কিউই ফলের ১৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

কিউই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এই ফলটি অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ার কারণে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এছাড়াও এই ফলটি আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে থাকে।

কিউই-ফলের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
কিউই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র আপনারা এই ফলের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ কিউই ফলের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন

কিউই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

কিউই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা কিউই ফলের যাবতীয় ভালো দিক এবং খারাপ দিকগুলো আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। কিউই একটি উপকারী ফল। এই ফলটি সাধারণত মধ্য ও পূর্ব চীনে উৎপাদিত হয়ে থাকতো। এই ফলটির আদি নিবাস চীন দেশে। এই ফলটির যেমন ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনি কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। চলুন প্রথমে ভালো দিক এবং পরে খারাপ দিক গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

কিউই ফলের উপকারিতাঃ

  1. কিউই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্ডিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ক্যারোটিন থাকার কারণে এটি চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে থাকে।
  2. কিউই ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, এবং পটাশিয়াম থাকার কারণে এটি খাওয়ার ফলে হার্ট ভালো থাকে।
  3. কিউই ফল খাওয়ার ফলে হাঁপানি সমস্যা দূর হয়। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি হাঁপানি রোগীদের জন্য এক মহাঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে।
  4. কিউই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিদ্রাহীনতার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
  5. কিউই ফল নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে এবং দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  6. কিউই ফল আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে থাকে। এটি খাওয়ার ফলে ২৩০% ভিটামিন সি আমাদের শরীরে সরবরাহ হয়ে থাকে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
  7. চুল পড়ার সমস্যায় কিউই ফল দারুন কার্যকরী। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই চুল পরা সমস্যায় ভূমিকা রাখে।
  8. কিউই ফল খাওয়ার ফলে ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি নিত্য নতুন সমস্যা দূর হয়।
  9. এই ফলটি খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটব্যথা এবং শরীরের কোথাও ফোলা ভাব থাকলে তা প্রতিরোধ হয়।
  10. কিউই তিনটি খাওয়ার ফলে এতে থাকা বায়োঅ্যাক্টিভ রক্তচাপের সমস্যা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  11. এটি একটি লো গ্লাইসেমিক হওয়ার কারণে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
  12. কিউই ফলে ফাইবার থাকার কারণে এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
  13. যাদের কিডনিতে পাথর জমা রয়েছে তাদের জন্য কিউই ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি কিডনি থেকে পাথর সরাতে ভূমিকা রাখে।
  14. এই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি আমাদের ত্বককে অক্সিডেটিভ ড্যামেজের কবল থেকে রক্ষা করতে ভূমিকা পালন করে।
  15. এই ফলটি খাওয়ার ফলে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যার কারণে এই ফলটি খেলে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকে।
  16. এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

কিউই ফলের অপকারিতাঃ

কিউই ফল উপকারী হওয়ার পাশাপাশি এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যেগুলো মেনে এ ফলটি খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এই ফলটি খাওয়ার ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। যার ফলে চুলকানি, ঠোঁট, মুখ, জিভ ফুলে যেতে পারে। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা হবে তারা কিউই ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

এছাড়াও কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই কিউই ফলটিও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। যদি করেন তবে পেট খারাপের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও এই ফলটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথরের উৎপত্তিও হতে পারে। যা মোটেও ভাল কথা নয়। তাছাড়া যারা নিম্ন রক্তচাপের রোগী তারা এই ফলটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এসব নিয়ম মেনে এ ফলটি খেলে অপকারিতা নয় উপকারিতায় পেয়ে থাকবেন।

গর্ভাবস্থায় কিউই ফলের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কিউই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকে আমরা গর্ভাবস্থায় কিউই ফল খাওয়ার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। কিউই ফল অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এই ফলটি একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক উপকারিতা বয়ে আনে। চলুন দেখে নেই সেই উপকারিতা গুলোঃ

  • কিউই ফলে রয়েছে ফলিক এসিড। যার ফলে কিউই ফল গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে সেবন করার ফলে নবাগত শিশুর মস্তিষ্কের পাশাপাশি সায়ুতন্ত্রের বিকাশে এটি সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও এই ফলটি এই সময় খাওয়ার ফলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • কিউই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা গর্ভবতী মায়ের শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • এই ফলটি খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার কারণে গর্ভবতী মায়ের এই ফল খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  • কিউই ফলটি গর্ভাবস্থায় খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি যাবতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাব হয়।
  • কিউই ফলে ভিটামিন সি থাকার পাশাপাশি ভিটামিন ই রয়েছে। যা নবাগত শিশুর কোষগুলোকে নানা রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
  • কিউই ফল গর্ভাবস্থায় খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এই ক্যালসিয়াম নবগত শিশুর হাড়, দাঁত, মাংসবেশি এবং হৃদযন্ত্রের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় কিউই ফল খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের হার্ট ভালো থাকে।

