কমলার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানা প্রয়োজন। কেননা কমলা একটি স্বাস্থ্যসম্মত ফল। যেটি খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের নানা অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই এর পুষ্টিগুণ জানা প্রয়োজন।

কমলার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই আপনারা কমলা খাওয়ার যাবতীয় গুণাবলী সহজে জেনে যেতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ কমলা খাওয়ার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন

কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা

কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে কমলার ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। প্রতিটি জিনিসেরই কিছু ভালো দিক থাকে এবং কিছু খারাপ দিক থাকে। কমলা তার ব্যতিক্রম নাই। কমলারও ভালো দিক রয়েছে এবং কিছু খারাপ দিক রয়েছে। তবে ভালো দিকের পরিমাণই সবচাইতে বেশি। তাই চলুন দেখে নেই এর ভালো দিক এবং খারাপ দিক গুলোঃ

কমলার উপকারিতা গুলোঃ
  1. কমলা খাওয়ার ফলে ত্বকের সজীবতা, দেহের প্রাণশক্তি এবং কাজ করার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ কমাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আমাদের দেহের প্রাণশক্তি, ত্বকের সজীবতা এবং কাজ করার কর্মদক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।
  2. কমলাতে ভিটামিন বি৬ থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  3. কমলাতে থাকা ভিটামিন এ সব বয়সের লোকের চোখের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  4. যারা ব্লাড সুগার নিয়ে চিন্তিত। তারা কমলা খেতে পারে। কারণ কমাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় উপাদান। যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  5. কমলাতে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে ত্বকের বলিরেখা খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
  6. কমলা খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  7. কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আলফা ও বিটা ক্যারোটিন ফ্ল্যাভনয়েড উপাদান। যা আমাদের শরীরের যাবতীয় ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  8. কমলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে হওয়া যাবতীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  9. কমলালেবু খাওয়ার ফলে ইনসুলিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  10. কমলা তে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ইত্যাদি উপাদান। যা আমাদের শরীরের হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
  11. কমলা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় করে তুলতে ভূমিকা রাখে।
  12. নিয়মিত কমলা খাওয়ার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
  13. কমাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম। যা আমাদের দাঁত ও হাড়ের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
  14. কমলায় ভিটামিন বি৬, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি আমাদের হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
  15. কমলা খাওয়ার ফলে রাতকানা রোগ নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।
  16. নিয়মিত কমলা পাওয়ার ফলে লিউকোমিয়া প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  17. কমলা খাওয়ার ফলে অরুচি ভাব, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  18. কমলা খাওয়ার ফলে মানসিক অবসাদ খুব সহজে দূর হয়।
  19. কমলা খাওয়ার ফলে স্মৃতিশক্তি অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
  20. কমলা খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
কমলার অপকারিতা গুলোঃ
কমলা খাওয়ার ফলে যেমন অনেক উপকারিতা হয় ঠিক তেমনি এর কিছু খারাপ দিক রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে। তারা কমলালেবু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা কমলালেবুতে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা কিডনি সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। কমলালেবুতে থাকা ফাইবার মাঝে মাঝে ডায়রিয়ার সমস্যা তৈরি করতে পারে।

এছাড়াও কমলাতে এসিড থাকার কারণে দাঁতের এনামেলে থাকা ক্যালসিয়ামের সাথে মিশ্রিত হয়ে যাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে। তারা কমলালেবু এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এছাড়াও যারা জয়েন্টের ব্যথা এবং আর্থারােইটিসে ভোগেন তারা অল্প পরিমাণে কমলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

কমলালেবু প্রয়োজনের বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই খাওয়া ভালো নয়। কমলালেবু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হার্ট বার্ণের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই পরিমান মত কমলালেবুর খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে এর যাবতীয় উপকারিতা গুলো পেয়ে যাবেন।

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার যাবতীয় উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ফলে ভ্রুণের মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে এটি ভূমিকা পালন করে। কমলা ভিটামিন সি সমিদ্ধ ফল হাওয়ায় গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়াও অনেক উপকারী।

