হাঁটু ব্যথার ব্যায়াম কিভাবে করা যায় জানুন গুরুত্বপূর্ণ ৬টি পদ্ধতি

হাঁটু ব্যথার ব্যায়াম করার মাধ্যমে হাটু ব্যাথার সমস্যা থাকে মুক্তি পাওয়া যায়। হাঁটু ব্যথার জন্য অনেক ধরনের ব্যায়াম রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ, সাঁতার কাটা, হাঁটাহাঁটি করা, কাপ স্ট্রেচ, তাই চি ইত্যাদি।

হাঁটু-ব্যথার-ব্যায়াম
হাঁটু ব্যথার ব্যায়াম গুলো কিভাবে করতে হয়? সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে নিজের দেওয়া লেখা গুলি খুব যত্ন সহকারে পড়তে হবে। তাহলেই মূলত আপনি হাঁটু ব্যাথার যাবতীয় ব্যায়াম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ হাঁটু ব্যথার যাবতীয় কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন

হাঁটু ব্যথার ব্যায়াম করার পদ্ধতি

হাঁটু ব্যথার ব্যায়াম কিভাবে করা যায়? এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। চলুন আজকে আমরা হাঁটু ব্যথার যতগুলো ব্যায়াম আছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা নিয়ে আসি। হাঁটু ব্যথা নিরাময়ে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমান সময়ে হাঁটু ব্যাথা প্রায়ই কম বেশি সবারই হতে দেখতে পাওয়া যায়।

জয়েন্টের সমস্যার কারণে কিংবা হাড়ের ক্ষয়জনিত কারণে হাঁটু ব্যথা হয়ে থাকে। আর এই হাঁটু ব্যথা নিরাময়ের জন্য সবচাইতে কার্যকরী সমাধান হলো ব্যায়াম করা। চলুন আজকে আমরা ৬টি ব্যায়াম করার পদ্ধতি জানি, যার মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথার সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে।

  1. স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ ব্যায়াম করার মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা দূর করা যায়। এ ধরনের ব্যায়াম করার ফলে হাড় ও পেশীর জোর শক্তিশালী হয়। যার ফলে হাঁটুর ব্যথা কমে থাকে। দিনে অন্ততপক্ষে ১৫ মিনিট এ ব্যায়াম করুন। আশা করি হাঁটু ব্যথা কমে যাবে।
  2. সাঁতার কাটার মাধ্যমেও হাঁটু ব্যথার ব্যায়াম হয়ে থাকে। আপনি যদি এই ব্যায়াম প্রতিদিন করে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের প্রত্যেকটা অংশেরই ব্যায়াম হয়। সাঁতার কাটার ফলে দেহের সমস্ত পেশী ও জয়েন্ট সক্রিয় থাকার ফলে ব্যায়াম হয়ে থাকে। এজন্য আপনি দিনে অন্ততপক্ষে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সাঁতার কাটুন। এর ফলে আপনার হাঁটু ব্যথার সমস্যা দূর হবে।
  3. হাঁটার মাধ্যমেও ব্যায়াম হয়ে থাকে। আপনি নিয়মিত ৩০ মিনিট করে হাঁটুন। এর ফলে আপনার হাঁটু ব্যথা খুব সহজেই কমে যাবে। হাঁটার ব্যায়াম করার ফলে শরীর থাকে সুস্থ। তাই আপনাকে হাঁটু ব্যথা কমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়ম মেনে হাঁটতে হবে।
  4. তাই চি ব্যায়াম করার মাধ্যমে হাটু ব্যথার ব্যায়াম হয়ে থাকে এই ব্যায়াম নিয়মিত করার ফলে হাঁটু ব্যথা সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে এজন্য নিয়মিত তাই চি ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন
  5. চেয়ারে বসে কাপ স্ট্রেচ ব্যায়াম করার মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা কমানো যায়। এজন্য আপনাকে প্রথমে চেয়ারে লম্বা হয়ে বসতে হবে। এবার আপনার পায়ের পাতায় একটি বেল্ট পেঁচিয়ে হাত দিয়ে ধরে নিন। তারপর সেই বেল্টের মাধ্যমে পায়ের গোড়ালি টানুন। এরপর আস্তে আস্তে কাফ মাসল এরিয়াতে স্ট্রেচ বৃদ্ধি করুন। এভাবে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখার পর ছেড়ে দিন। ঠিক অন্য পায়ে একইভাবে ট্রেচ করুন। এই ব্যায়াম নিয়মিত করার ফলে হাঁটুর ব্যথা কমে আসবে।
  6. দাঁড়িয়ে কোয়াড স্ট্রেচ করার মাধ্যমেও হাঁটুর ব্যায়াম করা যায়। এজন্য আপনাকে প্রথমে একটি টেবিলেকে ধরে এক পায়ে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। আর অন্য পা ভাঁজ করে কোমরের কাছাকাছি নিয়ে এসে একই পাশের থাকা হাত দিয়ে আপনার গোড়ালিকে ধরতে হবে। এরপর মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ান। সামনের দিকে ঝুঁকে যাবেন না। তারপর পায়ের গোড়ালিকে হাত দিয়ে কোমরের দিকে চেপে ধরুন। যতক্ষণ না পর্যন্ত উরুর সামনে টান অনুভব করা যাচ্ছে। এভাবে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। তারপর ছেড়ে দিন। একইভাবে অন্য পাটাকেও এভাবে ব্যবহার করুন। আর এই ব্যায়াম করার মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা খুব সহজে কমে যাবে।

হাঁটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার

হাঁটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। চলুন আজকে আমরা হাঁটু ব্যথার সম্ভাব্য কারণগুলি এবং এর প্রতিকারগুলো ভালোভাবে জেনে নিই। তাহলেই আমরা হাঁটু ব্যথার কারণ গুলো জানতে পারবো এবং সেই সাথে এখান থেকে মুক্তির উপায় গুলো দেখে নিতে পারবো।

হাঁটু ব্যথার কারণঃ

  • অনেক রোগের কারণে হাঁটুতে ব্যাথা হয়।
  • ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে হাঁটুতে ব্যাথা হতে পারে।
  • অনেক দূর পর্যন্ত দৌড়ানোর ফলে হাঁটুর ব্যাথা হতে পারে।
  • বয়সজনিত অস্থিসন্ধির ক্ষয়ের ফলে হাঁটু ব্যাথা হয়ে থাকে।
  • হাঁটুর লিগামেন্টে আঘাত পাওয়ার ফলে হাঁটু ব্যাথা হয়ে থাকে।
  • অস্থিসন্ধির মাঝে দূরত্ব কমে গেলে হাঁটু ব্যাথা হয়ে থাকে।
  • শারীরিক ওজন বেশি থাকার কারণে হাঁটু ব্যাথা হয়ে থাকে।
  • বাত সহ নানা অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়ে থাকে।
হাঁটু ব্যথার প্রতিকারঃ
  • ব্যথা অবস্থায় হাঁটুকে বিশ্রাম দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা কম করার চেষ্টা করতে হবে।
  • নিয়মিত হাঁটার চেষ্টা করতে হবে।
  • শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশ যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
  • হাঁটুর সমর্থনকারী পেশী গুলোকে শক্তিশালী করার জন্য সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি ব্যায়ামগুলো বেশী বেশী করতে হবে।

হাঁটুর ব্যাথা সারানোর খাবার

হাঁটুর ব্যাথা সারানোর খাবার সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। চলুন আজকে আমরা হাঁটুর ব্যাথা হলে সে সময় কি কি খাবার খাওয়ার মাধ্যমে হাঁটু ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? চলুন সেই সম্পর্কে জেনে আসি। বর্তমান সময়ে হাঁটুর ব্যথা একটি বড় সমস্যা। অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। কোথাও বসলে সহজে উঠতে পারেন না।

আবার উঠে গেলে বসতে পারছেন না। এরকম সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলো আপনি চাইলে কিছু খাবার খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই দূর করতে পারেন। এজন্য আপনি রসুন খেতে পারেন। কেননা রসুন এ অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে। যেটি শরীরের ব্যথা-যন্ত্রণা দূর করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। যাদের গাঁটের ব্যথা রয়েছে তারা যদি রসুন খায় তাহলে তাদের এই ব্যথা দূর হবে। এজন্য গরম ভাতের সাথে এক কোয়া রসুন খান।

এটি আপনার জন্য উপকারিতা বয়ে আনবে। আখরোট আর কাঠবাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে হাঁটু ব্যথা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এছাড়াও হাঁটুর ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আদা নানা স্বাস্থ্য গুনে গুণান্বিত। এটি খাওয়ার ফলে হাঁটু ব্যথা থেকে শুরু করে শরীরের নানা অংশের ব্যথা নিরাময় করা সম্ভব হয়।

