কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে আকর্ষণীয় ১১টি স্থানের নাম জানুন

কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে ১১টি মনমুগ্ধকর দর্শনীয় স্থান জেনে নিন। তাহলে আপনি যখন কুয়াকাটা ভ্রমণ করতে যাবেন তখন এই দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে আসতে পারবেন। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।

কুয়াকাটা-দর্শনীয়-স্থান-সমূহ
কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলি খুব যত্ন সহকারে পড়তে হবে। তাহলেই মূলত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচাইতে আকর্ষণীয় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বিস্তারিতভাবে জেনে নিন

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। চলুন আজকে আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিই। অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানায় অবস্থিত। প্রতিবছর হাজারো পর্যটকের সমাগমে মুখরিত থাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা নামে পরিচিতি পেয়েছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৩ কিলোমিটার। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের সবচাইতে আকর্ষণীয় দিক হলো এই সৈকত থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ঢাকা থেকে দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অন্যরকম সংমিশ্রণ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। আপনি চাইলে ঢাকা থেকে সরাসরি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত যেতে পারেন। এই রুটে প্রতিদিনই বাস চলাচল করে থাকে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা। তাই আপনি বাইরের এই মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে পৌঁছে যেতে পারেন বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সবচাইতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নৈসর্যভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।

কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ

কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ জানতে অনেকেই আগ্রহী। চলুন আজকে আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কুয়াকাটার আরো ১১টি দর্শনীয় স্থানসমূহ জেনে নিইঃ

  1. কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানঃ এটি কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে এই উদ্যানটি দেখতে পাওয়া যাবে। যারা প্রকৃতি ভালোবাসেন তারা চাইলে এই উদ্যানটি ঘুরে আসতে পারেন। নৌকা অথবা পায়ে হেঁটেই কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ঘুরে আসতে পারবেন।
  2. রাখাইন পল্লীঃ এখানে আপনি রাখাইন সম্প্রদায়ের জীবনধারা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারবেন। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে কিছু কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।
  3. গঙ্গামতির জঙ্গলঃ এটির অবস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে পূর্ব দিকে। সেখানে গঙ্গামতির খাল রয়েছে এবং এই খালের পাশেই গঙ্গামতির জঙ্গল অবস্থিত।
  4. সীমা বদ্ধ বিহারঃ এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন প্রায় ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি বুদ্ধের মূর্তি। যেটি ধ্যানমগ্ন অবস্থায় রয়েছে।
  5. শুঁটকি পল্লীঃ এখানে মূলত সমুদ্র সৈকত থেকে মাছ ধরে শুটকি তৈরি করা হয়। এই পল্লীর অবস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে পশ্চিম প্রান্তে। মার্চ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত শুটকি তৈরীর কাজ হয়ে থাকে।
  6. ফাতরার বনঃ এটি মূলত দ্বিতীয় সুন্দরবন নামে পরিচিত। এটির অবস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে পশ্চিম দিকে অর্থাৎ পশ্চিম দিকে একটি নদী রয়েছে সেই নদীর অন্য পাড় থেকে ফাতরার বন শুরু হয়েছে। এখানে গেলে আপনি অসংখ্য প্রজাতির প্রাণী দেখতে পাবেন। ইঞ্জিন নৌকার মাধ্যমে খুব সহজে আপনি এই বন যেতে পারবেন। এই বনটি খোলা থাকে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে।
  7. কেরানিপাড়াঃ এটি মূলত রাখাইনদের আবাসস্থল। এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে সীমা বদ্ধ মন্দিরের রাস্তা ধরে একটু সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আপনি এই পাড়াটি দেখতে পাবেন। এখানে রাখাইন মেয়েরা কাপড় তৈরি করে থাকে এবং এই কাপড় তৈরিতে তারা বেশ দক্ষ। তাদের তৈরি শীতের চাদর অনেক আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
  8. চর বিজয় সৈকতঃ চরটি বিজয়ের মাসে আবিষ্কৃত হয়েছিল যার কারণে এই চরটির নাম রাখা হয়েছে চর বিজয় সৈকত। এই চরটি মূলত আপনি শীত মৌসুমে দেখতে পাবেন। এই চরটি পুরোটা ঘিরে লাল পিঁপড়া বাসা করে রয়েছে। এই চরটিতে যাওয়ার জন্য আপনি চাইলে টুরিস্ট বোট অথবা ট্রলার ভাড়া করে যেতে পারেন।
  9. জাহাজমারা সৈকতঃ এখানে গেলে আপনি তরমুজের বিস্তীর্ণ মাঠ দেখতে পাবেন। এছাড়াও এই সৈকতের প্রধান আকর্ষণীয় দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এখানকার সূর্যাস্ত দেখার সুবিধা। ধারণা করা হয় অনেক বছর আগে একটি জাহাজ এই সৈকতে আটকা পড়ে এবং একসময় এ জাহাজটি বালুতে তলিয়ে যায়। সেই থেকে এখানকার স্থানীয় মানুষরা এই সৈকটটির নাম দেয় জাহাজমারা সৈকত।
  10. চর হেয়ার সৈকতঃ এই চরটি মূলত কলাগাছিয়ার চর হিসেবে পরিচিত। এর ভিতর রয়েছে অসংখ্য পাখি। যার কিচিরমিচির আপনাকে মুগ্ধ করবে এবং সেই সাথে এর ভিতরটা ঝরা পাতা দিয়ে সাজানো গোছানো হয়েছে। এই সৈকতে গিয়ে আপনি খুব ভালোভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবেন।
  11. নিদ্রা সৈকতঃ এই সৈকতের এক দিকে রয়েছে সাগর এবং অন্য প্রান্তে রয়েছে নদী। এখানে গেলে আপনি দৃষ্টিনন্দন জোয়ার ভাটা উপভোগ করতে পারবেন। এটির অবস্থান মূলত বরগুনা জেলার তালতলীতে। এখানে যেতে চাইলে আপনাকে ফাতরার চর থেকে বোট নিয়ে সরাসরি এই চরে চলে যেতে পারবেন।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হোটেল ভাড়া ২০২৪ 

