নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা
সূচিপত্রঃ নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিন
নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা
নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। চলুন আজকের এই পর্বে নাগরিক সেবা ও ই-কমার্স কি এবং এদের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি ধরনের তা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।
নাগরিক সেবা কিঃ
যে সেবাগুলি জনগণের কল্যানে রাষ্ট্র বা সরকার কর্তৃক তার নাগরিকের উপর প্রবর্তিত হয় তাই হলো নাগরিক সেবা। এই সেবাগুলো একজন নাগরিকের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা প্রদান করে থাকে এবং একই সাথে নাগরিকের যাবতীয় অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা অর্পণের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নাগরিক সেবা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তা, পরিবহন এবং যোগাযোগ।
নাগরিক সেবার সুবিধা ও অসুবিধাঃ
নাগরিক সেবার মাধ্যমে আমরা নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি। এই সুযোগ সুবিধা
গুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রবাহিত করে। নাগরিক সেবার নানা ধরনের
সুবিধা রয়েছে কিন্তু তেমন কোন অসুবিধা নেই। চলুন তাই আজকে আমরা নাগরিক সেবার
যাবতীয় সুবিধাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসি।
সুবিধা সমূহঃ
- যেকোনো জায়গা থেকে পণ্য ক্রয় করা যায়।
- সশরীরে না গিয়েও প্রোডাক্ট নির্বাচন করে ক্রয় করা যায়।
- কম সময়ে সেবা পাওয়া যায়।
- সহজে পণ্য কেনা যায়।
- খরচ অনেকটা কমে যায়।
- খুব দ্রুত কেনা-কাটা করা যায়।
- কম খরচে আধুনিক সেবা পাওয়া যায়।
ই-কমার্স কিঃ
ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা, অর্থ লেনদেন করা এবং ডাটা
আদান-প্রদান করার মাধ্যমই হচ্ছে ই-কমার্স। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত
করার জন্য সবচাইতে সেরা মাধ্যম হচ্ছে ই-কমার্স অর্থাৎ ই-কমার্স কে কাজে লাগিয়ে
আপনি আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই পরিচালনা করতে পারবেন।
ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধাঃ
ই-কমার্স এর যেমন নানা প্রকার সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি অনেক ধরনের অসুবিধাও রয়েছে। আজকের এই পর্বে ই-কমার্সের যাবতীয় সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই।
সুবিধা সমূহঃ
- ই-কমার্স এর মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করা যায়।
- ই-কমার্স এর মাধ্যমে যেকোনো সময় একজন ক্রেতা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থেকে ক্রয় বিক্রয় পরিচালনা করতে পারে।
- ই-কমার্সের মাধ্যমে ক্রেতারা সহজেই তাদের যাবতীয় তথ্য পেয়ে থাকে।
- ই-কমার্স এর মাধ্যমে একজন ক্রেতা নতুন নতুন পণ্যের সাথে পরিচিত হতে পারে।
- ই কমার্স এর মাধ্যমে একজন ক্রেতা স্বাচ্ছন্দে যেকোনো পণ্য ক্রয় করতে পারে।
- ই-কমার্স এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পণ্য ক্রেতার নিকট পৌঁছে দিতে পারেন।
অসুবিধা সমূহঃ
- ই-কমার্স এর প্রধান সমস্যা হলো বিক্রয় কর।
- মানুষের মধ্যে এখনোও অনলাইনে কেনাকাটার প্রতি এক ধরনের ভয় কাজ করে।
- ই-কমার্সে বাড়তি খরচ বেশি হয়। কেননা একজন ক্রেতাকে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার জন্য একজন শ্রমিককে নিয়োগ দেয়া লাগে।
- ই-কমার্সের ক্ষেত্রে প্রবৃত্তিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
- ই-কমার্সের ক্ষেত্রে সিকিউরিটি ইস্যু আরেকটি বড় সমস্যা।
- ই-কমার্স এর ক্ষেত্রে সাধারণ দোকানের চেয়ে অনলাইনে কেনা-কাটার প্রতিযোগিতা বেশী হয়।
- ই-কমার্স এর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি দেখা দেয়।
নাগরিক সেবার সমস্যা ও সমাধান
নাগরিক সেবার সমস্যা ও সমাধান এই সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। চলুন আজকে আমরা নাগরিক সেবার কি কি ধরনের সমস্যা রয়েছে তা সম্পর্কে জেনে নিই। নাগরিক সেবার মাধ্যমে একজন নাগরিক সরকার বা রাষ্ট্র কর্তৃক নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে। তবে এর কিছু সমস্যা রয়েছে। যেগুলো সমাধান করা অতীব জরুরী।
নাগরিক সেবার সমস্যা এবং সমাধানের উপায়ঃ
