে বারবার মূত্রত্যাগের সমস্যা হতে দেখা যায়। এর ফলে শরীর থেকে অনেক পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এজন্য আমাদের মূলা খাওয়ার পর পানি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। উপরের নিয়ম গুলো ভালোভাবে মেনে রাখার চেষ্টা করুন। আশা করছি ভালো ফল পাবেন।

গর্ভাবস্থায় মুলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মুলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব গর্ভাবস্থায় মুলা খাওয়া আপনার জন্য নিরাপদ হবে কিনা তা সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় মুলা খাওয়া যেতে পারে। তবে কিছু নিয়ম মেনে এটি খেতে হবে। গর্ভবতী মায়ের মূলা খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।

এটি ক্যালোরি পড়াতে সাহায্য প্রদান করে এবং আপনার ক্ষুধা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য প্রদান করবে। এছাড়াও এটি গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রক্ষা করব। মূলা খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এটি প্রতিরোধ গড়ে তোল। এছাড়াও মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা গুলোর উন্নতি করতে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় মূলা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। কেননা মূলা খাওয়ার ফলে এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে প্রভাবিত করে না।

এছাড়াও মূলাতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি, আয়রন, জিংক থাকার কারণে এটি ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। তাই বলা যায় যে গর্ভাবস্থায় মুলা খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা অতিরিক্ত মুলা খাওয়া হলে পেটের সমস্যা এবং বমি বাম ভাব হতে পারে।

মূলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান

মূলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা মূলাতে থাকা যাবতীয় পুষ্টিউপাদান সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা নিয়ে নিব। চলুন দেখে আসি কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে মূলাতেঃ

১০০ গ্রাম মূলাতে-

ভিটামিন সি রয়েছে ২৪%, আয়রন রয়েছে ১%, ভিটামিন বি৬ রয়েছে ৫%, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ২%, ক্যালসিয়াম রয়েছে ২%, ভিটামিন ডি রয়েছে ০%, সোডিয়াম রয়েছে ৩৯ মিলিগ্রাম, কোলেস্টেরল রয়েছে ০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম রয়েছে ২৩৩ মিলিগ্রাম, এবং চিনি রয়েছে ১.৯ গ্রাম।

মুলা খেলে কি গ্যাস হয়

মুলা খেলে কি গ্যাস হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব মূলা খাওয়ার ফলে সত্যিই কি আসলে গ্যাস হয় নাকি হয় না তা সম্পর্কে। হ্যাঁ মুলা খাওয়ার ফলে সত্যিই গ্যাস হয়। মুলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আরো রয়েছে সালফার সমৃদ্ধ এসিড অ্যামিনো এসিড। এই উপাদানগুলো থাকার কারণে ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিলে গাঁজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি অধিক পরিমাণে গ্যাসের সৃষ্টি করে থাকে।

মূলা খেতে পারেন তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেই গ্যাস, বদহজম ও বমি বমি ভাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিয়ম মেনে পরিমান মত খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলেই এর সঠিক উপকারিতা গুলো পেয়ে যাবেন।

মুলার জুসের উপকারিতা

মুলার জুসের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা মুলার জুস খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। মুলা একটি উপকারী সবজি। এই সবজিটি বাজারে সবসময়ই প্রায় পাওয়া যায়। এই সবজিটি খাওয়ার ফলে নানা ধরনের উপকারিতা হয়ে থাকে। তবে সবচাইতে ভালো হবে যদি আপনি এর জুস খেতে পারেন।

মুলার-জুসের-উপকারিতা
আপনি যদি এক গ্লাস মুলার জুস খেতে পারেন। তবে কপার, জিংক, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ ভিটামিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ইত্যাদি ধরনের পুষ্টি উপাদান গুলো খুব সহজে পেয়ে যাবেন। অনেকে মুলার জুস খেতে চান না। খেতে না চাওয়াটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আপনি চাইলে গাজরের জুসের সাথে মিশ্রিত করে মুলার জুস খেতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে আমাদের দেহ নানা রকম উপকারিতা পেয়ে থাকে।

সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফুসফুসে থাকা কফ। মুলার জুস খাওয়ার ফলে ফুসফুসে থাকা কফ পরিষ্কার হয়ে থাকে। মূলাতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকার কারণে এটির জুস করে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মুলার জুস তৈরি করার জন্য মুলা, গাজর, আপেল, কমলালেবু নিতে হবে। এগুলোর খোসাগুলো ছাড়িয়ে ফেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

এরপর এগুলোকে একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে এর রস বের করে ফেলতে হবে। তাহলেই হয়ে যাবে মুলার জুস। আর সর্বশেষ এর সাথে পাতি লেবুর রস এবং বরফ টুকরো মিশ্রিত করে দিলেই হয়ে যাবে সুস্বাদু মুলার জুস। এটি খেতে আপনার বিরক্ত লাগবে না। 