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হোটেল ভাড়া ২০২৪ কত? তা অনেকেই জানতে চান। চলুন আজকে আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের হোটেল ভাড়া কত? এবং সেই সাথে কোন কোন হোটেলে আপনি উঠলে সবচাইতে ভালো হবে? সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লিলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রতি বছরই অনেক পর্যটক ঘুরতে আসে।
কেউ একা আসে, আবার কেউ পরিবারের সাথে আসে। এই সময় থাকার জন্য ভালো মানের হোটেল প্রয়োজন হয়। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আসল সৌন্দর্য দেখতে পাওয়ার জন্য আপনাকে একদিন বা দুইদিন থাকা লাগবে। আর এজন্য আপনার অবশ্যই হোটেল প্রয়োজন হবে। আজকে আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অনেকগুলো হোটেলের ঠিকানা এবং ভাড়া জানাবো যেগুলোতে আপনি নির্দ্বিধায় উঠতে পারেন।

Hotel Taz Kuakata
  • Mobile: 01756606865
  • Off Season:
  • Couple Bed: 1200/-Ac
  • Couple Bed: 800/- Non Ac
  • Double Bed: 1500/-Ac
  • Season:
  • Couple Bed: 3000/-Ac
Hotel New Sea Beach International
  • Mobile: 01327233096
  • Off season:
  • Couple Bed: 1500/-Ac
  • Couple Bed: 1200/- Non Ac
  • Double Bed: 1700/-Ac
  • Season:
  • Couple Bed: 3000/-Ac
  • Double Bed: 3500/-Ac
Hotel Grand Safa International
  • Mobile: 01314802629
  • Off Season:
  • Couple Bed: 2000/-Ac
  • Double Bed: 2500/-Ac
  • Season:
  • Couple Bed: 3000/-Ac
  • Double Bed: 4000/-Ac

উপরের ৩টি হোটেলের মধ্যে আপনার যেটা পছন্দ হবে আপনি সেটাতে উঠতে পারেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ ভাড়ার উপর ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে। উপরের দেওয়া প্রত্যেকটি ভাড়ায কম বেশি হতে পারে। আপনি চাইলে অনলাইনে অগ্রিম বুক দিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ দেখে আসতে পারেন।

