খোরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবাক করা তথ্য জেনে নিন

খোরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা খোরমা খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের নানা উন্নতি হয়ে থাকে। এই খেজুর নানা পুষ্টি গুনে ভরপুর হওয়ার কারণে নানা রোগ বালাই দূর হয়।

খোরমা-খেজুর-খাওয়ার-নিয়ম
খোরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখা গুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র খোরমা খেজুর খাওয়ার যাবতীয় উপকারিতা সম্পর্কে এ টু জেড জেনে যাবেন।

সূচিপত্রঃ খেজুর খাওয়ার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

খোরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম

খোরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চেষ্টা করব খোরমা খেজুর কিভাবে খাওয়ার ফলে আপনি এর সবটুকু উপকারিতা একসঙ্গে পেয়ে যাবেন তা জেনে নেওয়ার।খোরমা খেজুর একটি উপকারী ফল। খোরমা খেজুর মূলত পাওয়া যায় ইরান, ইরাক, পাকিস্তান এবং সৌদি আরবে। এই বিশেষ ধরনের খেজুরটিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো এসিড রয়েছে।

এই খেজুর এমন একটি খেজুর যা দুর্বলকে সবল করে এবং যারা অতি দুর্বল তাদের কেউ খুব অল্প সময়ের মধ্যে শক্তিশালী করে তুলতে কাজ করে থাকে। খোরমা খেজুর সকালে ৪টি করে খান। এর ফলে নানা প্রকার উপকারিতা পাবেন। খোরমা খেজুরে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড। খোরমা খেজুরে এই উপাদানগুলো থাকার কারণে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়। একই সাথে ওজন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

খোরমা খেজুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলো থাকার কারণে এটি খাওয়ার ফলে শরীরের হাড় ও দাঁত ক্ষয় রোধ হয় এবং হাঁটু, কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। খোরমা খেজুরে রয়েছে জিংক, কপার, সেলেনিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। এর উপাদানগুলো মাংসপেশীর বৃদ্ধি ঘটায়, কর্মক্ষমতা এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা প্রদান করে। খোরমা খেজুর ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি ত্বকের লাবণ্য এবং টানটান ভাব বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে থাকে।

একই সাথে ঘন কালো চুল পেতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। খোরমা খেজুরে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এই উপাদানগুলো মানসিক চাপ এবং শারীরিক ক্লান্তি দূর করতেও সহায়তা করে থাকে। এতে থাকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ম্যাঙ্গানিজ যা ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও এই উপাদানগুলো নার্ভাস সিস্টেম, ক্ষুধা লাগার প্রবণতা না লাগা এবং রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থাকে।

খোরমা খেজুরে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে টিউমার ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে থাকে। এতে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেল বের করে দিয়ে বয়স হওয়ার আগে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪টা খোরমা খেজুর খাওয়ার ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে এই খেজুর খুবই উপকারী। এই নিয়ম গুলো মেনে খোরমা খেজুর খান। আশা করছি উপকারিতা পাবেন।

সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম

সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। খেজুর একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। যেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা বয়ে আনে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আপনি যদি খেজুর খেতে পারেন তাহলে মিলবে নানা উপকারিতা। 

যেমন ধরেন আপনি যদি সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন তবে আপনার মস্তিষ্ক প্রাণবন্ত থাকবে। সারা দিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অনেকে আছেন যারা একটু বয়স হলে শরীরের চামড়া জড়োসড় হয়ে যায়। এ সময় আপনি যদি খেজুর খেতে পারেন তবে আপনার এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কেননা এতে রয়েছে ভিটামিন বি।

যা ত্বকের এ ধরনের সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে। খেজুর থেকে প্রয়োজনে পুষ্টি সঠিকভাবে পাওয়ার জন্য রাতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। ভিজিয়ে রাখার ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার পর অর্থাৎ সকালে সেই ভিজানো খেজুর খেয়ে ফেলুন। এতে করে শরীরের বাড়তি ওজন কমবে। একই সাথে মলত্যাগের প্রক্রিয়া খুব সহজ হয়ে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ও বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।। তাই সকালে খালি পেটে এই নিয়ম মেনে খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা রাতে খেজুর খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। রাতে খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক ধরনের উপকারিতা হয়ে থাকে। চলুন কি সেই উপকারিতা তা দেখে আসি।

রাতে যদি আপনি দুইটি করে খেজুর খান। তবে আপনার রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও রাতে খেজুর খাওয়ার ফলে খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা দূর হয়ে ভালো কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমানোর আগে গরম দুধের সাথে দুটি খেজুর খেলে অধিক মাত্রায় পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকবেন।