এছাড়াও এতে আরো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যেমন ধরেন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এই উপাদানগুলো গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের দেহের প্রয়োজনে পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়তা করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ বেল খাওয়ার ১৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন     

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ফলে রক্তচাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। এছাড়াও এটি খাওয়ার ফলে নবগত শিশুর বিকাশ সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়। তাই গর্ভাবস্থায় কমলালেবু নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।

কমলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান

কমলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। এজন্য তাই কমলা যাবতীয় পুষ্টিগুণগুলো আমাদের জেনে নেওয়া দরকার। আজকের এই পর্বে আমরা কমলায় থাকা যাবতীয় পুষ্টিগুণ গুলো সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক-

প্রতি ১০০ গ্রাম কমাতে

ভিটামিন সি রয়েছে ৮৮%, আয়রন রয়েছে ০%, ভিটামিন বি৬ রয়েছে ৫%, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ২%, ক্যালসিয়াম রয়েছে ৪%, সোডিয়াম রয়েছে ০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম রয়েছে ১৮১ মিলিগ্রাম, সুগার রয়েছে ৯ গ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ০.৯ গ্রাম।

বাচ্চাদের কমলা খাওয়ার উপকারিতা

বাচ্চাদের কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা বাচ্চাদের কমলা খাওয়ানোর ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। কমলালেবু অনেক পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকার কারণে বাচ্চাদের এটি খাওয়ানো অনেক জরুরী।

এর ফলে তারা সঠিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকবে। বাচ্চারা বদহজমের সমস্যায় ভুগে থাকে। তাদের এই সমস্যা দূর করার জন্য কমলা অনেক উপকারী একটি ফল হতে পারে। এছাড়াও ছোট বাচ্চাদের নানা রকম অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। এজন্য আপনার বাচ্চাকে কমলালেবুর রস খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন ছোট বড় যাবতীয় রোগ খুব সহজে নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

আরো পড়ুনঃ আমড়া খাওয়ার ১৬ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন   

তবে মাথায় রাখতে হবে কেবলমাত্র আপনার বাচ্চার বয়স যখন এক বছরের উপর হবে তখনই আপনি তাকে কমলালেবু খাওয়াতে পারবেন। এর আগে খাওয়ালে কমলা লেবুতে থাকা এসিড আপনার বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

কমলা বেশি খেলে কি হয়

কমলা বেশি খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব অতিরিক্ত পরিমাণে কমলা খাওয়ার ফলে কি ধরনের সমস্যা হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়াই আমাদের স্বার্থের জন্য ভালো কথা নয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কমলা খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কমলা-বেশি-খেলে-কি-হয়
এছাড়াও পেটের সমস্যা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি নানা সমস্যায় পরতে পারেন। কমলা প্রাকৃতিকভাবেই অ্যাসিডিটিক হওয়ার কারণে এটি মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার ফলে গ্যাস, বদ হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য দিনে ১ থেকে ২ টি কমলালেবু খাওয়ার চেষ্টা করুন।

তাহলে এর যাবতীয় গুণাবলী খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনাদের কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এটি অনেক স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

কমলা খাওয়ার নিয়ম

কমলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চেষ্টা করব আমাদের আসলে কোন সময় কমলা খাওয়া ভালো হবে তা সম্পর্কে এ টু জেড জেনে নেওয়ার। কমলা একটি দুর্দান্ত উপকারী ফল। এ ফলটি নিয়ম মেনে খেতে হবে। যখন তখন খেলে এর সঠিক পুষ্টি আমরা পাবো না। তাই চলুন এটি খাওয়ার সঠিক নিয়মটা জেনে আসি।

এই ফলটি সকালে এবং রাতে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা ফলটি খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে অথবা খাবার খাবার একঘন্টা পরে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আশ্চর্যজনক একটি ব্যাপার হল এই ফলটি আপনি যদি খাবার খাওয়ার আগে খান তবে ক্ষুধার পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। 

