করলার জুসের ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

করলার জুসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া অতীব জরুরী। কেননা করলার জুসের নানা উপকারিতা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে। এজন্য তাই করলার জুসের গুনাগুন জানা প্রয়োজন।

করলার-জুসের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
করলার জুসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখা গুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র আপনারা করলার জুসের যাবতীয় গুণাবলী জানতে সক্ষম হবেন।

সূচিপত্রঃ করলার জুসের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

করলার জুসের উপকারিতা ও অপকারিতা

করলার জুসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে করলার জুসের যাবতীয় ভালো দিক এবং খারাপ দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। প্রতিটি জিনিসেরই কিছু ভালো দিক থাকে এবং কিছু খারাপ দিক থাকে। করলার জুস তার ব্যতিক্রম নয়। করলার জুস যেমন নানা উপকারিতা বয়ে আনে ঠিক তেমনি এর কিছু খারাপ দিক রয়েছে। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। প্রথমে আমরা ভালো দিকগুলো এবং তারপর করলার জুসের খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নিব।

করলার জুসের উপকারিতাঃ

  • করলার জুস খাওয়ার ফলে এলার্জি অথবা হাঁপানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • ওজন কমাতে করলার জুস অনেক বেশি কাজ করে থাকে।
  • করলার জুস খাওয়ার ফলে রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
  • করলার জুস খাওয়ার ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়।
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে করলার জুস খেতে পারেন।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করলার জুস অনেক বেশি উপকারী। কেননা করলার জুস খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • করলার জুস খাওয়ার ফলে স্কিন ভালো থাকে। সেই থাকে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
  • করলার জুস খাওয়ার ফলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
  • চুল এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য করলার জুস অনেক বেশি কার্যকর।
  • করলার জুস খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কেননা করলাতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করে থাকে।
  • করলার জুস খাওয়ার ফলে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন অনেক ভালো হয়।
  • জ্বর হলে মুখের স্বাদ থাকে না। এই সময় করলার জুস খেলে মুখের স্বাদ ফিরে আসে।
  • করলার জুস খাওয়ার ফলে রক্ত পরিষ্কার হয়।
  • করলার জুসের সঙ্গে পানি, মধু মিশিয়ে খেলে শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাইটিস, গলার প্রদেহ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • করলার জুস খাওয়ার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়ে থাকে।

করলার জুসের অপকারিতাঃ

করলার জুস একটি অত্যন্ত উপকারী জুস। এটি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের নানা উপকার হয়ে থাকে। তবে এটি সঠিকভাবে না খাওয়ার ফলে ঘটতে পারে বিপদ। একটা করলা থেকে যতটুকু জুস হয় তার বেশি জুস খাওয়া ঠিক নয়। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের করলার জুস খাওয়া নিরাপদ নয়। করলার জুস অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া অথবা লিভারের প্রদাহ হতে পারে।

এছাড়াও শিশুদের জন্য এই জুস খাওয়া ক্ষতিকারক। কেননা শিশুরা যদি করলার জুস খায় তবে তাদের পেট ব্যথা, বমি হওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি নানা সমস্যায় ভুগতে পারে। একটা না সর্বোচ্চ তিন মাস করলার জুস খাওয়ার পর ১০ থেকে ১৫ দিন বিরতি দিয়ে খেতে হবে। এটি করলে সবচাইতে ভালো হয়। এছাড়াও যারা প্রতিদিন কোন অসুখের ওষুধ সেবন করেন।

তারা এই জুস খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এছাড়াও করলার জুস অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে পুরুষদের শুক্রাণু কমে যায়। এছাড়াও যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে। তারা করলার জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। করলা জুস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এই জুস খালি পেটে খাওয়ার ফলে মেলে আশ্চর্য রকম উপকারিতা। চলুন সেই উপকারিতা গুলো দেখে নিই।