হাঁটু ভাঁজ না হওয়ার কারণ

হাঁটু ভাঁজ না হওয়ার কারণ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। চলুন আজকে আমরা জেনে আসি হাঁটু কি জন্য ভাঁজ হতে চায় না? ভাঁজ না হওয়ার কারণ কি? হাঁটু ভাঁজ না হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ দায়ী। মূলত এই কারণগুলোর জন্যই হাঁটু ভাঁজ হয় না। হাটু ভাঁজ না হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হলো দৌড়ানো বা হাঁটা। আপনি যদি খুব বেশি দৌড়ান বা হাঁটেন তাহলে আপনার হাঁটু ভাঁজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়াও দুর্বল উড়ুর পেশীর কারণেও হাঁটু ভাঁজ হয়ে থাকে। হাঁটু ভাঁজ হওয়ার পেছনে আরেকটি কারণ হলো শক্ত হ্যামস্ট্রিং। এছাড়াও টাইট অ্যাকিলিস টেন্ডনের কারণেও হাঁটু ভাঁজ হয়ে থাকে। হাঁটুতে আঘাত বা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেও হাঁটু ভাঁজ হয়ে থাকে। মূলত এসব কারণগুলোর জন্যই হাঁটু ভাঁজ হয়ে থাকে।

হাঁটু ব্যথায় ঘুমানোর উপায়

হাঁটু ব্যথায় ঘুমানোর উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। চলুন আজকে আমরা হাঁটু ব্যথার সময় কিভাবে আপনি ঘুমালে আরাম পাবেন তা জেনে আসি। আমাদের অনেক সময় হাঁটুতে ব্যাথা হয়ে থাকে। যার ফলে ঠিকমতো ঘুমানো সম্ভব হয় না। এজন্য অনেকে এই সময় অনেক কষ্টে থাকে।

হাঁটু-ব্যথায়-ঘুমানোর-উপায়
হাঁটু ব্যাথার সময় আপনি যদি আপনার পিঠে, হাঁটুর নিচে বালিশ রেখে ঘুমার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার ঘুম সবচাইতে ভালো হবে। এছাড়াও আপনি যদি আপনার মেরুদন্ডকে আরো ভালোভাবে সারিবদ্ধ করতে চান, তবে ঘাড়ে বালিশ বা ঘাড়ের নিচে তোয়ালে দিয়ে ঘুমাতে পারে।
এতে করে আপনি সাময়িকভাবে আরাম পাবেন। হাঁটু ব্যথা অবস্থায় ঘুমানোর সময় আপনি চাইলে এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি হাঁটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার গুলো ভালোভাবে জেনে থাকেন, তবে হাঁটু ব্যাথা সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে থাকবেন।

হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় জানুন

হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। চলুন আজকে আমরা হাঁটুর ব্যথা নিরাময়ের জন্য কি কি ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করলে হাঁটু ব্যথা থেকে মুক্তি পাবো? সেই উপায়গুলো জেনে আসি।

  1. হাঁটুর ব্যাথা দূর করার জন্য আপনার হাঁটুর যেখানে ব্যথা হচ্ছে সেখানে বরফের টুকরা দিয়ে তা পাতলা একটা তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিন। এভাবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখুন। এটি যদি দিনে ২থেকে ৩ বার করা যায়, তবে হাঁটু ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
  2. একটা কাপ নেন। তারপর সেখানে গরম অলিভ ওয়েল এর সাথে দুই চামচ মরিচের গুড়া মিশিয়ে দিন। এই দুইটা উপকরণকে মিশ্রিত করে হাঁটুর ব্যথা জায়গায় মাসাজ করুন। আপনি যদি সপ্তাহে ২ দিন এই মাসাজটা করেন, তাহলে আপনার হাঁটু ব্যথা কমে যাবে।
  3. হাঁটু ব্যথার জন্য অতিরিক্ত ওজন দায়ী। এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে থাকুন। যে ব্যায়ামগুলো করলে ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে, সেই ব্যায়ামগুলো করুন।
  4. গরম জলের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটুর যে জায়গাটাতে ব্যথা হচ্ছে, তা গরম জলে ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে দিনে ২-৩ বার করলে হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
  5. হাঁটুর ব্যাথা নিরাময়ের জন্য প্রতিদিন চা খাওয়ার সময় চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খাওয়া চেষ্টা করুন। এতে করে হাঁটুর ব্যথা কমে যাবে।
  6. হাঁটুর ব্যাথা দূর করার জন্য হাঁটা চলাফেরা করুন। এই সময় কঠিন ব্যায়ামের দরকার নেই। ধীরে-সুস্থে  এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরাঘুরি করুন। তাহলে আপনার হাঁটুর ব্যাথা কমে যাবে।