আরো পড়ুনঃ আঙ্গুরের ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন   

আর এই ফলটি আপনি যদি খাবার খাওয়ার পরে খান তবে আপনার খাওয়া খাবার গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি হজম করতে সাহায্য করবে। এজন্য তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কমলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে করে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। খাওয়ার আগে অথবা পরে কমলা পাওয়ার চেষ্টা করুন। আশা করছি এর যাবতীয় পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকবেন।

কমলা খেলে কি ঠান্ডা লাগে

কমলা খেলে কি ঠান্ডা লাগে এ ধরনের প্রশ্ন আপনারা করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব কমলা খাওয়ার ফলে আসলেই কি ঠান্ডা লাগে না লাগে না সে সম্পর্কে। কমলা খেলে ঠান্ডা লাগে না বরং ঠান্ডা হলে কমলা বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আমরা অনেকে ঠান্ডা লাগলে কমলা জুস অনেক বেশি খেয়ে থাকি। যা মোটেও ভালো কথা নয়।

কমলা নানাগুনে সমৃদ্ধ। যার কারণে আমরা মনে করি এটি খাওয়ার ফলে হয়তো ঠান্ডা ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু দুঃখের কথা হচ্ছে এই সময় এটি বেশি খেলে ভালো না হয়ে বরং খারাপের দিকে ধাবিত হবে। ঠান্ডা লাগলে সাইট্রিক এসিড আছে এমন কোন ধরনের ফল খাওয়া উচিত নয়।

তাই ঠান্ডা লাগলে কমলা খাওয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। উপরে আলোচনাতে আমরা কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। চাইলে জেনে আসতে পারেন।

কমলার রস খাওয়ার উপকারিতা

কমলা থেকে তৈরি রস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এই রস খাওয়ার ফলে আমাদের দেহ সতেজ এবং সুস্থ থাকে। আমরা নিয়মিত যেসব ফলের রস খেয়ে থাকি সেগুলোর মধ্যে কমলার রস অন্যতম। এটি সতেজ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। যেটি আমাদের দেহকে দ্রুত শক্তি যোগায়। যেহেতু এই রস টক মিষ্টি স্বাদের তাই এটি খেতে সবাই প্রায় পছন্দ করে।

কমলার-রস-খাওয়ার-উপকারিতা
কমলার রস কতটুকু উপকারী। চলুন জেনে নিই। কমলার রসে রয়েছে ভিটামিন সি। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এটি ঠান্ডা,ফ্লু এবং অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে থাকে। এই ফলের রস নিয়মিত খাওয়ার ফলে হাড়ের গঠন ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে। 

কেননা এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যেটি আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে থাকে। এছাড়াও উপরের আলোচনাতে কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

কমলা খেলে কি গ্যাস্ট্রিক হয়

কমলা খেলে কি গ্যাস্ট্রিক হয় এ সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব কমলা খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের কোন সমস্যা হয় নাকি সে সম্পর্কে। কমলা একটি উপকারী ফল। এ ফলটি আমাদের স্বাস্থ্যের নানা উপকারে কাজে লাগে। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই ফলটি খাওয়ার ঠিক নয়। কেননা এটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলেই পেটের নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।

এর মধ্যে রয়েছে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, বদহজম, গ্যাস, এসিডিটি ইত্যাদি। তাই প্রয়োজনমতো কমলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে হবে না। এ থেকে বোঝা গেল কমলা খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে তখনই যখন আপনি এটি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবেন। এছাড়াও উপরের আলোচনাতে কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা আলোচনা করা হয়েছে। চাইলে জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। কমলা একটি স্বাস্থ্যকর ফল। যা আমাদের শরীরের যাবতীয় রোগ দূর করতে সহায়তা করে থাকে।

এটি নিয়ম মেনে খেলে আমরা এর সঠিক পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরে ধারণ করতে পারবো। কিন্তু নিয়ম না মেনে খেলেই বাড়বে বিপদ। উপরে আলোচনাতে এটি নিয়ম মেনে খাওয়ার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url