কুয়াকাটার বিখ্যাত খাবার

কুয়াকাটার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। চলুন আজকে এই পর্বে আমরা কুয়াকাটার বিখ্যাত খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিই। কুয়াকাটার খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম খাবার হলো সী ফুড। এই সী ফুড মার্কেটটি কুয়াকাটা বিচের খুব নিকটে অবস্থিত।

এখানে আপনি নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছ দেখতে পাবেন। আপনি চাইলে এই মাছগুলো কিনে খেতে পারবেন। এই মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো টোনা ফিস, চিংড়ি, সামুদ্রিক কোরাল এবং অক্টোপাস ইত্যাদি। এই মাছগুলোকে আপনি চাইলে ফ্রাই করে খেতে পারবেন। শুনেছি তাদের তৈরি ফ্রাই করা মাছের স্বাদ অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।

এছাড়াও এই অঞ্চলের খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম খাবার হল ইলিশ মাছ এবং ইলিশ মাছ দিয়ে তৈরি নানা রকমের পদ। যেগুলো আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। আবার এখানে আরেকটি খাওয়ার জনপ্রিয় সেটি হচ্ছে শুঁটকি। আপনি কুয়াকাটা ঘুরতে গেলে সেখানকার শুঁটকিও ট্রাই করে দেখতে পারেন। এটি অনেক মজাদার হয়ে থাকে।

কুয়াকাটা ভ্রমণ গাইড

কুয়াকাটা ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে আমাদের জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই অল্প খরচের মাধ্যমে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে পারবো। তাই চলুন আজকে আমরা কুয়াকাটা কিভাবে যাওয়া যায় তার বিস্তারিত জেনে নিই। কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য সড়ক পথ অথবা নদীপথ আপনি বেছে নিতে পারেন। সড়ক পথে গেলে ঢাকায় অবস্থিত গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে অনেক বাস ছেড়ে যায়।
 
কুয়াকাটা-ভ্রমণ-গাইড
বাসগুলোর নাম হল সাকুরা পরিবহন, সুরভী পরিবহন। এসব বাসের ভাড়া ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার ভিতর হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি যদি এসি বাসে করে যেতে চান, তবে ভাড়া পড়বে ১০০০ টাকা। এছাড়াও আপনি চাইলে নদীপথেও যেতে পারেন। এজন্য আপনাকে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চে টার্মিনালে আসতে হবে। সেখান থেকে এসব লঞ্চ গুলো পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এসব লঞ্চগুলোর ভাড়া ৮০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। পটুয়াখালী পৌঁছে গিয়ে সেখান থেকে বাস, মোটরসাইকেল করে আপনি কুয়াকাটা পৌঁছে যেতে পারবেন। পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ১০৮ কিলোমিটার। পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা বাসে করে পৌছালে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকার মতো ভাড়া লাগবে। আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে পথটা আপনার জন্য ভালো হয় আপনি সেই পথেই রওনা দিতে পারেন কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে।

কুয়াকাটার বিখ্যাত কি

কুয়াকাটার বিখ্যাত কি? এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। চলুন আজকে আমরা কুয়াকাটা কেন বিখ্যাত বা কিসের জন্য বিখ্যাত তা জেনে নিই। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পাশেই ১০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। এছাড়াও এখানে ২০০ বছরের পুরনো দুটি কুপ রয়েছে। এই জায়গাটি বিখ্যাত হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এখানে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান রয়েছে। তবে কুয়াকাটার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

এই সৈকত দেখার জন্যই প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এখানে ভ্রমণ করতে আসে। ভ্রমণ করার পাশাপাশি তারা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও এখানকার আরো দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখে। এখানকার দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে রয়েছে ঝাউ বন, লাল কাঁকড়ার চর, লেবুর চর, তিন নদীর মোহনা ইত্যাদি। কুয়াকাটা বিখ্যাত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে প্রধান কারণ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

কুয়াকাটাকে সমুদ্র কন্যা বলা হয় কেন

কুয়াকাটাকে সমুদ্র কন্যা বলা হয় কেন? এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। চলুন আজকে আমরা কুয়াকাটাকে সমুদ্র কন্যা বলার পেছনে কারণ কি? তা জেনে আসি। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত সবচাইতে মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতের আকর্ষণীয় দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত।