- নাগরিক সেবার সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো সন্ত্রাস। দুষ্কৃতিকারী বা সমাজবিরোধীরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করে থাকে। এজন্য আমাদের নাগরিক হিসেবে সন্ত্রাসী তৎপরতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অবগত করতে হবে।
- নাগরিক সেবার আরেকটি সমস্যা হলো পরিবেশগত দুর্যোগ। মানুষের কর্মকাণ্ড যখন পরিবেশের স্বাভাবিক অবস্থাকে বিনষ্ট করে ফেলে তখনই পরিবেশগত দুর্যোগের দেখা মিলে। মানুষ ইচ্ছে করে গাছপালা কেটে ফেললে পরিবেশগত দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। এজন্য আমাদের নাগরিক হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। সেজন্য আমাদের অযথা গাছপালা না কাটা, পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার না করা, ড্রেনে বর্জ্য ফেলা থেকে দূরে থাকতে হবে।
- নাগরিক সেবার আরেকটি সমস্যা হলো খাদ্য নিরাপত্তা। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দায়ী কম খাদ্য উৎপাদন, জনগনের কম আয় এবং পুষ্টি জ্ঞানের অভাব। এজন্য আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য দায়িত্ব নিতে হবে। বাড়ির আশেপাশের খালি জায়গায় শস্য চাষ করে, শস্য চাহিদা মেটাতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমরা সবাই খাদ্যভ্যাস সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।
-
জনসংখ্যা অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়া নাগরিক সেবার অন্যতম সমস্যা। এজন্য
অতিরিক্ত জনসংখ্যা মোকাবেলার জন্য নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করতে হবে।
-
নিরক্ষরতা নাগরিক সমস্যার প্রধান কারণ। অনেক মানুষ আছে যারা মূর্খ হওয়ার কারণে
নাগরিক সেবার সকল তথ্য জানে না। ফলে তারা নাগরিক সেবার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভোগ করা থেকে বঞ্চিত হয়। এজন্য আমাদের নিরক্ষরতা দূর করতে নাগরিক হিসেবে
কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
৫ টি নাগরিক সেবার নাম
৫ টি নাগরিক সেবার নাম সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। চলুন আজকে আমরা এই পর্বে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবার নাম জেনে নিই। সরকার নাগরিককে অনেক ধরনের সেবাই প্রদান করে থাকে। এই সেবাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরঃ
- বিদেশি নাগরিকের বাংলাদেশ থেকে বাইরের দেশে যাওয়ার জন্য রুট পরিবর্তন অনুভূতি দিয়ে থাকে।
- হাতে লেখা পাসপোর্টও সংযোজন করে থাকে।
- মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ভিসা ইস্যু ও মেয়াদ বৃদ্ধি করে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরঃ
- কৃষি ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তা করে থাকে।
- কৃষি পণ্যের মূল্য সংযোজনে সহায়তা করে থাকে।
- কৃষিতে ভর্তুকি ও উৎপাদনে সহায়তা প্রদান করে থাকে।
ক্রিয়া পরিদপ্তরঃ
- ক্রিয়া ক্লাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আর্থিক অনুদান প্রদান করে থাকে।
- ক্রিয়া প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ক্রিয়া সামগ্রী প্রদান করে থাকে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরঃ
- জরিপ কাজ সম্পাদন করে থাকে।
- বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ও আইটেমের জন্য দর তফসিল প্রদান করে থাকে।
- সরকারি আবাসিক ভবনের বরাদ্দগ্রহীতাদের বাসা হস্তান্তরের কাজ করে থাকে।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরঃ
- সরকারের নীতিমালা ও কার্যক্রম শহরে এবং পল্লী এলাকায় জনগণের নিকট প্রচার করে থাকে।
- মাঠ পর্যায়ে জরুরী ও তাৎক্ষণিক প্রচার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
- দেশের হলগুলোতে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও সংবাদ চিত্র নিয়মিত প্রদর্শন ও আদায় করার ব্যবস্থা করে থাকে।
নাগরিক সেবা কিভাবে পাওয়া যায়
নাগরিক সেবা কিভাবে পাওয়া যায় এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। চলুন আজকের পর্বে তাই নাগরিক সেবা কিভাবে পেতে পারেন সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিই। একজন নাগরিক, সরকার বা রাষ্ট্রের কাছ থেকে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এই সেবাগুলো পাওয়ার মাধ্যমে একজন নাগরিকের যাবতীয় অধিকার নিশ্চিত হয়। এখন প্রশ্ন হলো একজন নাগরিক এই সেবা গুলো কিভাবে পাবে?