কিউই ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান

কিউই ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা কিউই ফলে থাকা যাবতীয় পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। কিউই ফল নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই পুষ্টিগুণ গুলো আমাদের শরীরের জন্য ব্যাপক কার্যকরী। কিউই ফলের এইসব পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের শরীরের নানা রকম অসুখ-বিসুখ হওয়া থেকে রক্ষা করে। তাই চলুন এবার আমরা এতে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো সম্পর্কে জেনে আসি।

আরো পড়ুনঃ সফেদা ফলের ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন    

প্রতি ১০০ গ্রাম কিউই ফলে

ভিটামিন সি রয়েছে ৯৩.২ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম রয়েছে ৩১১ মিলিগ্রাম।, ক্যালসিয়াম রয়েছে ৪১ মিলিগ্রাম, লোহা রয়েছে ০.২৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ১৭ মিলিগ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ১.৩৫ গ্রাম।, স্নেহ পদার্থ রয়েছে ০.৬৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ১৪.৮৬ গ্রাম, শর্করা রয়েছে ৮.৭৮ গ্রাম।

কিউই ফল খাওয়ার নিয়ম

কিউই ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে কিউই ফল খাওয়ার যাবতীয় নিয়মাবলী সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। কিউই ফল একটি উপকারী ফল। এই ফলটির আদি নিবাস চীন দেশে। এই ফলটি খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের নানা উন্নতি হয়ে থাকে। এছাড়াও এই ফলটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে।

এই ফলটি সারা বছরই পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফলিক এসিড এবং পটাশিয়াম এর মাত্রা অধিক রয়েছে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিউই ফলে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যার ফলে এটি নিয়মিত খেলে বিভিন্ন প্রকার ইনফেকশন থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে থাকে। নিয়মিত এই ফলটি খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ কমলার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন   

এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে পেট পরিষ্কার হয়ে থাকে। এছাড়াও এতে ক্যালরির পরিমাণ কম পরিমাণে থাকার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে বেস কার্যকরী। কিউই ফলের এ সকল গুনাগুন গুলো পাওয়ার জন্য নিয়মিত কিউই খাওয়া শুরু করুন।

কিউই ফলের দাম

কিউই ফলের দাম সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্ব থেকে কিউই ফলের যাবতীয় দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। এই ফলটি নানা ঔষধি গুণাগুনে ভরপুর। এই ফলটি মূলত চীন দেশে সবচাইতে বেশি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এ ফলটির আদি নিবাস মধ্যে ও চীন দেশে। এই ফলটির দাম এক এক দেশে এক এক রকম হয়ে থাকে।

কিউই-ফলের-দাম
এই ফলটির দাম আকার ভেদে ৮০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এর দাম ১৪৫০ টাকা মত হয়ে থাকে। এই ফলটি অনেক সুস্বাদু হয় অনেকে একে পছন্দ করে। আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় এই সুস্বাদু ফলটি চাইলে রাখতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে কিউই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

কিউই ফল কোথায় পাওয়া যায়

কিউই ফল কোথায় পাওয়া যায় এই সম্পর্কে আপনারা অনেক বেশি প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্ব থেকে কিউই ফল কোথায় সবচাইতে পাওয়া যায় বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। কিউই একটি স্বাস্থ্যসম্মত ফল। এই ফলটি চীন দেশে সবচাইতে বেশি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এই ফলটি বর্তমানে চীন থেকে নিউজিল্যান্ডে উৎপাদন শুরু হয়েছে।

এছাড়াও এই ফলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত হয়ে থাকে। দেশগুলোর নাম হল তুরস্ক, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল, ইতালি, চিলি ইত্যাদি। এই ফলটি সাধারণত বেশিরভাগ নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু গত অঞ্চল গুলোতে চাষ করা হয়ে থাকে। এই ফলটির উপরটি বাদামি এবং ভেতরটা উজ্জ্বল সবুজ রঙের হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ জাম্বুরার ১৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন  

