আপেলের ১৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা আপেল একটি স্বাস্থ্যসম্মত ফল। আমরা যদি এই ফলটি নিয়মিত খেতে পারি তবে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে সহজে রক্ষা পেতে পারবো।

আপেলের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র আপেলের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা পেয়ে যেতে পারবেন। 

সূচিপত্রঃ আপেলের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন

আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা আপেলের যাবতীয় ভালো দিক এবং খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে এ টু জেড জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। প্রতিটি জিনিসেরই কিছু ভালো দিক থাকে এবং কিছু খারাপ দিক থাকে। আপেল তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এর ভালো দিকের সংখ্যাই সবচাইতে বেশি। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক আপেলের উপকারিতা এবং অপকারিতা গুলোঃ

আপেলের উপকারিতা গুলোঃ

  1. আপেল খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের নিউইয়রণগুলো সবসময় কর্মক্ষম থাকে।
  2. আপিলে থাকে এক ধরনের কোয়েরসেটিন উপাদান। যেটি আমাদের শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে থাকে।
  3. আপেলে থাকে ফ্লাভানয়েড নামে এক ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান। যেটি স্টক হওয়ার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  4. আপেল খাওয়ার ফলে শরীরের যাবতীয় ক্যান্সার হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  5. আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে কয়েকটি করে আপেল খেতে পারেন। তবে এটি আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে।
  6. আপনি যদি নিয়মিত আপেল খেতে পারেন। তবে হাঁপানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  7. আপেল খাওয়ার ফলে দাঁতের হলুদ ভাব দূর হয় এবং রাতের কোনায় আটকে থাকা কোন খাবার খুব সহজে পরিষ্কার হয়।
  8. আপেল খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে রেহাই মিলে।
  9. হজমের সমস্যা থাকলে আপেল খেতে পারে। এটি পেটের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
  10. নিয়মিত আপেল খাওয়ার ফলে এসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  11. আপেল খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
  12. আপেল খাওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের যে কোন সমস্যা খুব অল্প সময়ের মধ্যে দূরীভূত হয়।
  13. লিভারের ক্ষতিকর উপাদান গুলোকে বের করে দিতে আপেল সাহায্য করে। যার ফলে লিভার সুস্থ থাকে।
  14. আপেল খাওয়ার ফলে এটি স্নায়বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে।
  15. আপেল খাওয়ার ফলে এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।
  16. আপেল খাওয়ার ফলে পিত্তথলিতে হওয়া পাথর সরানো সম্ভব হয়।

আপেলের অপকারিতা গুলোঃ

আপেল খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের নানা উপকারিতা হয়। কিন্তু এটি ভুল ভাবে খাওয়ার ফলে হতে পারে ভয়াবহ বিপদ। আপেলে ফাইবার থাকার কারণে এটি যদি আপনি বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তবে আপনার পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং বমি বমি ভাবের মত সমস্যা হতে পারে। আসল কথা প্রয়োজনের তুলনাই কোন কিছুই খাওয়া নিরাপদ নয়। আপেলে থাকা কার্বোহাইড রক্তের সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

যার ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের আপেল খাওয়ার নিরাপদ হবে না। যেহেতু আপেলে অনেক বেশি কীটনাশক দেওয়া হয়। তাই এটি পরিমাপ মতো খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি এটি বেশি খান তবে আপনার শরীরে অনেক বেশি কীটনাশ জমা হবে। যা শরীরের জন্য মোটেই ভালো কথা নয়। যেহেতু আপেলে প্রাকৃতিক এসিড রয়েছে। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষতি সাধন হয়। 

এছাড়াও অতিরিক্ত আপের খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয় না। যার ফলে গ্যাস, এসিডিটি, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য আপনাকে দিনে সর্বোচ্চ ২টি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারি। এতে করে আপনি আপেলের যাবতীয় গুণাগুণ গুলো পেয়ে যেতে পারবেন।

খালি পেটে আপেল খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে আপেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খালি পেটে আপেল খাওয়ার যাবতীয় উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপেল একটি উপকারী ফল। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পানি খেয়েই খালি পেটে আপেল খেতে পারেন। খালি পেটে আপেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয়।

আরো পড়ুনঃ আঙ্গুরের ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন   

খালি পেটে আপেল খাওয়ার ফলে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের পুষ্টি পেয়ে যেতে পারবেন। আপেলে রয়েছে আইরন, প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট। এই উপাদানগুলো শরীরকে সঠিক পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে। খালি পেটে আপেল খাওয়ার ফলে আপেলে থাকা ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান গুলো আমাদের শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে থাকে। 

