নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া অনেক জরুরী। কেননা
নিম পাতার বড়ি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের অনেক রোগ থেকে আরোগ্য পাওয়া সম্ভব হয়।
তাই এর গুনাগুন পেতে এর সম্পর্কে জেনে নিন।
নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে নিচের দেওয়া
লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে আপনি নিম পাতার বড়ি
খাওয়ার যত ধরনের উপকারিতা রয়েছে তা জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ নিম পাতার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন
নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা
নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। আজকে আমরা কিভাবে
নিম পাতার বডি তৈরি করা যায় এবং এর ঔষধি গুনাগুন কি তা জেনে নিবো। নিম এমন একটি
গাছ যার ছাল বা পাতা, রস সবই কাজে লাগে। হাজার হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদ
বিশেষজ্ঞরা এই পাতার গুণাগুণ গেয়ে আসছে।
তাদের মতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে ১৩০ টার বেশি বায়োলজিক্যাল কম্পাউন্ড।
যা নানাভাবে শরীরের উপকার করে। তাই নিম পাতা খেলে দেহের কোন ক্ষতি তো হয় না বরং
দেহের অভ্যন্তরে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিসেপটিক,এন্টি ম্যালরিয়াল,অ্যান্টি
ম্যাক্রোবিয়াল এবং এন্টিভাইরাল প্রপারটিজ এর মাত্রা বৃদ্ধি করে।
নিম পাতাতে থাকা উপাদানগুলো পাকস্থলীতে থাকা নানাবিধ ব্যাকটেরিয়াতে মেরে ফেলে।
এজন্য নিম পাতা প্রতিদিন চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কথাটা শুনেই আপনার মন
তেঁতো হয়ে গেল। কিন্তু সমস্যা নেই নিমপাতা আপনি ঠিকই খাবেন কিন্তু মজা করে।
এজন্য আপনাকে নিম পাতা নিয়ে তা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর নিম
পাতাগুলোকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটিকে একটি পাত্রে নিয়ে
ছোট ছোট করে নিম পাতার বড়ি তৈরি করতে হবে।
খেয়াল রাখুন যাতে খুব বেশি ছোট না হয়ে যায়। কারণ খুব বেশি ছোট হয়ে গেলে আপনি
যখন এটি রোদে শুকাতে দিবেন তখন আরো ছোট হয়ে যাবে। এরপর তা রোদে শুকাতে দিতে হবে।
তিন চারদিন রোদে শুকাতে দিলেই এর থেকে পানি বের হয়ে যাবে। এবারে বড়িগুলো একটি
পাত্রে অনেক দিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যাবে। আপনি এই বড়িগুলো সকালে খালি পেটে এবং
রাতে ঘুমানোর আগে গিলে খেয়ে নিবেন।
তাহলে মুখ তেঁতো হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। এটি করার ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য
সমস্যা দূর দূর হয়ে ত্বক পরিষ্কার থাকবে। আমাদের শরীরের পরিপাকতন্ত্রের গতি
বাড়বে। রক্তের শুদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে এবং সর্বশেষ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করতে নিম পাতা সহায়তা করবে।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে।
আজকে আমরা সকালে খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার ফলে আপনি কি ধরনের উপকারিতা পাবেন তা
সম্পর্কে জেনে নিই। নিমপাতা খেতে তেঁতো হলেও এর ঔষধি গুনাগুন ব্যাপক কার্যকরী।
আপনি যদি সকালে খালি পেটে দুই থেকে তিনটি নিপাতা চিঁবিয়ে খেতে পারেন। তবে ব্লাড
সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ডায়াবেটিসেও ঝুঁকি
কমে আসবে।
সকালে খালি পেটে নিম পাতা খেলে শরীরের অর্ধেক রোগ সেরে যায়। সকালে খালি পেটে
নিমপাতা খাওয়ার ফলে রক্ত থেকে টক্সিন বের করে রক্তকে ডিটক্সিফাই করে। যার ফলে
রক্ত পরিষ্কার থাকে। আপনি যদি নিয়মিত সকালে খালি পেটে নিমপাতার জল সেদ্ধ করে
খেতে পারেন। তবে এসিডিটি ও পেটের ব্যথা নিরাময় করা সম্ভব হবে।
নিম পাতায় ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। সকালে খালি পেটে নিমপাতা চিঁবিয়ে
খেলে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার ফলে
শরীরের নানা জ্বালা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলে। তাই আপনি সকালে খালি পেটে নিম
পাতা খাওয়ার চেষ্টা করুন। খুব তেঁতো লাগলে গুড় দিয়েও নিমপাতা খেতে পারেন।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। চলুন আজকের এই
পর্বে চুলকানিতে কিভাবে নিমপাতা ব্যবহার করা যায় তা সম্পর্কে জেনে আসি। নিমপাতা
একটি ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন পাতা। এটি আপনি বিভিন্ন চুলকানির সমস্যায় ব্যবহার
করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে এই পাতা দারুন কার্যকরী। বিশেষ করে গরমের সময় ফোঁড়া,
ব্রোন বা চুলকানির সমস্যা অনেক বৃদ্ধি পায়। তাই এই সময় নিম পাতার পেস্ট তৈরি
করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন।
তাহলে উপকারিতা পাবেন। এছাড়াও যদি নিমপাতা জলে সেদ্ধ করে আপনি গোসল করেন তবে যে
কোন চর্ম রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারবেন। এছাড়াও চোখের চুলকানির জন্য নিমপাতা
কাজ করে থাকে। রেস হলে আপনি গোসলের পানিতে নিমপাতা ব্যবহার করা শুরু করুন। এতে
করে শরীরের রেশ কমে যাবে।
এছাড়াও আপনি যদি খস পচড়া ও ঘা সমস্যায় ভোগেন তবে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
আবার আপনি যদি এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই সমস্যা
থেকে আরাম পাবেন। দাঁদ হলে নিম পাতার পানি সিদ্ধ করে আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে
থাকুন। অল্প সময়ের মধ্যে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এভাবে নিম পাতা বিভিন্ন
চুলকানির সমস্যায় কাজ করে থাকে।
চুলে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
চুলে নিম পাতার ব্যবহার কিভাবে করতে হয় এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। চলুন
আজকে আমরা দেখে নেবো আপনি কিভাবে চুলের সমস্যাই নিমপাতা ব্যবহার করবেন। চুল পড়া,
চুলে খুশকি হওয়া ইত্যাদি সমস্যা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এই সমস্যা গুলো এখন প্রায়
বেশিরভাগ অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। এই সমস্যা দূর করতে
পারবে নিমপাতা।
নিম পাতায় এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে স্কাল্পের টক্সিন বের করে দিতে পারে।
অক্সিডেটিভ স্টেসের মাত্রা কমিয়ে থাকে। ফলে চুলের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি
পাওয়া যায়। এছাড়া নিমপাতায় থাকে এন্টি ফাঙ্গাল উপাদান। যেটি স্কাল্পের ছত্রাক
সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে কাজ করে থাকে। এছাড়াও নিম পাতায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি
থাকে। যেগুলো আপনার চুলের প্রাকৃতিক এবং হেয়ার ফল কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে থাকে।
চলুন এবার দেখি নিম পাতা চুলের যত্নে কিভাবে ব্যবহার করবেন। নিম পাতার হেয়ার
প্যাক তৈরি করার জন্য নিমের পাতা চল্লিশটি নেন। পানি এক লিটার নেন এবং মধু এক
চামচ নেন। প্রথমে একটি পাত্রে পানি দিয়ে তা ফুটিয়ে নিন। এই পানিতে নিমের পাতা
সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
তারপর সকালে উঠে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আবার আগে থেকে পাত্রে থাকা নিম
পাতাকে ব্লেন্ড করে তার সাথে আবার মধু মিশিয়ে এই পেস্টটি ৩০ মিনিট চুলে দিয়ে
রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে তা ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল থেকে খুশকি দূর হবে এবং চুল
নরম হবে।
নিম পাতার ফেসপ্যাক
নিম পাতার ফেসপ্যাক সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। চলুন এবার আমরা দেখে আসি
নিম পাতা ব্যবহার করে কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। নিম পাতা ত্বকের অন্দরের
প্রদাহ কমানোর জন্য কাজ করে থাকে। ত্বককে কোমল করে এবং জেল্লা বাড়াতেও ভূমিকা
রাখে। নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য আপনি দুই চামচ নিমপাতা বাটা নিন।
আর এর সাথে এক চামচ চন্দন গুড়া নিন। দুইটি উপকরণকে একসাথে মিশ্রিত করুন। এই
মিশ্রণে যতটুকু প্রয়োজন জল মিশিয়ে দিন। এভাবে তৈরি হয়ে গেল নিম পাতার
ফেসপ্যাক। এ ফেসপ্যাকটি মুখে ১৫ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রেখে তা ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়াও আপনি আরও একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।
এজন্য আপনাকে নিম পাতা ও মধু নিতে হবে। এবার আপনি এক চামচ নিমপাতা বাটার সঙ্গে এক
চামচ মধু মিশিয়ে দিন। দিয়ে দুইটি উপকরণকে একসাথে মিক্স করুন। এরপর মুখে ৩০
মিনিট মতো লাগিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করার ফলে ত্বক
সতেজ হবে এবং ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর হবে।
নিম পাতা দিয়ে কি কি করা যায়
নিম পাতা দিয়ে কি কি করা যায় এ সম্পর্কে অনেকেই কম বেশি প্রশ্ন করে থাকে। চলুন
আজকে আমরা নিম পাতার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নেই। আপনি যদি নিমপাতা
ব্যবহার করে অর্থাৎ নিম পাতা ফুটিয়ে নিয়ে তা ঠান্ডা করার পর স্বাভাবিক পানির
সাথে যদি মিশিয়ে গোসল করেন। তবে ত্বকের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবেন। চুলে খুশকি
সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি যদি নিম পাতার ভেষজ চা পান করতে
