ব্যায়াম করার ৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ব্যায়াম করার ৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। ব্যায়াম করার
উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই আমাদের শরীরের যত্ন নিতে
পারবো। আমাদের শরীরের জন্য ব্যায়াম করা অনেক উপকারী।
ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো বিস্তারিতভাবে জানতে হলে নিচের
দেওয়া লেখা গুলি খুব যত্ন সহকারে পড়তে হবে। তাহলেই আমরা ব্যায়াম করার উপকারিতা
ও অপকারিতা সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানতে সক্ষম হবো।
সূচিপত্রঃ ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতার যাবতীয় গুণাবলী জেনে নিন
- ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
- শারীরিক ব্যায়ামের উপকারিতাগুলো দেখুন
- গতি বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা জানুন
- নমনীয়তা বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা কি
- প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয়
- শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা জেনে নিন
- যোগ ব্যায়াম এর উপকারিতাগুলো কি কি
- দম বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা দেখে নিন
- মুখের ব্যায়ামের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
- লেখকের শেষ কথা
ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা অতীব জরুরী। কেননা একটি মানুষের দেহকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়ামের উপকারিতা জানা
প্রয়োজন এবং সেই সাথে ব্যায়ামের অপকারিতাও জানা প্রয়োজন। চলুন আজকে আমরা
ব্যায়াম করার ৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ব্যায়াম করার উপকারিতা
- ব্যায়াম করার ফলে রোগ প্রতিরোধ হয়ে থাকে। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যার কোন রোগ নেই। প্রত্যেকটা মানুষেরই একেকজনের একেকরকম রোগের শিকার।আর এই রোগকে নির্মূল করতে পারে একমাত্র ব্যায়াম।ব্যায়াম করার ফলে বড় বড় রোগ যেমন হৃদরোগ, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- ব্যায়াম করার ফলে মন চাঙ্গা হয়। কেননা আমরা যখন ব্যায়াম করি তখন নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ আমাদের মস্তিষ্ক থেকে নির্গত হয়ে যায়। এসব রাসায়নিক উপাদান আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে শান্তি ও মানসিক প্রশান্তি এনে দেই।এছাড়াও এসব রাসায়নিক উপাদান আমাদের চেহারাকে লাবণ্য ও উজ্জ্বলময় করে তোলে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই।ব্যায়াম করার মাধ্যমেই আমাদের শরীরের বাড়তি যত মেদ রয়েছে সবকিছু ঝরে পড়ে যায়। আমরা যদি নিয়মিত ব্যায়াম করি তাহলে ক্যালোরি খরচ হয়। আর আমরা যতই ব্যায়াম করব তত পরিমাণে ক্যালোরি খরচ হবে।এতে করে খুব সহজেই আমাদের শরীরের ওজন কমে যাবে।
- ব্যায়াম করার ফলে কাজের শক্তি বাড়ে। দেখেন আপনি যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থই না থাকেন তাহলে আপনি কোন কাজই মনোযোগ দিতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করার ফলে যেটা হবে শরীরের প্রতিটি কোষে অতিরিক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে যাবে। ব্যায়াম করার ফলে শরীরে সুস্থ প্রাণস্পন্দন ও উদ্দীপনা তৈরি হওয়ার ফলে কাজের শক্তি বাড়বে।
- ব্যায়াম করার ফলে সুন্দর ঘুম হবে। কেননা আপনি খেয়াল করে দেখেছেন কিনা শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত থাকলে খুব ভালো ঘুম হয়। তাই যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, ঠিকমতো ঘুম হয় না, তাদের ব্যায়াম করতে হবে।
- ব্যায়াম করার ফলে শরীরের নমনীয়তা বৃদ্ধি হয়। আপনি জানেন কিনা আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মাংসপেশী নমনীয় হওয়া খুবই জরুরী। তাহলে যেটা হবে ছোটখাটো আঘাতে ভেঙে যাওয়ার কোনো ঝুঁকি থাকবে না।
- নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল অনায়াসে বেড়ে যায়। আর এর ফলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। আর এজন্যই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
ব্যায়াম করার অপকারিতা
- আপনি যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে বুঝতে পারেন যে আপনার শরীর ক্লান্ত। তাহলে আপনাকে বিশ্রাম নিতে হবে। এ সময় আপনার ব্যায়াম করা উচিত হবে না।
- অতিরিক্ত ব্যায়াম করার ফলে রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। খুব অস্থিরতার মধ্যে রাত কাটে। তাই আপনাকে নিয়ম মেনে ব্যায়াম করতে হবে।
- অতিরিক্ত পরিশ্রম করার ফলে শরীরে দ্বিধা, উদ্বেগ এবং রাগের মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
- অতিরিক্ত ব্যায়াম করার ফলে হৃদরোগ এবং স্টোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অতিরিক্ত ব্যায়াম করা থেকে দূরে থাকতে হবে।
