তিসির উপকারিতা ও অপকারিতার ১১টি কার্যকারী উপায় জানুন

তিসির উপকারিতা ও অপকারিতার ১১টি কার্যকারী উপায় জানুন। তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা জানা থাকলে দেহকে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে খুব সহজেই রক্ষা করতে পারা যায়। তিসির বীজের অনেক ধরনের কার্যকারিতা রয়েছে।

তিসির-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখা গুলি খুব যত্ন সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি তিসির উপকারিতা ও অপকারিতার যথাযথ কারণ সম্পর্কে খুব সহজেই অবগত হতে পারবেন। চলুন কারণগুলো জানি।

সূচিপত্রঃ তিসির যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা থাকলে বিভিন্ন রোগ থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি। চলুন আজ আমরা তিসির উপকারিতা ও অপকারিতার ১১টি কার্যকরী উপায় জেনে নিই।

তিসির উপকারিতা জানুন

  • ফ্ল্যাক্স সিডস এর বাংলা হলো তিসি। মানসিক ক্লান্তি দূর করার জন্য তিসির বীজ অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত আপনি যদি তিসির বীজ খান তবে আপনার ত্বক ভালো থাকবে এবং শরীরে যেকোনো ধরনের আঘাত থাকলে তাও খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
  • আপনি যদি নিয়ম মেনে প্রতিদিন তিসির বীজ খান, তবে আপনার শরীরের এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল খুব সহজেই ধীরে ধীরে কমে যাবে এবং ভালো এলডিএল বা কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেড়ে যাবে।
  • নিয়মিত তিসির বীজ খাওয়ার ফলে ভয়াবহ রোগ ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবেন। ক্যান্সার হলো এমন একটি রোগ যার এখন পর্যন্ত কোন সমাধান বের হয়নি। এটি যদি কারো হয় তাহলে তার মৃত্যু অনিবার্য। তাই এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য আপনারা নিয়মিত তিসির বীজ সেবন করতে পারেন।
  • যাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো নেই তারা নিয়মিত তিসির বীজ সেবন করতে পারেন। তিসির বীজ হাইপারটেনশন কমিয়ে দিয়ে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কাজ করে।
  • তিসির বীজ নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। তাই আপনি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত তিসির বীজ খেতে পারেন। এটি আপনার জন্য অনেক উপকারী হবে।
  • তিসির বীজ নিয়মিত খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কেননা ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস হওয়ায় এটি আমাদের পেটের দূষিত উপাদান দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও তিসির বীজের ফাইবার অন্ত্রের ভিতরের জ্বলীয় পানি শোষণ করার ক্ষমতাও রাখে। এর ফলে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • যাদের ডায়াবেটিকস এর সমস্যা রয়েছে তারা তিসির বীজ সেবন করতে পারেন। কেননা এটি খাওয়ার ফলে অন্ত্রে সচল গতি আসে এবং হজমে কোন প্রকার সমস্যা হয় না।
  • যারা দেহের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা নিয়মিত তিসির বীজ সেবন করতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে খুব সহজেই কমে আসবে শরীরের বাড়তি মেদ।
  • নিয়মিত তিসির বীজ খাওয়ার ফলে কিডনি ভালো থাকে। তাই আপনি আপনার কিডনি ভালো রাখতে তিসির বীজ নিয়মিত খেতে পারেন।
  • ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে তিসির বীজের জুড়ি মেলা ভাব। নিয়মিত তিসির বীজ খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ হয়। কেননা তিসির বীজে থাকা প্রোটিন, ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা প্রদান করে থাকে।
  • নিয়মিত তিসির বীজ খাওয়ার ফলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কেননা তিসির বীজে রয়েছে B6 এবং ফাইবার। এটি হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।