হাজারো পর্যটকের কাছে এই সমুদ্র সৈকত অনেক প্রিয়। মূলত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের জন্য কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে সমুদ্র কন্যা হিসেবে বিবেচিত করা হয়। অনেক পর্যটকদের কাছে এটি সাগর কন্যা নামেও পরিচিত লাভ করেছে। প্রতিবছরই হাজার হাজার পর্যটক কুয়াকাটার এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এখানে এসে থাকে।

কুয়াকাটা যাওয়ার উপযুক্ত সময়

কুয়াকাটা যাওয়ার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন। চলুন আজকে আমরা কুয়াকাটা যাওয়ার সবচাইতে উপযুক্ত সময় কোনটা সেটা জেনে আছি। কুয়াকাটা নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। প্রতিবছরই দেশ-বিদেশের নানা মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। তবে সবসময়ই এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না।

কুয়াকাটা-যাওয়ার-উপযুক্ত-সময়
প্রতিবছরের অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সেইসাথে আরো উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত। আপনি যদি এই সময় আসার চেষ্টা করেন তবে আপনার জন্য তা ভালো হয়। এই সময়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আবহাওয়া অনুকূলে থাকে।
আপনি এই সময় আসলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের যে আসল সৌন্দর্য তা উপভোগ করতে পারবেন। আসার আগে অবশ্যই আপনি চাইলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের যাবতীয় হোটেল সম্পর্কে জেনে হোটেল বুক করে আসতে পারেন। এতে আপনার জন্য সুবিধা হবে।

কুয়াকাটাকে ভার্জিন বিচ বলা হয় কেন

কুয়াকাটাকে ভার্জিন বিচ বলা হয় কেন? এই সম্পর্কে অনেকের প্রশ্ন করেন। চলুন আজকে আমরা  কুয়াকাটাকে ভার্জিন বিচ বলা হয় কেন? সে সম্পর্কে জেনে আসি। প্রতিবছরই হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত মুখরিত হয়ে থাকে। সেই সাথে আপনি এখানে দেখতে পারবেন সারি সারি নারকেল গাছ।

এছাড়াও আপনি যদি শীতকালে এখানে ঘুরতে আসেন তাহলে অতিথি পাখিদের কিচির মিচির উপভোগ করতে পারবেন এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নানা প্রজাতির পাখি দেখতে পারবেন। এছাড়াও আরো দেখতে পারবেন বড় বড় পাহাড়, মাছ ধরার জন্য ট্রলার, বড় বড় নৌকা। আবার দেখবেন এই নৌকাগুলো রঙিন পাল তুলে বঙ্গোপসাগরে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে।

এছাড়াও লক্ষ্য করতে পারবেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অবিরাম জোয়ার ভাটা। এই জোয়ার ভাটা একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর হয়ে থাকে। আর এ সকল বিষয়গুলোর কারণেই কুয়াকাটা কে একটি ভার্জিন বিচ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এছাড়াও কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ আপনার ভ্রমণ তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে জেনে এসেছি এবং সেইসাথে আরো জেনেছি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে বিস্তারিত। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচাইতে আকর্ষণীয় জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম। যারা প্রকৃতিপ্রেমী তাদের জন্য কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হতে পারে সবচাইতে আদর্শ জায়গা।

বছরের পর বছর মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। দেশের ভিতর থেকে যেমন মানুষ আসে ঠিক তেমনি দেশের বাইরে থেকেও নানা বিদেশি এখানে ঘুরতে এসে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছে। এছাড়াও আপনি যদি কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ ঘুরে দেখেন তাহলে আরো বিমোহিত হতে পারবেন। উপরের আলোচনাতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

আপনারা এইসব তথ্য জেনে আপনারাও ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অফার লীলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে। আমি উপরের আলোচনায় কুয়াকাটা গিয়ে কোথায় থাকবেন? কি খাবেন? সবগুলোই আলোচনা করেছি। আপনারা এসব আলোচনা ভালো ভাবে পড়ে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url