ধুন্দল এর ৮টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
ধুন্দল এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানা জরুরী। কেননা এই সবজিটি খাওয়ার
মাধ্যমে শরীরের নানান ধরনের সমস্যা দূর হয়। এজন্য আপনাদের ধুন্দলের স্বাস্থ্য
গুণ সম্পর্কে অবগত হওয়া অনেক বেশি দরকার বলে আমি মনে করি।
ধুন্দল এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখা গুলো খুব যত্ন সহকারে
পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই আপনি ধুন্দলের স্বাস্থ্য গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত
ধারণা পেয়ে যাবেন এবং নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ ধুন্দলের যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন
ধুন্দল এর উপকারিতা জানুন
ধুন্দল এর উপকারিতা এই সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে ধুন্দলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো। চলুন জেনে আসি। ধুন্দল একটি সবজির নাম। এটি বর্তমানে সারা বছরই পাওয়া যায়। এই সবজিটি নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। আজকে আমরা ধুন্দল এর ৮টি উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নিই।
- ধুন্দলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যার কারণে এটি পেটের নানা রকম সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে।
- ধুন্দলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যাটিন রয়েছে। যেগুলো দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।
- ধুন্দল হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করতে ভূমিকা পালন করে। কেননা এতে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক দুটি ক্যারোটিনয়েড।
- ধুন্দলে প্রচুর পরিমাণে তরল থাকায় এটি শরীরের অতিরিক্ত তাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- ধুন্দল এর বীজে এনজাইম থাকার কারণে এটি চুলের ফলিকন গুলোকে উদ্দীপিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ধুন্দুলে অতিরিক্ত পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে এটি রক্তস্বল্পতা এবং আয়রনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে থাকে।
- নিয়মিত ধুন্দল খাওয়ার ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য এটি ভূমিকা রাখে।
- ধুন্দলে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন থাকার কারণে এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে।
ধুন্দলের পুষ্টি উপাদান
ধুন্দলের পুষ্টি উপাদান এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। আজকে আমরা
ধুন্দলের যাবতীয় পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নিবো। ধুন্দল নানা রকম পুষ্টিগুনে
ভরপুর। এসব পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে। এই সবজিটি কম ক্যালোরি সম্পূর্ণ সবজি। এতে ফাইবার, ভিটামিন সি,
পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। ১০০ গ্রাম কাঁচা ধুন্দলে যেসকল পুষ্টি
উপাদান রয়েছে চলুন তা দেখে আসি।
প্রোটিন রয়েছে ০.৭ গ্রাম, ফাইবার রয়েছে ১.২ গ্রাম, ভিটামিন সি রয়েছে ২১
মিলিগ্রাম, ভিটামিন কে রয়েছে ৫ মাইক্রগ্রাম, ক্যালসিয়াম রয়েছে ১৯
মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ১৫ মিলিগ্রাম এবং পটাশিয়াম রয়েছে ৯০
মিলিগ্রাম।
ধুন্দল দিয়ে চিংড়ি রেসিপি
ধুন্দল দিয়ে চিংড়ি রেসিপি এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আসলে ধুন্দল এবং