এক সপ্তাহ এভাবে খেয়ে দেখুন।এছাড়াও রাতে খেজুর খাওয়ার ফলে জয়েন্টের ব্যথা, ডায়াবেটিস সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তাই রাতে এ নিয়ম মেনে খেজুর খাওয়ার ফলে মিলবে আশ্চর্যজনক উপকারিতা।

খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। অনেক গবেষকরা বলে থাকেন ভিজিয়ে রেখে খেজুর খাওয়ার ফলে নানা রকম অসুখ-বিসুখ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়। ভিজিয়ে রেখে খেজুর খাওয়ার ফলে ক্লান্তহীন শরীর সতেজ হয়ে ওঠে।

ভিজিয়ে রাখা খেজুর সকালে খালি পেটে খাওয়ার ফলে সারা দিনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের এনার্জি পাওয়া যায়। এজন্য আপনি যদি কর্মক্ষম একটি জীবন পরিচালনা করতে চান। তবে ভিজিয়ে রেখে খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভিজে রাখা খেজুর খাওয়ার ফলে হজমের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে, ত্বক থাকবে উজ্জ্বল এবং কোমলময়।

এজন্য রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা। এরপর সকালে খালি পেটে ভেজানো খেজুর এবং এর পানি একসঙ্গে খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই নিয়ম মেনে খেজুর খাওয়ার ফলে আপনি অবাক করা উপকার পেয়ে থাকবেন।

অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়

অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আপনারা অনেক বেশি প্রশ্ন করে থাকেন। একটা কথা মাথায় রাখবেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই খাওয়া ভালো নয়। প্রতিটি জিনিসেরই একটি ভাল দিক রয়েছে একটি খারাপ দিক রয়েছে। আপনার চেষ্টা করতে হবে ভালো দিকটি গ্রহণ করার এবং খারাপ দিকটি বর্জন করার।

অতিরিক্ত-খেজুর-খেলে-কি-হয়
আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খান তবে আপনার পেটে ব্যথা হওয়া শুরু হবে। আবার প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে এলার্জিরও সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও আপনি যদি বেশি পরিমাণে খেজুর খেয়ে ফেলেন তবে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকাংশে কমে যাবে।

তাই কখনোই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এছাড়াও উপরের আলোচনাতে খোরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম এবং সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। চাইলে জেনে আসতে পারেন।

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া আমাদের জন্য ভালো হবে তা সম্পর্কে। খেজুর খুবই উপকারী একটি ফল। এই ফলটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দিনে আপনি কয়টি খেজুর খাবেন তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে প্রত্যেক জনের শরীরের উপর।

স্বাভাবিক নিয়মে সকালে আপনি অথবা বিকেলে ২থেকে ৩টি খেজুর খেতে পারেন। এছাড়াও রাতে গরম দুধের সাথে ২ থেকে ৩টি খেজুর খেতে পারেন। এক সপ্তাহ যদি এভাবে খেতে পারেন তাহলে মিলবে নানা উপকারিতা। তবে যারা পরিশ্রম বেশি করেন তাদের জন্য ৪ থেকে ৫টি খেজুর খাওয়া জরুরী। তাহলে পরিশ্রম করার পর যে ক্লান্তি ভাব আসে তা খুব সহজে দূর হয়ে যাবে। উপরের আলোচনাতে খোরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চাইলে জেনে নিতে পারেন।

কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো

কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। চলুন আজকের এই পর্বে আমরা কোন খেজুরটা কি ধরনের এবং কোনটা সবচাইতে ভালো তা সম্পর্কে এ টু জেড জেনে নিই। বাজারে বিভিন্ন ধরনের খেজুর পাওয়া যায়। এক একটা খেজুরের নাম এবং দাম একেক রকম। সারা বিশ্বে প্রায় ৬০০ রকমের খেজুর দেখতে পাওয়া যায়। এগুলোর স্বাদ ও মান এক একেকটার একেক রকম।

এই খেজুরগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আজওয়া খেজুর। এই খেজুর হার্ট অ্যাটাক রোধ করতে সহায়তা করে। অন্য একটি খেজুর হলো মেজুল। এই খেজুরে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল রয়েছে। কেউ খেজুর খাওয়ার ফলে হাড় ও মস্তিষ্ক ভালো থাকে। আরেকটি খেজুর হল সাফাভি। এই খেজুর খালি পেটে খাওয়ার ফলে পেটের কৃমি দূর হয়। বারহি নামে আরেকটি খেজুর রয়েছে।