এজন্য প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠার পর সামান্য পরিমাণে পানি খেয়ে খালি পেটে একটি করে আপেল খেয়ে ফেলুন। এতে করে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে। সেই সাথে রক্তে শর্করার পরিমাণও বজায় থাকবে।

আপেলে থাকা পুষ্টি উপাদান

আপেলে থাকা পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আপনাদের জানা প্রয়োজন। কেননা আপেলের এই সমস্ত পুষ্টি উপাদান গুলোই আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। আপলে প্রায় অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। চলুন জেনে আসা যাক কি কি সেই পুষ্টি উপাদান রয়েছে আপেলে।

প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে

ভিটামিন সি রয়েছে ৭%, আইরন রয়েছে ০%, ভিটামিন বি৬ রয়েছে ০%, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ১%, ক্যালসিয়াম রয়েছে ০%, ভিটামিন ডি রয়েছে ০%, কোলেস্টেরল রয়েছে ০%, সোডিয়াম রয়েছে ১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম রয়েছে ১০৭ মিলিগ্রাম, সুগার রয়েছে ১০ গ্রাম।

আপেল সিদ্ধ খেলে কি হয়

আপেল সিদ্ধ খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা আপেল সিদ্ধ করে কিভাবে খেতে হয় এবং কাদের জন্য এটি সিদ্ধ করে খেতে হয়। চলুন তা জেনে আসি। আপেল আসলে সিদ্ধ করে খাওয়ার কোন দরকার নেই। আপেল সিদ্ধ করে খাওয়ার প্রয়োজন হয় শুধুমাত্র শিশুদের। কারণ শিশুদের বয়স যখন ৬ থেকে ৭ মাস থাকে। তখন তাদের সিদ্ধ করে আপেল খাওয়াতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ আমড়া খাওয়ার ১৬ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন   

সিদ্ধ করে আপেল খাওয়ানো হয় এ কারণে যে আপনি যদি আপেল কুরে কুরে আপনার শিশুকে খাওয়ান। তবে হয়তো শিশুটি খেতে পারবে না। এজন্য আপেল সেদ্ধ করে শিশুকে খাওয়ানো হলে। শিশুটি খেতে পারবে। এতে থাকা সম্পূর্ণ পুষ্টি সেদ্ধ করার ফলে হয়তো পাবে না সে। কিন্তু সামান্য পরিমাণ উপকারিতা পেলেও তার জন্য অনেক ভালো। আর সাধারণ মানুষের জন্য আপেল সেদ্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ আপেল সেদ্ধ করে খেলে আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ পাওয়া যায় না।

আপেল খাওয়ার নিয়ম

আপেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চেষ্টা করব আপেল কোন সময় খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা বয়ে আনবে সে সম্পর্কে। আপেল একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। যেটি খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের নানা উপকারিতা হয়ে থাকে। তবে যখন তখন খেলে এর সঠিক পুষ্টি সম্পূর্ণ পরিমাণে পাওয়া সম্ভব হয় না।

আপেল-খাওয়ার-নিয়ম
তাই এটি নিয়ম করে খাওয়া অনেক বেশি জরুরী। এজন্য আপেল খাবার সবচাইতে উপযুক্ত সময় হলো সকালবেলা। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়ার পর একটি করে যদি আপেল নিয়মিত খেতে পারেন। তাহলে ডাক্তার থেকে দূরে থাকতে পারবেন। অনেকের অপর্যাপ্ত ঘুম, দেরিতে ঘুম যাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া ঠিকভাবে হয় না। এ কারণে সকাল হয়ে ঘুম থেকে উঠে আপেল খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আপেল খেলে কি ওজন বাড়ে

আপেল খেলে কি ওজন বাড়ে এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা আপেল খাওয়ার ফলে সত্যি কি ওজন বাড়ে না বাড়েনা সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিব। আপেল খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ে না বরং কমে থাকে। কেননা আপেলে পানি এবং ভজ্য আঁশ রয়েছে। যা দীর্ঘক্ষণ যাবৎ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে থাকেন।

আর বুঝতেই পারছেন পেট ভরা থাকলে আপনি কম খাবেন। আর যত কম খাবেন তত পরিমাণে ওজন কমে আসবে। তবে মাথায় রাখবেন আপেল খেতে হবে পরিমাপ মত। যদি বেশি খান তবে ওজন কমবে না বরং বেড়ে যাবে। আপেল খাওয়ার ফলে আপনার ওজন কমবে না বাড়বে তা নির্ভর করে আপেলে থাকা ক্যালোরির উপর। একটি মাঝারি সাইজের আপেলে প্রায় ৯৫ ক্যালোরি রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ বেল খাওয়ার ১৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন     