চিংড়ি একসঙ্গে যদি রান্না করা যায় তবে তা যে এতটা মজাদার হয় তা বলার কোন ভাষা
রাখে না। আপনি চাইলে খুব সহজেই বাসায় বসে ধুন্দল দিয়ে চিংড়ি রান্না করতে
পারবেন। এখন প্রশ্ন হল কিভাবে রান্না করবেন চলুন জেনে আসি।
মজাদার ধুন্দল চিংড়ি রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে পেঁয়াজ, মরিচ কুচি করে নিতে
হবে। চিংড়ি মাছগুলোকে খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর আপনাকে ধনিয়া পাতা
কুচি করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে ধুন্দনগুলোকে ছোট ছোট করে কেটে
পরিষ্কার পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতে হবে।
এরপর একটি প্যান নিন। সেখানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কাঁচামরিচ ভেজে নিন। এরপর আপনাকে
যেটা করতে হবে প্রয়োজনমতো লবণ, হলুদ, মরিচের গুঁড়া ধনিয়ার গুঁড়া এবং সামান্য
পরিমাণ পানি দিয়ে তা কোষিয়ে নিতে হবে। চাইলে আপনি কিছুটা জিরা গুড়াও ব্যবহার
করতে পারেন।
ভালোভাবে সবকিছু কোষানো হয়ে গেলে চিংড়ি ও ধুন্দল দিয়ে দিতে হবে। এরপর যখন
দেখবেন ঝোল কমে আসছে। তখন ধনিয়া পাতার কুচি দিয়ে দিন। আর এভাবে খুব সহজেই আপনি
ধুন্দল দিয়ে চিংড়ি রেসিপি তৈরি করতে পারবেন।
ধুন্দল কিভাবে নির্বাচন এবং সংরক্ষণ করা যায়
ধুন্দল কিভাবে নির্বাচন এবং সংরক্ষণ করা যায় এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে
থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা ধুন্দল কিভাবে নির্বাচন করা যায় এবং এটি কিভাবে
সংরক্ষণও করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নিবো। ধুন্দলের সবগুলো ধরণ খাবার উপযুক্ত হয়
না। সেই জন্য কোন ধুন্দলটা খাওয়ার উপযোগী তা আগেই আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।
এজন্য আপনি যেটা করবেন দৃঢ়, কচি ধুন্দলগুলো নির্বাচন করবেন। এই ধুন্দলগুলো রান্না
করার জন্য পারফেক্ট। এই ধুন্দলগুলোকে রান্না করে খেতে বেশ মজাদার হয়ে
থাকে। এ ধরনের ধুন্দলগুলো সাধারণত ছয় থেকে আট ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে।
যেসব ধুন্দলগুলো পরিপক্ক সেই সকল ধুন্দলগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা
করবেন। কেননা এ সকল ধুন্দলগুলো যদি আপনি রান্নার জন্য নির্বাচন করেন। তবে
এগুলোর গঠন অনেক শক্ত হতে পারে এবং এগুলোতে বিজও থাকতে পারে। আপনি
ধুন্দলগুলো বাজার থেকে কিনে এনে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে খেতে
পারবেন।এভাবে আপনি রান্না করার জন্য ধুন্দলগুলো নির্বাচন করবেন
এবং সংরক্ষণ করবেন।
ধুন্দল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন
ধুন্দল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। আজকের এই পর্বে ধুন্দল চাষ
করা যায় কিভাবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো? ধুন্দল কখন চাষ করতে হয়?
নিশ্চয়ই এখন এমন ধরনের প্রশ্ন আপনাদের মনে আসছে। ধুন্দল বর্ষা মৌসুমে চাষ করা
হয়। ধুন্দল এর চারা লাগানোর কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ধুন্দল সংগ্রহ করা
যায়। ধুন্দল চাষ করার জন্য উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে।
সেই সাথে নজর রাখতে হবে যাতে জমিতে পানি জমে না থাকে। এমন জমি নির্বাচন করতে হবে
যাতে কোন গাছের ছায়া না থাকে। ধুন্দল এরকিছু জাত রয়েছে সেগুলো বারোমাসি চাষ করা
যায়। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস ধুন্দল চাষ করার জন্য উপযুক্ত সময়।