তিসির অপকারিতা জানুন

  • তিসির বীজ পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। কেননা এটি বেশি মাত্রায় খেলে কারো ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
  • পরিমাণ মতো তিসির বীজ না খাওয়ার ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে হরমোনজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই পরিমাণ মতো তিসির বীজ সেবন করার চেষ্টা করতে হবে।
  • তিসির বীজ খাওয়ার ফলে আবার অনেকে ডায়রিয়ার সমস্যায় পরতে পারে। তাই তাদের তিসির বীজ না খাওয়াই ভালো হবে।
  • তিসির বীজ খাওয়ার সময় যতটুকু প্রয়োজন পানি খেতে হবে। কেননা প্রয়োজন মতো পানি না খাওয়ার ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হতে পারে। তাই তিসির বীজ খাওয়ার সময় অতিরিক্ত পানি খাওয়া যাবে না।
  • পরিমাণ মতো তিসির বীজ না খাওয়ার ফলে পেট খারাপ হতে পারে। তাই সারাদিনে ২-৩ চামচের বেশি তিসির বীজ না খাওয়াই উত্তম হবে।
  • পরিমাণ মতো তিসির বীজ খেতে হবে। কেননা পরিমাণের বেশি খাওয়ার ফলে মাথা ঘুরার সমস্যা হতে পারে।
  • পরিমাণ মতো তিসির বীজ না খাওয়ার ফলে বারে বারে বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরিমাণ মতো তিসির বীজ খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের তিসির বীজ খাওয়া উচিত নয়। কেননা এটি খাওয়ার ফলে মা ও বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • তিসির বীজ খাওয়ার ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা যায়। তাই তাদের তিসির বীজ না খাওয়ায় উত্তম হবে।
  • পরিমাণ মতো তিসির বীজ খেতে হবে। কেননা বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। তাই এটি পরিমাণের বেশি খাওয়া উচিত নয়।
  • পরিমাণ মতো  তিসির বীজ না খাওয়ার ফলে দেহের কোন কোন অংশ লাল হয়ে ফুলে যায় বা চুলকানোর মতো সমস্যা হতে দেখা যায়।

ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের অনেকেই জানতে চায়। চলুন এই সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে আসি। আমরা জানি তিসির বীজ প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। এই প্রোটিন শরীরের কোষ মেরামত এবং পেশী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তিসির বীজে মুচিলেজ নামক ফাইবারে ভরপুর রয়েছে। আর আপনারা ভালোভাবে জানেন যে ওজন কমানোর জন্য ফাইবার জাতীয় খাবার গুলোই বেশি কাজে লাগে।

আপনি যদি এক  চামচ তিসি গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে পান করেন। তবে আপনার দ্রুত ওজন কমে যাবে। এছাড়াও আপনি যদি তিসি শুকনো করে ভেজে নেন বা তিসির পাউডার ব্যবহার করেন তাহলেও খুব সহজে ওজন কমাতে পারবেন। তিসির বীজে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। যেটি ওজোন কমাতে সহায়তা করে থাকে। প্রতিদিন ফাইবার খেলে আপনার শরীরের ওজন কমে যাবে। আর তিসির মধ্যেই সেই কাঙ্খিত ফাইবার লুকায়িত রয়েছে।

চুলের জন্য তিসির উপকারিতা জেনে নিন

চুলের জন্য তিসির উপকারিতা অনস্বীকার্য। অনেক মানুষই আছে যারা চুলের জন্য তিসির উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাই। চলুন আজ এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি। চুলের সমস্যার জন্য তিসির বীজ অত্যন্ত কার্যকরী। তিসি হচ্ছে অত্যন্ত পুষ্টিগুনে ভরপুর। যার ফলে এটি চুলের যত্নে ভালোভাবে কাজ করে। তিসির বীজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবার। যেটি চুলকে সুস্থ এবং মজবুত করার জন্য কাজ করে থাকে।

চুলের ফলিকলকে পুষ্ট এবং মসৃণ করতে কাজ করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত তিসির বীজ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল লম্বা হবে। আপনি আপনার চুলের যত্নের জন্য তিসির বীজের জেল তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও তিসির বীজে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি আপনার চুলকে পুষ্টি যোগাতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। তিসির বীজ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে তিসির বীজ ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করার জন্য কাজ করে থাকে।