  • খালি পেটে করলার জুস খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • রক্ত পরিষ্কার রাখতে খালি পেটে করলার জুস খান।
  • খালি পেটে করলার জুস খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • পাইলসের সমস্যা দূর করতে খালি পেটে করলার জুস খেতে পারেন।
  • খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার ফলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।
  • খালি পেটে করলার জুস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • পেটের গুঁড়ো কৃমি দূর করতে খালি পেটে করলার জুস খান।
  • খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়।
  • পিত্ত শ্লেষ্মাজনিত রোগ দূর করতে খালি পেটে করলার জুস খেতে পারেন।

করলার জুস বানানোর নিয়ম

করলার জুস বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা করলা দিয়ে কিভাবে পুষ্টিকর জুস তৈরি করা যায়। সেই নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
  • ২টি করলা
  • লেবু
  • লবণ 

তৈরি পদ্ধতিঃ

  • করলা ২ কে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে ফেলতে হবে।
  • কুচি কুচি করে কাটা করলাগুলোতে ২৫০ মিলিগ্রাম পানি দিয়ে ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
  • ছাঁকনির সাহায্যে ব্লেন্ডকৃত করোলার মিশ্রণটিকে ছেঁকে ফেলতে হবে।
  • ছেঁকে নেওয়া করলার জুসে প্রয়োজন মত লবণ এবং লেবুর রস দিতে হবে।
  • তৈরি হয়ে গেল স্বাস্থ্যসম্মত করলার জুস।

করলার জুস খেলে কি ওজন কমে

করলার জুস খেলে কি ওজন কমে এ সম্পর্কে অনেকে অনেক বেশি প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব করলার জুস খাওয়ার ফলে সত্যিই কি ওজন কমে থাকে সে সম্পর্কে। করলার জুস অত্যন্ত উপকারী একটি জুস। এই জুস খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের নানা রোগ দূর হয়ে থাকে।

যে খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন কমে থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো করলার জুস। এটি খাবার ফলে ফ্যাট সেলগুলো বার্ন করে এবং সেই জায়গায় নতুন ফ্যাট সেল তৈরি হওয়ার জন্য বাধা প্রদান করে। যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও করলার জুসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় যত ধরনের পদার্থ রয়েছে, তা বের করে দিতে সাহায্য করে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ মুলার ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন 

এগুলোর কারণেই ওজন কমে থাকে। তাই বলা যায় যে করলার জুস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বাড়তি মেদ কমে থাকে অর্থাৎ এটি ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও উপরের আলোচনা থেকে আপনারা চাইলে করলার জুসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

করলার জুস খাওয়ার সময়

করলার জুস খাওয়ার সময় সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছে। আজকের এই পর্বে আমরা করলার জুস কোন সময় খেলে সঠিক পুষ্টি পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। করলার জুস আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক বেশি কার্যকরী। এটি নিয়ম মেনে খাওয়ার ফলে এর যাবতীয় উপকারিতা আমাদের শরীরে লেগে থাকে। করলার জুস খাওয়ার সঠিক সময় হল সকাল বেলা।

করলার-জুস-খাওয়ার-সময়অর্থাৎ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে করলার জুস খেতে পারেন। এটিই হতে পারে সবচাইতে উপযুক্ত সময়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার ফলে নানা উপকারিতা পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রক্ত পরিষ্কার হয়, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে। এজন্য আপনারা চেষ্টা করবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার।

তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন টানা তিন মাস করলার জুস খাওয়ার পর অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন বিরতি দিয়ে এই জুস খাওয়ার। তাহলেই এর সঠিক উপকারিতা পেতে পারবেন। এছাড়াও উপরের আলোচনা থেকে আপনারা চাইলে করলার জুসের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও জেনে আসতে পারেন। 

প্রতিদিন কতটুকু করলার জুস পান করা উচিত

প্রতিদিন কতটুকু করলার জুস পান করা উচিত এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা নিয়মিত কতটুকু করলার জুস খেতে পারবেন, সেই সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। করলার জুস একটি উপকারী জুস। এই জুস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি জরুরী। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না।