ধুন্দল বপন করার আগে দেড় থেকে দুই দিন ধুন্দলের বীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে।
ধুন্দল গাছে যে সকল স্যার দেওয়া লাগে তা হলো পচা গোবর ১০ কেজি, টিএসপি ১০০
গ্রাম, ইউরিয়া ৫০ গ্রাম, এমওপি পটাস ৫০ গ্রাম এবং জিপসাম ৩০ গ্রাম দেওয়া লাগবে।
ধুন্দল চাষের সময় ধুন্দল গাছে অনেক ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এ সময় ছাই ছিটিয়ে
অথবা মশারির জাল দিয়ে বীজের চ্যারাকে সংরক্ষণ করা যায়।
আপনি শরৎকাল পর্যন্ত ধুন্দল সবজি তুলতে পারবেন। এটি খাওয়ার জন্য কচি থাকা
অবস্থায় সবুজ রঙের ধুন্দল তুলতে হবে। ধুন্দল এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে
উপরের আলোচনাটি পড়ে নিতে পারেন।
ধুন্দলের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন
ধুন্দলের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। আজকে আমরা ধুন্দলের ব্যবহার
সম্পর্কে জেনে নিবো। ধুন্দল একটি সবজির নাম। এটি বর্তমানে সব জায়গাতেই কমবেশি
পাওয়া যায়। এটিকে মূলত সবজি হিসেবেই খাওয়া যায়। আমরা এর সবজি প্রায় সবাই
কমবেশি খেয়েছি। এছাড়াও ধুন্দল যখন অনেক বুড়ো হয়ে যাই তখন এটির খোসা আমাদের
শরীর ঘষার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আবার আপনি যদি ধুন্দলের ছোবড়া ব্যবহার করে গোসল করেন তবে তা সুন্নত হবে। অনেকেই
এটা জানতেন না। এজন্য এই সুন্নতটি আদায়ের জন্য এটি ব্যবহার করে গোসল করা উচিত।
এই ছোবড়াটা গোসলের সময় ব্যবহার করলে রক্ত চলাচল ঠিক রাখে। আবার
এটিকে ড্রাই ব্রাশিংও বলে থাকে। এটি ব্যবহারের ফলে শরীর থেকে টক্সিন ও পানি বের
হয়ে যায় । যার কারণে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।
এজন্য আপনি এই ধুন্দলের ছোবড়া সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করে গোসল করতে
পারেন। উপরের আলোচনায় ধুন্দল এর উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এছাড়া আরও
জানানো হয়েছে ধুন্দলের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কেও। এগুলো সম্পর্কে জানতে হলে
উপরের আলোচনাটি পড়তে পারেন।
ওজন কমাতে ধুন্দলের কার্যকারিতা
ওজন কমাতে ধুন্দলের কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। আজকের এই পর্বে
ধুন্দল ওজন কমাতে কতটুকু ভূমিকা রাখে সেই সম্পর্কে জেনে নিবো? ধুন্দল সবজিটি
বর্তমানে প্রায় সব জায়গাতেই কম বেশি পাওয়া যায়। এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি
বার্ধক্য দূর করতেও ভূমিকা পালন করে থাকে। এই সবজিটিতে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান
রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন বি, ফোলেট, বিবোফ্লাভিন ইত্যাদি। এই উপাদান
গুলোর ফলে শক্তি ও মেজাজ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যারা শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে
চিন্তিত থাকেন? তারা খাদ্য তালিকায় ধুন্দল যোগ করতে পারেন। এটিতে ক্যালোরির
পরিমাণ খুবই কম থাকে। আর এতে ফাইবার এবং পানি থাকার কারণে এটি শরীরের বাড়তি ওজন
কমাতে সহায়তা করে থাকে। এটি ওজন কমানোর পেছনের যে কারণটা কাজ করে থাকে চলুন তা
জেনে নিই।
আপনি যদি আপনার খাবার তালিকায় ধুন্দল রাখতে পারেন তবে এতে ফাইবার ও পানি থাকার
কারণে হজম শক্তি উন্নত হবে। আর এটি ধীরগতির কার্বোহাইডেট নিঃসরণ করে থাকে বলে পেট
অনেকক্ষণ ভরা থাকে। এটি যদি নিয়মিত আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। তবে
অল্প সময়ের ভিতর আপনার ওজন কমে আসবে।
গরম ভাতের সাথে ধুন্দল ভর্তা