এছাড়াও তিসির বীজ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করার কারণে চুলের খুশকি খুব সহজে দূর হয়ে যায়। এভাবে তিসির বীজ আপনার চুলের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই নিয়মিত তিসির বীজ ব্যবহার করতে পারেন।

তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন

তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন। আপনারা এর আগে তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে এসেছেন। তাই এখন সবার জানার আগ্রহ তিসি কিভাবে খেতে হয়? চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আসি।

তিসি-খাওয়ার-নিয়ম
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক চামচ পরিমাণ তিসির বীজের গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে আপনি পান করতে পারেন। 
  • আপনি চাইলে টক দই এর সাথে তিসির বীজের গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে ময়দা জাতীয় ক্ষতিকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
  • আপনি যদি দুধের সাথে তিসির বীজের গুড়া মিশিয়ে খান তবে পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • তিসির বীজের গুড়া আপনি বিভিন্ন খাবারের সাথে মিস করে খেতে পারেন। যেমন ধরেন আপনি চাইলে সালাতের সাথে মিস করে তিসির বীজের গুড়া খেতে পারেন।
  • মায়োনিজের সাথে তিসির বীজের গুড়া মিস করে যত ধরনের স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার রয়েছে সেগুলোর সাথে খেতে পারেন। 

গর্ভাবস্থায় তিসি খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় তিসি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের প্রায় সবারই জানার খুব আগ্রহ। চলুন আজ আমরা সেই সম্পর্কে আলোচনা করি। গর্ভাবস্থায় শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ফলে একটি শিশুর সঠিক বিকাশ সাধন হয়ে থাকে। এখন আপনি কি গর্ভাবস্থায় তিসি খেতে পারেন? এরকম প্রশ্ন আসলে আমি বলব অবশ্যই নাহ! কেননা গর্ভাবস্থায় তিসি খাওয়া নিরাপদ হবে না।

কেননা আপনি যদি গর্ভাবস্থায় তিসি খান, তবে এটি আপনার রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে। যা মোটেও শিশুর জন্য কল্যাণকর হবে না। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণ তিসি খাওয়ার ফলে বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য বিপদ ডেকে আন। তবে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পেট ফাঁপা বা পেটে গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাই পরতে দেখা যায়। 

এই সমস্যা থেকে মুক্তি লাভের জন্য তখন তিসি খাওয়া যেতে পারে। তাই আমি বলতে পারি যে একজন মায়ের জন্য গর্ভাবস্থায় তিসি না খাওয়াই বেশি ভালো হবে। 

তিসি গুড়া করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন

তিসি গুড়া করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। চলুন আজ এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি। তিসির যে বীজ আছে সেটিকে আপনি যে কোন মাধ্যমে গুড়া করে নিতে পারেন। এর জন্য ধরা বাধা কোনো নিয়ম নেই। তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা যেহেতু আমরা জেনেছি। তাই এখন তিসি গুড়া করে খাওয়ার উপায় গুলো জেনে আসি। তিসির গুড়া আপনি ঘুমানোর আগে এবং সকালের নাস্তার পূর্বে খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ বিটের ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

এতে কার্যকরী উপকারিতা পাবেন। দেহে ভিটামিন এ তৈরিতে তিসির ফ্যাটি অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। এজন্য আপনি নিয়মিত দুই গ্লাস পানিতে তিন চামচ তিসির গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে আপনি সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

তিসি আর তিল কি এক জানুন

তিসি আর তিল কি এক এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। চলুন আজকে তিসি আর তিল এক কিনা সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আসি। তিসি আর তিল এক নয়। কেননা তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং নানা রকমের পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে তিসিতে রয়েছে অক্সিডেন্ট। তিল ডায়াবেটিকসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। অন্যদিকে তিসি ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে।