হাঁটুর ব্যাথা কেন হয় 

হাঁটুর ব্যাথা কেন হয়? এই সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছেন। চলুন আজকে আমরা হাঁটু ব্যাথা কি জন্য হয়ে থাকে? হাঁটু ব্যথা হওয়ার পিছনে কারণ কি? এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর জেনে আসি। আজকাল অনেকেরই হাঁটুর ব্যথা হয়ে থাকে। আর এর ফলে ঠিকমতো বসতে পারে না। আবার বসতে পারলেও ঠিকমতো দাঁড়াতে পারে না।

এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্যা গুলোর  কারণে হাঁটুতে ব্যাথা হয়ে থাকে। মূলত অস্থিসন্ধির ক্ষয়ের ফলে হাঁটু ব্যাথা সমস্যাটা সবচাইতে বেশি দেখা যায়। বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সাধারণত যাদের বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছর তাদের হাড় ক্ষয়ের প্রবণতা অনেক আংশেই বৃদ্ধি পায়। যার কারণে তাদের হাঁটু ব্যাথা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ওজন থাকার কারণে হাঁটুতে অধিক চাপ সৃষ্টি হয়।

যার ফলে হাঁটুর ক্ষয়ের মাত্রা বহু গুনে বেড়ে যায়। এছাড়াও মাংসপেশী দুর্বল থাকার কারণে হাঁটুর সন্ধিকে স্বাভাবিক স্থানে ধরে রাখা সম্ভব হয় না। যার কারণে ঘর্ষণ বেশি হয় এবং এর ফলে ক্ষয়ও বেশি হয়ে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে হাটু ব্যথা হয়ে থাকে। অনেক সময় আঘাতজনিত কারণে হাঁটুতে ব্যাথা হয়ে থাকে। এসব কারণগুলোর ফলেই হাঁটুতে ব্যাথা হয়ে থাকে।

হাঁটুর শক্তি কমে যাওয়ার কারণ কি

হাঁটুর শক্তি কমে যাওয়ার কারণ কি? এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। চলুন আজকে আমরা হাঁটুর শক্তি কমে যাওয়ার কারণ গুলো কি কি বা কিসের জন্য হাঁটুর শক্তি কমে যায়? তা ভালোভাবে জেনে নিই। লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে হাঁটুর শক্তি কমে যায়। এই লিগামেন্ট গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে হাঁটুর শক্তি কমে যায়।

হাঁটুর-শক্তি-কমে-যাওয়ার-কারণ-কি
বয়স যখন বাড়ে তখন তরুণান্থি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সেইসাথে ছিড়েও যেতে পারে। আর এর ফলে হাঁটুতে দুর্বলতা সৃষ্টি হয়। হাঁটুর শক্তি কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো প্লিকা সিন্ড্রোম। এটি হাঁটুর জয়েন্ট এর অভ্যন্তরীণ থেকে আবির্ভাব হয়। এটির ফলে হাঁটুতে ব্যাথা ও দুর্বলতার সৃষ্টি হয়। আর এই কারণগুলোর জন্যই মূলত হাঁটুর শক্তি কমে যায়।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা হাঁটু ব্যথার ব্যায়াম কিভাবে করা যায়? সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি এবং সেই সাথে আরো জেনেছি হাঁটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার। এইসব তথ্যগুলো আমরা যদি আমাদের জীবনে প্রয়োগ করতে পারি। তাহলে হাঁটু ব্যথার কারণ থেকে শুরু করে এটি নিরাময়ের জন্য যতগুলো ঘরোয়া উপায় আছে সবগুলো জানার মাধ্যমে আমরা উপকৃত হতে পারবো। হাঁটু ব্যথার ব্যায়াম করার ফলে হাঁটুর ব্যথা কমে আসবে।

আপনি যদি হাঁটুর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম গুলি না জেনে থাকেন তাহলে তা ভালোভাবে জেনে নিন। কেননা এটি আপনার হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য অনেক কাজে আসবে। হাঁটুর ব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে এবং আমরা যদি ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি না করে এই ঘরোয়া উপায়গুলো অবলম্বন করি, তাহলে খুব সহজেই এখান থেকে মুক্তি পেতে পারবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url