এই ফলের ভেতরে ছোট ছোট কালো রঙের বীজ রয়েছে। এই ফলটির নাম কিউই রাখা হয়েছে। কারণ এটি নিউজিল্যান্ডের কিউই পাখির মত দেখতে তাই। এছাড়াও এই ফলটি বর্তমানে ভারতে চাষ হতে দেখা যাচ্ছে।

কিউই ফলের বাংলা নাম কি

কিউই ফলের বাংলা নাম কি এ সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্ব থেকে কিউই ফলের বাংলা নাম কি তা সহজে জেনে নেব। কিউই একটি স্বাস্থ্যসম্মত ফল। যেটি চীন দেশে উৎপাদিত হতো। বর্তমানে এটি সারা বিশ্বের অনেক বেশি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এই ফলটির তেমন কোন বাংলা নাম নাই। এ ফলটি বাংলাতেও কিউই নামেই বেশি পরিচিত।

এই ফলটি অনেক সুস্বাদু হওয়ার কারণে এটি খেতে অনেকেই অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে। এতে থাকা নানা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের নানা উপকারে এসে থাকে। তাই আপনারা চাইলে এই ফলটি নিয়মিত সেবন করতে পারেন। উপরের আলোচনাতে আমি কিউই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় কিউই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

কিউই ফলের জুস বানানোর পদ্ধতি

কিউই ফলের জুস বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এই ফলটি অনেক স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ার কারণে এটি খেলে নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে এই ফলটি যদি জুস করে খেতে পারেন তবে আরো ভালো হয়। অনেকে এটি এমনি খেতে বিরক্ত বোধ করতে পারেন। 

কিউই-ফলের-জুস-বানানোর-পদ্ধতি
তাই সেই ক্ষেত্রে এটি জুস করে খেতে পারেন। তাহলে এর যাবতীয় গুনাগুন গুলো একসাথে পেয়ে যেতে পারবেন। চলুন দেখে আসি এটি আপনারা জুস করে কিভাবে খেতে পারবেন সেই সম্পর্কে। এজন্য প্রথমে বাজার থেকে কিউই ফল কিনে এনে ভালোভাবে চোকাগুলো ছিড়ে ফেলবেন। এরপর এগুলোকে পিস পিস করে কেটে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে দিয়ে তাতে প্রয়োজনমতো পানি মিস করে ব্লেন্ড করে নিবেন।

আরো পড়ুনঃ আপেলের ১৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন  

এরপর ছাঁকনির সাহায্যে কিউই ফলের মিশ্রণটি থেকে রস বের করে ফেলবেন। তাহলেই হয়ে গেল কিউই ফলের মজাদার জুস। চাইলে এর সাথে আপনারা বরফের টুকরা এবং চিনি মিস করে খেতে পারেন। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের অজানা অনেক রোগী ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও উপরের আলোচনাতে কিউই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

রাতে খাওয়ার পর কিউই খাওয়া যাবে কি

রাতে খাওয়ার পর কিউই খাওয়া যাবে কি এ ধরনের প্রশ্ন আপনাদের করতে দেখা যায়। রাতে কিউই ফল খাওয়ার ফলে কি হবে চলুন তা জেনে আসি। কিউই একটি উপকারের ফল। এই ফলটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে অনেক ধরনের উপকারিতাই হয়ে থাকে। তবে প্রশ্ন হলো এ ফলটি কি রাতে খাওয়া যাবে? হ্যাঁ, এই ফলটি রাতে খাওয়া যাবে।

এর ফলটি রাতে খাওয়ার ফলে হজম শক্তি সঠিকভাবে হয়ে থাকে। এছাড়াও এই ফলটি রাতে খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই রাতে যে সকল ফল খাওয়া যায় বা ফল খাওয়ার ফলে সবচাইতে ভালো হয় কিউই ফল তাদের মধ্যে অন্যতম। এই ফলটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাওয়ার ফলে ঘুম ভালো হয়।

তাই আপনারা চাইলে এই ফলটি রাতে খাবার গ্রহণের পরে খেতে পারেন। আশা করছি সঠিক উপকারিতা পাবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে কিউই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা কিউই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি গর্ভাবস্থায় কিউই ফলের উপকারিতা সম্পর্কেও। এই ফলটি অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ার কারণে সবাই প্রায় এই ফলটি অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে। এই ফলটির উৎপত্তি চীন দেশে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ফলটি উৎপাদন শুরু হয়।

এই ফলটি নানা স্বাস্থ্য গুনে ভরপুর হওয়ার কারণে আমাদের শরীরের অনেক অসুখ-বিসুখ ভালো করতে কাজ করে থাকে। উপরের আলোচনাতে আমি এই ফলের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url