গরম ভাতের সাথে ধুন্দল ভর্তা এই সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করে থাকে। চলুন আজকের এ
পর্বে কিভাবে ধুন্দলের ভর্তা তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে জেনে আসি? প্রথমে আপনি
ধুন্দল কেটে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন। পাতলা পাতলা করে কেটে নিবেন। এরপর একটি
প্যানে চাকা চাকা করে কেটে নেওয়া ধুন্দলগুলো দিয়ে তার উপর নুন ছিটিয়ে সেদ্ধ
করতে দিয়ে দিন।
পানি দেওয়ার দরকার নেই। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা উঠিয়ে দিন। এরপর প্যানে থাকা
মিশ্রণটির সাথে এক চামচ পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে দিন। এরপর কিছুক্ষন ভাজতে থাকুন।
যখন দেখবেন আঠা আঠা হয়ে এসেছে তখন নামিয়ে নিবেন। এরপর খালি প্যানে রসুন কিছু
নিয়ে তার সাথে সরিষার তেল দিয়ে দুই মিনিট মতো ভেজে নিন। এর সাথে এবার
পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিন।
এরপর ভেজে নেওয়ার পর যখন দেখবেন বাদামি রং ধারণ করেছে। তখন নামিয়ে নিন। এবার
ধুন্দলের ভর্তার সাথে পেঁয়াজ রসুনের মিশ্রণ, প্রয়োজনমতো লবণ, তেল এবং ধনিয়া
পাতা দিয়ে সবগুলো উপকরণকে একসঙ্গে মিশ্রিত করলেই ধুন্দুল ভর্তা হয়ে যাবে। এভাবে
আপনি গরম ভাত দিয়ে ধুন্দলের ভর্তা খেতে পারবেন। সেই সাথে ধুন্দল এর উপকারিতা
সম্পর্কেও জেনে নিতে পারেন।
ধুন্দল পাতা কি খাওয়া যায়
ধুন্দল পাতা কি খাওয়া যায় এই সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। আজকের এই পর্বে
আমরা ধুন্দলপাতা আজও কি খাওয়া যায় না যায় না। চলুন তা জেনে আসি। আপনারা জানলে
অবাক হবেন সবুজ রঙের যে ধুন্দল সবজিটি রয়েছে সেটির ফল, কচিপাতা ও ফুলের মুকুল
আপনি ইচ্ছে করলে সবজি করে খেতে পারবেন।
আমাদের গ্রামের মা বোনেরা আমরা ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি যে তারা ধুন্দুল পাতা গাছ
থেকে তুলে সেগুলোকে সজনে পাতার সাথে মিস করে রান্না করে থাকে। সজনেপাতা ও
ধুন্দলের কচি পাতার মিশ্রণে যে শাকটি হয় সেটি খেতে অনেক মজাদার হয়ে থাকে।
এই শাকটি অনেক স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে থাকে। আপনি চাইলেও ধুন্দুল পাতা দিয়ে
তৈরি এই শাকটি রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে ধুন্দল
এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসতে পারেন। উপরের আলোচনায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত
ভাবে জানানো হয়েছে।
লেখকের শেষ কথা
উপরের আলোচনা থেকে ধুন্দল এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি। আমরা
আরো জেনেছি ধুন্দলের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কেও। ধুন্দল একটি সবজির নাম। এটি
বর্তমানে প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। এটির স্বাস্থ্য গুনাগুন অসাধারণ। এই
সবজিটি আমাদের শরীরের নানা অংশের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
এই সবজিটির ছোবড়া আমরা গোসল করার সময় খোসা হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। আমরা যদি
এই ছোবড়াটা গোসলের সময় ব্যবহার করি তবে একটি সুন্নত মানা হবে। আমরা
চেষ্টা করব যখন গোসল করব তখন এই ছোবড়াটা দিয়ে শরীরকে ঘষা দিয়ে শরীরের
ময়লাগুলো দূর করার জন্য। উপরের আলোচনাতে ধুন্দুলের যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি উপরের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা
উপকৃত হতে পারবেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url