এই খেজুরটি ফাইবার, আইরন, পটাশিয়াম, এন্ডডিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি এর ভাল উৎস। এছাড়াও আরো বিখ্যাত খেজুর রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো খালাস, মেডজুল, জাহিদি, সুক্কারি, খুদরি, সাগাই ইত্যাদি। এই খেজুরগুলো প্রত্যেকটি নানাগুনে সমৃদ্ধ।

এসব খেজুর গুলোর মধ্যে প্রায় প্রত্যেকটিই ভালো খেজুর। তারপরেও আপনাকে নিজেকেই চিনে নিতে হবে কোনটা আপনার জন্য ভালো হবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে খোরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

ভালো খেজুর চেনার উপায়

ভালো খেজুর চেনার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন আজকের এই পর্বে আমরা ভালো খেজুর চেনার কার্যকরী উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। চলুন তা জেনে আসি। ভালো মানের খেজুর চেনার সবচাইতে ভালো উপায় হল আপনি যখন খেজুর হাতে নিবেন তখন দেখবেন খেজুরের চামড়া জড়োসড়ো হয়ে আছে নাকি? যদি জড়োসড় হয় তাহলে বুঝবেন এটি ভালো খেজুর।

ভালো-খেজুর-চেনার-উপায়
এছাড়াও ভালো খেজুর এর চামড়া শক্ত হয় না এবং উপরের চামড়া খুব একটা নরম হয় না। তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন এর চামড়া চকচকে এবং উজ্জ্বল ধরনের হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনারা যদি খেজুরের গায়ে দানাদার অথবা তেল জাতীয় কোন জিনিসের আবির্ভাব দেখেন তবে বুঝে নিবেন এই খেজুরটি ভেজাল, ভালো মানের নয়। ভালো মানের খেজুর চেনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল এটি কেমন মিষ্টি রয়েছে তা পরীক্ষা করা। ভালো মানের খেজুর মিষ্টি হয় তবে অনেক মিষ্টি হয় না।

যদি আপনি দেখেন খেজুর অতিরিক্ত মাত্রায় মিষ্টি দেখাচ্ছে। তবে বুঝে নিবেন এর সাথে এমন কোন উপাদান মিসানো হয়েছে। যার কারণে এটি বেশি মিষ্টি লাগছে। ভালো খেজুর চেনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল খেজুরটি যদি ভালো মানের হয় তাহলে মৌমাছি অথবা পিঁপড়ে এর ধারেপাশে ঘিসবে না। আর যদি ভালো মানের না হয় তাহলে দেখবেন মৌমাছি অথবা পিঁপড়া এর ধারে পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্যাকেট জাতীয় খেজুর কিনায় সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ।

কেননা এই খেজুরগুলো কতদিন খাওয়া যাবে তার একটা তারিখ প্যাকেটে লেখা থাকে। তবে খোলা খেজুর কেনার আগে দেখে নিবেন খেজুরগুলোর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে কিনা বা খুব বেশি কালো হয়ে গেছে কিনা। যদি এ ধরনের দেখেন তবে তা কিনা থেকে দূরে থাকবেন। আশা করছি এই কৌশল গুলো অবলম্বন করলেই ভালো খেজুরটি খুব সহজে চিনে যাবেন।

খেজুরের নাম ও দাম

খেজুরের নাম ও দাম সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। চলুন আজকের এই পর্বে আমরা প্রতিটি খেজুরের নাম এবং দাম খুব সহজে জেনে নেই। এই পৃথিবীতে অনেক ধরনের খেজুর রয়েছে। এগুলোর নাম এবং দাম প্রত্যেকটিরই আলাদা আলাদা।

আজওয়া খেজুরঃ এটার দাম ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। আপনি কোথায় কিনছেন তার ওপর নির্ভর করে দাম কম বেশি হয়ে থাকে।

মরিয়ম খেজুরঃ এই খেজুরের দাম ৮০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। আপনি এটা কোথায় কিনছেন তার ওপর এর দাম নির্ভর করে।

মাবরুম খেজুরঃ এটার দাম ১২০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। কোথায় কিনছেন তার ওপর নির্ভর করে এর দাম কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মেডজুল খেজুরঃ এই খেজুর বর্তমান বাজারে ১০০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। আপনি কোথায় কিনছেন তার উপর নির্ভর করে এর দাম কম বেশি হতে পারে।

লেখকের শেষ কথা  

উপরের আলোচনা থেকে আমরা খোরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও। উপরের আলোচনাতে খেজুরের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। 

এই আলোচনাতে বিভিন্ন প্রকার খেজুরের ভালো দিক এবং খারাপ দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা যদি নিয়ম মেনে খেজুর খাওয়া চেষ্টা করতে পারি তবে তা আমাদের জন্য অনেক উপকারিতা বয়ে আনবে। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url