- আপনার যদি অনেক বেশি ওজন থাকে এবং সপ্তাহে যদি আপনি অনেকবার ব্যায়াম করেন, তবে সংযোগস্থলে আঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অতিরিক্ত পরিশ্রম করার ফলে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। আর এতে করে সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি কাজে শক্তি কম পাওয়া যায়।
- অতিরিক্ত ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এতে করে রক্তচক্রের অনিয়ম শুরু হয় এবং এর প্রভাবে অস্টিওপোরোসিস নামক রোগের আবির্ভাব হতে পারে।
শারীরিক ব্যায়ামের উপকারিতাগুলো দেখুন
শারীরিক ব্যায়ামের উপকারিতাগুলো চলুন আমরা দেখে আসি। শারীরিক ব্যায়াম শারীরিক
সুস্থতা রক্ষা করতে কাজ করে থাকে। শারীরিক ব্যায়ামের অনেক
উপকারিতা রয়েছে।যেমন ধরেন মাংসপেশী ও সংবহনতন্ত্রকে সচল করার জন্য
শারীরিক ব্যায়াম করা হয়। শারীরিক ব্যায়াম ওজন কমানোর জন্য
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত শারীরিক
ব্যায়াম করেন, তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক আংশেই বৃদ্ধি পাবে।
যাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা রয়েছে তারা আরোগ্য লাভ করবে। শারীরিক ব্যায়াম
করার মাধ্যমে হৃদরোগ, সংবহনতন্ত্রের জটিলতা, ডায়াবেটিকস ইত্যাদি সমস্যা থেকে খুব
সহজে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। মানসিক অভাবগ্রস্ততা দূর করতে শারীরিক
ব্যায়ামের উপকারিতা পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। যারা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান
করে থাকেন, তারা শারীরিক ব্যায়ামকে অলৌকিক এবং আশ্চর্যজনক ওষুধ হিসেবে মনে করে
থাকেন।
গতি বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা জানুন
গতি বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা কি? সেই সম্পর্কে আমরা কেউই জানি না। চলুন আজ এই
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি। আমাদের দেহের যাবতীয় রোগ থেকে রক্ষা করতে এটি কাজ
করে থাকে। সহনশক্তি বাড়াতেও এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার মন ভালো
নেই, এখন আপনি কি করবেন? এখন আপনি আপনার মনকে চাঙ্গা করার জন্য ব্যায়াম করার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন।
এছাড়াও আপনি কি অতিরিক্ত মেদ নিয়ে চিন্তিত? আপনি এই সময় গতিবিদ্ধির
ব্যায়াম করতে পারেন। এটি করার ফলে অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে। ব্যায়াম করার ফলে
শরীরে শক্তি সঞ্চার হয়। এর ফলে আপনি যে কোন কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন। আবার গতি
বৃদ্ধি ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার শরীরের নমনীয়তা বৃদ্ধি করতে এটি দারুন কার্যকরী
হবে। এছাড়াও আপনি শারীরিক ব্যায়ামের উপকারিতা ও উপকারিতা গুলোও জেনে নিতে
পারেন।
নমনীয়তা বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা কি
নমনীয়তা বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা কি? এ সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানার
ইচ্ছা। চলুন সে সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে আসি। নমনীয়তা
বৃদ্ধি ব্যায়ামের মাধ্যমে আহত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। শরীর সক্রিয় রাখতে নমনীয়তা ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে নমনীয়তা ব্যায়াম করা উচিত। নিয়মিত নমনীয়তা ব্যায়াম করার হলে পেশীর ভারসাম্য বজায় থাকে এবং শরীরের
ভঙ্গিমা উন্নত হতে এই ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
আমাদের শরীরের পিছনের পেশীগুলির শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। এই
ব্যায়াম যাদের মানসিক স্বাস্থ্য কম তাদের এটি বাড়াতে নমনীয়তা ব্যায়াম
করা অতীব জরুরী।
প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয়
প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয়? প্রতিদিন ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন। এতে করে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। সব রকমের মানুষের ব্যায়াম করা প্রয়োজন। কেননা এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে
যাদের বয়স ৬০ এর উপর তারা যদি সপ্তাহে পাঁচ দিন নিয়মিত ব্যায়াম করেন তবে তারা
মাসে যত টাকা ওষুধের পেছনে খরচ করেন তা আর করা লাগবে না। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।
আবার একজন মানুষ যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করে তবে মাংসপেশী, হাড় তার শক্ত হয়ে
যাবে। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তবে যত ভয়াবহ অসুখ হোক না কেন যেমন
ধরেন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে সহজেই। আমরা আরেকটি অসুখ এর কথা বলবো
যেটি গোটা বিশ্বেই বেড়ে চলেছে সিটি হলো ডায়াবেটিস। এসব রোগীরা যদি প্রতিদিন