করলার জুস তার ব্যতিক্রম নয়। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে গ্যাস, পেট ফাঁপা, এসিডিটি ইত্যাদি নানা সমস্যা হতে পারে। এজন্য প্রতিদিন দুইটি করলার জুস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। নিয়মিত এটি তিন মাস খাওয়ার পর অন্ততপক্ষে ১০থেকে ১৫দিন ব্রেক নিয়ে আবার খাবেন।

আরো পড়ুনঃ লাউ এর ১২টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন 

এভাবে প্রতিদিন দুইটা করে করলার জুস খেতে থাকুন। তাহলেই এর যাবতীয় পুষ্টিগুণ আপনার শরীরে নিতে পারবেন। এছাড়াও উপরের আলোচনা থেকে আপনারা চাইলে করলার জুসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন। 

করলার জুস খাওয়ার নিয়ম

করলার জুস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা করলার জুস কিভাবে খেলে এর উপকারিতা পাবেন সেই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। করলার জুস খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়ম অনুসরণ করে করলার জুস খেতে পারলে এর সবগুলো উপকারিতা একসঙ্গে পাওয়া যাবে। সকালে খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন।

তবে অতিরিক্ত খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে যেহেতু এটি তিতা তাই মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এটি প্রয়োজন মত খাওয়ার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ সকালে খালি পেটে সর্বোচ্চ দুইটা করলার জুস খেতে পারেন। করলার জুস তিতা হওয়ার কারণে অনেকে এটা খেতে পারেন না। তাই এটিকে খাওয়ার জন্য এর সাথে পানি মিশিয়ে দিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ কাঁচা পেঁপে খাওয়ার ১৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন 

আরেকটি কাজ করতে পারেন করলার জুস খাওয়ার জন্য এর সাথে মধু অথবা মিষ্টি কোন জাতীয় জিনিস মিশিয়ে দিয়ে খেতে পারেন। তাহলে একদিকে তিতাও লাগলো না। আবার এর যাবতীয় পুষ্টিগুণ পেয়ে গেলেন। এই নিয়মগুলো মেনে করলার জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন। আশা করছি এর উপকারিতা পাবেন।

করলার জুস কখন খেতে হয়

করলার জুস কখন খেতে হয় এ সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব করলার জুস কোন সময় খেলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য তা ভালো হবে সে সম্পর্কে। করলার জুস একটি উপকারী জুস। এটি নিয়ম মেনে খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে। করলার জুস সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস করলার জুস খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

করলার-জুস-কখন-খেতে-হয়
তবে নিয়মিত এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি টানা তিন মাস খাওয়ার পর ১০থেকে ১৫দিন বিরতি দিয়ে খেতে হবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে সপ্তাহে প্রতিদিন না খেয়ে সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন এই করলার জুস খেতে পারেন। তাহলেই এর যাবতীয় পুষ্টিগুণ আপনারা পেতে পারবেন। এছাড়াও উপরের আলোচনা থেকে আপনারা চাইলে করলার জুসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন। 

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে করলার জুস

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে করলার জুস সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা করলার জুস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। করলার জুসে থাকে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। এই উপাদান গুলো ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি কাজ করে থাকে।

এতে এমন সকল উপাদান রয়েছে যেগুলো ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এজন্য নিয়মিত করলার জুস খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আপনার বুঝতেই পারছেন রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকা মানে ডায়াবেটিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া। তাই যারা ডায়াবেটিসের আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সপ্তাহে তিন থেকে চার বার করলার জুস খেতে পারেন।

এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে ম্যাজিক এর মত কাজ করে থাকে। আপনারা জানলে অবাক হবেন চীন এবং উপমহাদেশের নানা মানুষ তাদের ডায়াবেটিকস রোগ মোকাবেলা করার জন্য বহুকাল ধরে করলার জুস খেয়ে আসছেন। এজন্য আপনারাও এটি খেতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা করলার জুসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও। করলার জুসের আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়ম মেনে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে থাকে।

কোন সময় খেতে হবে এবং কিভাবে খেতে হবে এ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য উপরের আলোচনায় বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। উপরে আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা এ সকল তথ্য ভালোভাবে জেনে যেতে পারবেন। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url