এজন্য একজন নাগরিককে প্রথমে রাষ্ট্র কি ধরনের নাগরিক সেবা দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কোথাও বিপদে পড়লে ৯৯৯ নাম্বারে কল করার মাধ্যমে বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ৩৩৩ নাম্বারে কল করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা নিশ্চিত করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার যদি নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা জানা না থাকে, তাহলে অবশ্যই এগুলো ভালোভাবে জেনে নিবেন।
ই কমার্সে ইন্টারনেটের গুরুত্ব
ই কমার্সে ইন্টারনেটের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন অনেকেই জানতে চাচ্ছেন। চলুন আজকে আমরা এই পর্বে ই-কমার্স এর ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের কেমন গুরুত্ব রয়েছে? সে সম্পর্কে জেনে নিই। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট অধিক জনপ্রিয়। ইন্টারনেট ছাড়া কোন কাজেই বর্তমান সময়ে কল্পনা করা যায় না।
নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের মাধ্যম
নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের মাধ্যম সমূহ জানতে অনেকেই আগ্রহী। চলুন আজকে এই পর্বে আমরা নাগরিক সেবার মাধ্যমসমূহ এবং ই-কমার্সের মাধ্যমসমূহ সম্পর্কে জেনে আসি।
নাগরিক সেবার মাধ্যমসমূহঃ
নাগরিক সেবার মাধ্যমে নাগরিকের যাবতীয় অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। আর এই সেবাগুলো নিজ দেশের রাষ্ট্র বা সরকার করে থাকে। চলুন আমরা আজকে নাগরিক সেবার মাধ্যমসমূহ দেখে আসি।
- কিশোর বাতায়ন
- ডিজিটাল সেন্টার
- যাবতীয় তথ্য বাতায়ন
- ই নথি
- একশপ
- এক-পে
- যাবতীয় হেল্পলাইন-৩৩৩
- মুক্তপাঠ
- শিক্ষক বাতায়ন
- মাইগভ অ্যাপস
- ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব
- আই ল্যাব
- ইনোভেশন ল্যাব
- মোবাইল অ্যাপ
ই-কমার্স এর মাধ্যম সমূহঃ
ই-কমার্স বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। মানুষ এখন আর দোকানে গিয়ে কেনাকাটা বা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার-দাবার অর্ডার করার ব্যাপারে আগ্রহী নয়। তারা এখন বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমেই খুব সহজেই কেনাকাটা করা এবং পছন্দমত খাবার দাবার অর্ডার করা এসব যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
আবার অনেকে স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের টিকিট না কেটে বাড়িতে বসেই তা কেটে নিতে পারে।
এছাড়াও অনেকে বাজারে না গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমেই কাঙ্খিত পণ্যের মূল্য পরিশোধ
করতে পারে। অনেকে আবার অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়েও ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে।
ই কমার্সের সীমাবদ্ধতা
ই কমার্সের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। চলুন আজকের এই পর্বে ই-কমার্সের যত ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সীমাবদ্ধতা জেনে আসি। ই কমার্স মূলত ইলেকট্রনিক নির্ভর প্ল্যাটফর্ম। এখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যাবতীয় কাজ হয়ে থাকে। এর অনেকগুলো সুবিধা থাকলেও বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চলুন এইসব সীমাবদ্ধতা আমরা দেখে আসি।
- ই-কমার্স এর একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো গোপনীয়তার অভাব। অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইটে এটি রক্ষা করা হয় না। যার ফলে ক্রেতার যাবতীয় তথ্যের গোপনীয়তার অভাব দেখা দেয়।