পারেন।
তবে পেটের নানা ধরনের সমস্যা যেমন গ্যাস, এসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি
পাবেন। নিমপাতা দিয়ে গোসল করলে চুলকানি সমস্যা থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে।
নিমপাতাতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যেকোনো ধরনের সংক্রম ব্যাধি
প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে। নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত। এভাবে খেলে নিম পাতার যে তেঁতো স্বাদ রয়েছে তার থাকবে
না।
গোসলের পানিতে নিম তেল দেওয়া যাবে কি
গোসলের পানিতে নিম তেল দেওয়া যাবে কি এই ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। হ্যাঁ
গোসলের পানিতে আপনি নিম তেল দিতে পারবেন। নিম তেল মুখের ব্রণ দূর করতে কাজ করে
থাকে। আবার এই তেল আপনার উজ্জ্বল দাগ হীন মুখ পাওয়ার জন্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
আপনি যদি গোসল করার সময় নিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
তবে শরীরের গন্ধ খুব সহজে দূর হয়ে যাবে। আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষই আছেন যারা
শরীর গন্ধ সমস্যায় ভোগেন। আপনারা চাইলে প্রতিদিন গোসল করার সময় নিম পাতার তেল
গোসলের পানিতে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার শরীরের যাবতীয় গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও আপনি যদি নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে
থাকেন। তবে উপরের আলোচনা থেকে জেনে আসতে পারেন। এটি খুব স্বাস্থ্যসম্মতকর।
নিম পাতা কখন খাওয়া উচিত
নিম পাতা কখন খাওয়া উচিত এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের মধ্যে অনেকেই করে থাকে। চলুন
আজকে আমরা এই সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে আসি। নিমপাতা ঔষধি গুণাগুনে ভরপুর। এই পাতা
ব্যবহার করে কার্যকরী ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনাকে নিম পাতার রস প্রতিদিন সকালে ঘুম
থেকে উঠে খালি পেটে খেতে হবে। আবার সকালে খালি পেটে যদি পাঁচটি গোলমরিচ, দশটি নিম
পাতা খেতে পারেন।
তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ হয়ে যাবে। আপনি যদি ডায়াবেটিস
রোগের চিকিৎসা নিমপাতা দিয়ে করে ফেলতে পারেন। তবে বুঝতেই পারছেন অন্যান্য
রোগের সমস্যা এই পাতাকে ব্যবহার করে খুব সহজেই করা সম্ভব হবে। এছাড়াও আপনি
যদি নিমকে মিছরির সঙ্গে খেতে পারেন। তবে কাশি থেকে খুব সহজেই নিরাময়
পাবেন।
এছাড়াও আপনি নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা গুলো জানার পর সেগুলো ঘুম
থেকে ওঠার পর গিলে খেয়ে নিতে পারেন অথবা ঘুমাতে যখন যাবেন তখনও চাইলে এই বড়ি
গিলে খেয়ে নিতে পারেন। এতে করে তেঁতো স্বাদ নেওয়া থেকে মুক্তি পাবেন।
নিমপাতা খেলে কি ওজন কমে
নিম পাতা খেলে কি ওজন কমে এ সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর উত্তর হলো
হ্যাঁ, নিম পাতা খাওয়ার ফলে শরীরের বাড়তি ওজন অনেক বেশি পরিমাণে কমানো সম্ভব।
নিমের পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি শরীরের অতিরিক্ত
ক্যালরি ক্ষয় করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত?
তারা নিয়মিত নিম পাতার রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি আপনার শরীরে বাড়তি ওজন
কমিয়ে আপনাকে স্বাস্থ্যসম্মত একটি শরীর উপহার দিবে। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই
নিম পাতার রস নিয়ম মেনে নিয়মিত খান। প্রতিদিন এই অভ্যাস আপনি যদি গড়ে তুলতে
পারেন। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার শরীরের বাড়তি ওজন কমে যাবে।
লেখকের শেষ কথা
উপরের আলোচনা থেকে আমরা নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে এসেছি।
আমরা আরও জেনেছি খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে কি হয় এ সম্পর্কেও। নিম পাতা আমরা
যদি নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করি তবে এটি থেকে আমরা অনেক ধরনের উপকারিতা পাবো। এই
পাতা হাজারো প্রাকৃতিক গুণাগুনে ভরপুর। নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে আপনি নিম
পাতার জুস খাবেন।
অনেকে এটি তেঁতো তাই খেতে চায় না। এক্ষেত্রে আপনাকে আমি একটি সহজ উপায় বলে
দিচ্ছি যেটির মাধ্যমে আপনি যদি নিম পাতা খান তবে তেঁতো লাগবেনা। উপায়টি হলো নিম
পাতার বড়ি তৈরি করা শিখুন। তাহলে এই বড়ি এক ঢোকে গিলে খেতে পারবেন এতে করে
নিমের যে তেঁতো স্বাদ তা আর পাবেন না। আশা করছি উপরের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে
আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url