মুলা শাকের উপকারিতা

মুলা শাকের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এ পর্বে মূলা শাকের যাবতীয় উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। মূল একটি উপকারী সবজি। এই সবজিটি খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের যেমন অনেক উপকারিতা হয়ে থাকে ঠিক তেমনি এর শাকেও রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। যেগুলোও আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারিতা বয়ে আনে।

মুলার শাকের উপকারিতা। মুলা শাক বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনি সমৃদ্ধ। মুলা শাক খাওয়ার মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও মুলা শাক খাওয়ার ফলে শারীরিক ক্লান্তি এবং দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মুলা শাক খাওয়ার মাধ্যমে জ্বর, সর্দি, কাশি এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়। মুলা শাক খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়।

যার ফলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি মেলে। এছাড়াও ওজন কমাতে মুলা শাকের জুড়ি মেলা ভাব। এছাড়াও মুলার উপকারিতা অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় মুলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে উপরের আলোচনাতে আলোচনা করা হয়েছে।

ওজন কমাতে মুলার জুস

ওজন কমাতে মুলার জুস খেতে পারেন। কেননা আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন। তাদের কোন চিন্তা করার দরকার নেই। আপনারা আজ থেকে শুরু করুন মুলার জুস খাওয়া। মুলার জুসে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। এছাড়াও মুলার জুস পানি ও ফাইবারে ভরপুর রয়েছে। মুলার জুস খাওয়ার ফলে ক্ষুধা দীর্ঘক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

যার ফলে আপনি খুব কম খাবার খাবেন। এর ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তাই নিয়মিত মুলার জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে দেখবেন আপনার ওজন কমে আসছে। উপরের আলোচনাতে মুলার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে এ টু জেড আলোচনা করা হয়েছে। চাইলে জেনে নিতে পারেন।

মুলা দিয়ে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি

মুলা দিয়ে একটি সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করা যায়। চলুন এটি আপনি কিভাবে তৈরি করবেন তা জেনে আসি। প্রথমে বাজার থেকে মুলা কিনে এনে ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এরপর মুলাগুলোকে ছোট আকারে কেটে ফেলবেন। আমরা যেহেতু মুলার সাথে ছোট মাছ রান্না করবো। সেহেতু ছোট মাছগুলোকে ভালোভাবে কাটা বেঁছে নিয়ে ভেজে নিবেন।

মুলা-দিয়ে-রেসিপি-তৈরির-পদ্ধতি
এরপর মাছগুলোকে নামিয়ে নিন। এবার পাত্রে তেল ঢালুন। এরপরেতে কাঁচা মরিচ এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। ভালোভাবে ভাজতে থাকুন। যখন পেঁয়াজ ব্রাউন কালার ধারণ করবে তখন এতে রসুন বাঁটা, ধনে, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া এবং প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে দিবেন। সবগুলো উপকরণের মিশ্রণ গুলোকে ভালোভাবে মিস করার পর কষিয়ে নেবেন। এরপর এতে মুলা দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ সিদ্ধ করতে থাকুন। মুলা গুলো সিদ্ধ হয়ে এলে আগে থেকে ভেজে নেওয়া ছোট মাছগুলো দিয়ে দিন।

একসঙ্গে মিশ্রিত করুন ভালো হবে। এরপর আবার প্রয়োজন মতো লবণ এবং সামান্য পরিমাণে মশলা গুলো দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ এভাবে রান্না করতে থাকুন। রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। এভাবে আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই মুলা দিয়ে রেসিপি করে খেতে পারেন। এছাড়াও মুলার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে উপরের আলোচনাতে আলোচনা করা হয়েছে। চাইলে জেনে আসতে পারেন।

মুলা কি শরীর ঠান্ডা করে

মুলা কি শরীর ঠান্ডা করে এ ধরনের প্রশ্ন আপনারা প্রায় করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেয়ার চেষ্টা করব সত্যিই কি মূলা খাওয়ার ফলে শরীর ঠান্ডা হয় কিনা। হ্যাঁ মুলা খাওয়ার ফলে শরীর ঠান্ডা হয়ে থাকে। কেননা মূলাতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং শক্তিশালী আন্টি-অক্সিডেন্ট। যেটি আমাদের শরীর থেকে তাপ কমিয়ে থাকে।

যার ফলে আমাদের শরীর খুব সহজেই ঠান্ডা হয়ে যায়। তাই বলা যায় যে মূলা খাওয়ার ফলে শরীর ঠান্ডা হয়ে থাকে। এজন্য আপনারা চাইলে আপনাদের খাদ্য তালিকায় মুলা যোগ করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে মুলার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে উপরের আলোচনা থেকে জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা মুলার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি গর্ভাবস্থায় মুলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও। মুলা বর্তমান বাজারে একটি খুবই জনপ্রিয় সবজি। এই সবজিটা আমরা প্রায় সবাই কিনে থাকি। এই সবজিটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।

এতে রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণ। এই পুষ্টিগুণ গুলো আমাদের শরীরকে নানা প্রকার অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করে থাকে। উপরে আলোচনাতে মুলার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url