- ই-কমার্স এর আরেকটি সীমাবদ্ধতা হলো ভয়। মানুষ এই সময়ে এসেও অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ভয়ের সম্মুখীন হয়। তারা অনলাইনে কোন কিছু অর্ডার করে তা সঠিকভাবে পাবে কিনা তা নিয়ে ভয়ে থাকে।
- উচ্চ শ্রম খরচ ই-কমার্স এর ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাধা। পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য একজন শ্রমিককে নিয়োগ দেওয়া লাগে। এর ফলে তাকে উচ্চ পারিশ্রমিক দিতে হয়।
- সাংস্কৃতিক বাধাও ই-কমার্স এর সীমাবদ্ধতার পেছনে দায়ী। কেননা ই-কমার্স বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ কেনাকাটা করে। যাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য আলাদা। এক্ষেত্রে বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে সাংস্কৃতিক বাধার সৃষ্টি হয়।
- অনেক সময় নতুন গ্রাহক পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে এবং গ্রাহক ধরে রাখাও অনেক টাফ হয়ে যায়। যেটি ই-কমার্স সীমাবদ্ধতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
নাগরিক সেবা প্রাপ্তির ধাপসমূহ
নাগরিক সেবা প্রাপ্তির ধাপসমূহ জানতে অনেকেই আগ্রহী। চলুন আজকে আমরা নাগরিক সেবার যাবতীয় ধাপসমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধাপ সম্পর্কে জেনে আসি। একজন নাগরিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে যে সকল সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে তাই নাগরিক সেবা। এই সেবাগুলোর মাধ্যমে একজন নাগরিকের অধিকার পূরণ হয়ে থাকে। চলুন এবার আমরা নাগরিক সেবার ধাপসমূহ দেখে আসি।
হাসপাতাল সম্পর্কিত তথ্যঃ
একজন নাগরিক, নাগরিক সেবার মাধ্যমে হাসপাতাল সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য খুব সহজেই
পেয়ে থাকে। কোথায় কি ধরনের চিকিৎসা করা হয়? কোন কোন ডাক্তার কি কি বিষয়ের উপর
চিকিৎসা করে? এইসব যাবতীয় তথ্য একজন নাগরিক খুব সহজেই জানতে পারে।
তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত পরামর্শঃ
বর্তমান যুগ ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ। এখন সব কাজই তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভরশীল। একজন নাগরিক, নাগরিক সেবার মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে সক্ষম হয়। আর এর ফলে নিজেকে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
পরিবহন সম্পর্কিত তথ্যঃ
নাগরিক সেবার মাধ্যমে একজন নাগরিক কোন পরিবহন কোথায় যায়? কয়টার সময় যায়? এই সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারে। আবার কোন পরিবহনে ভাড়া কত? তাও জানতে সক্ষম হয়।
ব্যাংক ও বীমা সম্পর্কিত তথ্যঃ
নাগরিক সেবার মাধ্যমে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য জানা সম্ভব হয়। নাগরিক সেবার
মাধ্যমে একজন নাগরিক ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম, কিভাবে টাকা উত্তোলন করতে হয়?
কিভাবে টাকা ঋণ নেওয়া যায়? তা ঘরে বসেই খুব সহজে জানতে পারে।
পূণ্য সরবরাহ ও বাজারজাতকরণঃ
নাগরিক সেবার মাধ্যমে একজন নাগরিক কিভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হয় এবং কোথায় এর
ভালো বাজারজাতকরণ করা হয়? তা সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়। সঠিকভাবে পণ্য সরবরাহ ও
বাজারজাতকরণ করতে পারলে মুনাফা দ্বিগুণ ইনকাম করা যায়।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url