এছাড়াও তিলের ভিজে ৫৪% আলফা-লিনোলেনিক এসিড রয়েছে। অন্যদিকে তিলের বীজে মাত্র ০.৬% আলফা-লিনোলেনিক এসিড রয়েছে। আমরা বলতে পারি যে তিসি আর তিল এক নয়। দুইটির মধ্যে রয়েছে অনেক পার্থক্য। এছাড়াওতিসি আর তিল দুইটিই আমাদের জন্য অনেক উপকারী। তাই তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তিলের উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের জন্য জানা জরুরী।

তিসির তেলের উপকারিতা জেনে নিন

তিসির তেলের উপকারিতা জানা থাকলে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবো। চলুন আজ আমরা সেই সম্পর্কে জেনে আসি। স্বাস্থ্যরক্ষায় তিসির তেলের কোন বিকল্প নেই। কেননা তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা ইতিমধ্যেই আমরা জেনে এসেছি। সেই সাথে তিসির তেলেও রয়েছে কার্যকরী কিছু উপকারিতা। আপনি যদি তিসির তেল ব্যবহার করেন তবে।

তিসির-তেলের-উপকারিতা

এটি আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা প্রদান করবে। আপনি আপনার মাথার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করার জন্য তিসির তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে এটি অনেক কার্যকরী হবে। শুষ্ক ত্বক ঠিক করার জন্য আপনি তিসির তেল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এতে ডিটক্সিফাইং উপাদান থাকার কারণে এটি ত্বককে সফট করে তুলতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। এছাড়া উকুন দূর করতেও তিসির তেল ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে অকালে চুল পেকে যাওয়া বা মাত্রাতিরিক্ত খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য তিসির তেল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এই ক্ষেত্রে তিসির তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি আপনার স্বাস্থ্যরক্ষায় তিসির তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি ব্যবহার করার ফলে আপনার স্বাস্থ্যের যাবতীয় সমস্যা সহজেই দূর হয়ে যায়।

তিসি দিয়ে রূপচর্চা করুন

তিসি দিয়ে রূপচর্চা করা যায় কি? এ ধরনের প্রশ্ন প্রায় কম বেশি শোনা যায়। চলুন আজ আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আসি। অনেক মেয়েই আছে যারা তাদের রূপচর্চার জন্য ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়। কেননা বর্তমান সময়ে রূপচর্চার জন্য বাজারে যেসব উপকরণ পাওয়া যায় সেগুলোর দাম মাত্রাতিরিক্ত। এই ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে তিসির বীজ রূপচর্চার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে।

তিসির বীজে রয়েছে আলফা-লিনোলিক এসিড। যেটি ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য কাজ করে থাকে। এছাড়াও তিসির বীজে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম। যেগুলো ত্বককে ভালো রাখার জন্য ভূমিকা রাখে। ত্বকের জেল্লা বাড়ানোর জন্য তিসির বীজ কাজ করে থাকে। কেননা এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যেগুলো ত্বকের দাগছাপ দূর করতে সহায়তা প্রদান করে থাকে।
আর এর ফলেই ত্বকের জেল্লা বাড়ে বহুগুনে। যাদের বয়স বাড়ার আগেই চেহারায় বাধ্যকের ছাপ চলে আসে। তারা তিসির তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। এছাড়াও  তিসির তেল ব্যবহার করার ফলে শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বক দূর হয়ে মসৃণ, উজ্জ্বল এবং কোমল ত্বক পাওয়া যায়। তাই আপনি ঘরোয়া উপায়ে  তিসির তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার রূপচর্চার জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

লেখকের শেষ কথা

তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের জানা খুবই জরুরী। কেননা আমরা এগুলো জানার মাধ্যমে আমাদের দেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত করতে পারব। এছাড়াও আমরা যদি ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানি। তবে আমাদের শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে পারবো খুব সহজেই। উপরের আলোচনায় এই সব কিছু বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে।

দৈনন্দিন জীবনে তিসির এইসব গুণাবলী কে কাজে লাগাতে পারলে আমরা উপকৃত হতে পারবো। পরিশেষে বলতে পারি যে দেহকে সুস্থ রাখতে তিসির এসব গুণাবলী জানা জরুরী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url