আর যে আপেলগুলো বড় সাইজের সেগুলোতে ১১৬ ক্যালরি রয়েছে। তাই খুব বেশি পরিমাণে আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও উপরের আলোচনা থেকে খালি পেটে আপেল খাওয়ার উপকারিতা এবং আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন।

আপেল খেলে কি গ্যাস হয়

আপেল খেলে কি গ্যাস হয় এ ধরনের প্রশ্ন প্রাই শুনতে পাওয়া যায়। চলুন আজকের এই পর্বে আপেল খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা হয় কিনা তা পরিষ্কারভাবে জেনে নিই। আপেল একটি দুর্দান্ত উপকারী ফল। এই ফলটি আমাদের দেশে চাষ করা না হলেও বাইরে দেশ থেকে আমদানি করা হয়। যার ফলে এই ফলটি আমরা প্রায় বাজারে দেখতে পারি। আমরা এই ফলটি মাঝে মাঝে কিনে খাই।

কিন্তু আমরা এ ফলটি খাওয়ার সময় ভাবি যে এ ফলটি খেলে হয়তো আমরা অনেক উপকারিতা পাব। তাই কখনো কখনো প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি। যেটি মোটেও ভালো কথা নয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়াই ভালো নাই। তা যে ফলই হোক। আপেলও ঠিক তেমনি। আপেল যদি আপনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তবে গ্যাস, এসিডিটি, বদহজম, পেট ফাঁপা ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিবে।

তাই প্রয়োজন মত আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে এর যাবতীয় গুণাবলী গুলো খুব সহজে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও উপরের আলোচনাতে আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এ টু জেড আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

আপেল দিয়ে জুস বানানোর নিয়ম

আপেল দিয়ে জুস বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের জানিয়ে দেবো। আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে আপেল দিয়ে জুস তৈরি করে খেতে পারবেন। এজন্য প্রথমে আপনাকে বাজার থেকে আপেল কিনে এনে। পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুতে হবে। এরপর আপেল গুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে এর বিচি এবং যাবতীয় অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে ফেলে দিতে হবে।

আপেল-দিয়ে-জুস-বানানো-নিয়ম
এরপর টুকরো টুকরো আপেলের অংশগুলোকে ব্লেন্ডারে দিয়ে এর সাথে চিনি মিশ্রিত করে দিতে হবে। তারপর ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর তৈরিকৃত মিশ্রণটি ভালোভাবে ছেঁকে রস বের করে নিতে হবে। এরপর একটি গ্লাসে রসটি ঢেলে তাতে বরফ দিয়ে দিতে হবে এবং সর্বশেষ ঠান্ডা জাতীয় ড্রিঙ্কস দিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার আপেলের জুস। এছাড়াও আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে উপরের আলোচনাতে জানানো হয়েছে। চাইলে জেনে আসতে পারেন।

আপেল কি ভিটামিন আছেে

আপেল কি ভিটামিন আছেে এই সম্পর্কে আপনারা অনেক বেশি প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এ পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। আপেলে কি ধরনের ভিটামিন রয়েছে তা সম্পর্কে। আপেল নানা ভিটামিন গুণ সমৃদ্ধ। আপেলের ভেতর ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ রয়েছে। এই ভিটামিন গুলো হৃদরোগ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস এর মত সমস্যা মোকাবেলায় ভূমিকা পালন করে।

তাই নিয়মিত আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রয়োজন মাত্র আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে আপেলের যাবতীয় গুণাবলী খুব সহজেই নিজের ভেতর ধারণ করতে পারবেন। এছাড়াও উপরের আলোচনাতে আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। চাইলে জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি খালি পেটে আপেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও। আপেল একটি উপকারী ফল। যেটি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের নানা উপকারিতা সাধিত হয়ে থাকে। এই ফলটি যদি আমরা নিয়ম মেনে খেতে পারি।

তবে এই ফলের যাবতীয় গুণগুলো একসঙ্গে পেয়ে যেতে পারবো। সেইসাথে মাথায় রাখতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে যাতে এই ফলটি না খাওয়া হয়। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে উপকারিতা তো পাবেন না বরং স্বাস্থ্যের নানা ক্ষতি হবে। উপরের আলোচনাতে আপেলের যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে এ টু জেড আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url