নিয়ম মেনে ব্যায়াম করে। তবে রক্তের গ্লুকোজ লেভেল অনেকটা পরিবর্তন হয়ে
যাবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শরীরে রক্ত চলাচল সচল থাকবে।তাই আমাদের ব্যায়াম করার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। এতে করে আমাদের মন সজিব ও
প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা জেনে নিন
শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা অনেক বেশি হয়ে থাকে।আমরা কিভাবে শক্তি বৃদ্ধি ব্যায়াম করবো চলুন জেনে আসি।ভারউত্তোলন শক্তি বৃদ্ধি ব্যায়ামের একটি মাধ্যম।আরও যেসব ব্যায়াম রয়েছে শক্তি বৃদ্ধির চলুন সেগুলো জানি।ডাম্বেল হাত দিয়ে তুলে উপরে নিচে করার মাধ্যমে শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম করা
যায়। পুষ আপ ব্যায়াম করেও আপনি
শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম করতে পারেন। এজন্য ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা জানা প্রয়োজন।
শক্তি বৃদ্ধি ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের বাড়তি মেদ কমে যাবে। এছাড়াও আপনি শক্তি বৃদ্ধিব্যায়াম করার মাধ্যমে যেটা সুবিধা পাবেন তা হলো
আপনার শরীর মন চাঙ্গা হবে। শরীর
সুস্থ রাখার জন্য শক্তি বৃদ্ধি ব্যায়াম নানাভাবে সাহায্য করে।
যোগ ব্যায়াম এর উপকারিতাগুলো কি কি
যোগ ব্যায়াম এর উপকারিতাগুলো দেখুন। যেমন ধরেন, আপনি যদি যোগ ব্যায়াম করেন তবে পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র,
বিহদান্ত্র,যকৃত ইত্যাদি সচল থাকবে। যেসব রোগীদের হজম শক্তি কম তাদের হজম শক্তির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় না তাদের যোগ ব্যায়াম করার মাধ্যমে তা দূর
হবে। যোগ ব্যায়াম হচ্ছে একটি
প্রাচীন পদ্ধতি। আমাদের শরীরের
জন্য কতটা উপকারী চলুন আমরা জানি।
মানুষের দেহ, মন ও এনার্জি বা শক্তি এই তিনটির উপর ভর করেই আমাদের শরীর সচল
থাকে। এই তিনটিকেই সচল রাখতে যে
ব্যায়াম ভূমিকা রেখে থাকে তা হল যোগ ব্যায়াম। একজন মানুষ যদি নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করে তবে রোগমুক্ত ও সুস্থ শরীর
পেয়ে থাকবে। যোগ্য ব্যায়াম এমন
আরেকটি উপকারিতা আছে যেটি আপনার জন্য জানা খুবই জরুরী। এটি করার মাধ্যমে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মন শান্ত হয়ে যাবে।
যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে চোখ, কান, নাক ইত্যাদি আরোগ্য লাভ করে থাকে। কারণ এই ব্যায়ামের মাধ্যমে মস্তিষ্ক শুদ্ধ রক্ত পেয়ে থাকে। তাই আমাদের শরীরকে ভালোভাবে পরিচালনার জন্য যোগ্য ব্যায়াম করা দরকার।
দম বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতা দেখে নিন
দম বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপকারিতার ফলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। কারণ দম বৃদ্ধি ব্যায়ামের অন্য নাম হলো শ্বাস-প্রশাসের
ব্যায়াম। এটি রিলাক্সিয়েসন
এক্সারসাইজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ব্যায়াম করার ফলে শরীরে নিউরোকেমিক্যাল নিঃসণ হয়ে থাকে। এই ব্যায়াম করার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমে যায়। আমরা যখন গভীর ভাবে শ্বাস নেই তখন আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন
নিঃসণ বেড়ে যায়।
এছাড়াও উদ্বেগ, রাগ, দুশ্চিন্তা করার সময় আমরা স্বাভাবিকভাবেই যখন
শ্বাস নেই তখন এইগুলো খুব সহজেই দূর হয়ে যায়।আমাদের শরীর অনেক সময় চাপমুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে। এই সময় আমাদের যেটা করা প্রয়োজন প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশ মিনিট শ্বাস-প্রশ্বাস
ব্যায়াম করা। দম বৃদ্ধি
ব্যায়াম করার ফলে যেটা হবে হজমের পক্ষে এটা অনেক বেশি সহায়ক হবে।এছাড়াও রক্ত পরিষ্কার করতে আপনি দম বৃদ্ধি ব্যায়াম করতে পারেন।
মুখের ব্যায়ামের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
মুখের ব্যায়ামের উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নিই। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য
অন্যান্য ব্যায়ামের পাশাপাশি মুখের ব্যায়ামমেরও
প্রয়োজন রয়েছে। চলুন এবার আমরা মুখের ব্যায়ামের
কার্যকারিতা জেনে আসি। মুখের ব্যায়াম করার ফলে মাংসপেশী গুলোর
কার্যক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব হয়।আপনি মুখের ব্যায়াম করার ফলে
সতেজ ত্বক পেতে পারেন খুব সহজেই। মুখের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতেও কার্যকরী
ভূমিকা রাখে।
এই ব্যায়ামটি নিয়মিত করার ফলে মুখের পাশাপাশি মস্তিষ্কে লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে মানসিক চাপ কমে আসে। খুব সহজে আরো একটি উপকারিতা রয়েছে। বলিরেখা দূর করতে মুখের ব্যায়ামে ভূমিকা পালন করে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে মুখের চামড়া নিস্তেজ হতে থাকে। এটি সতেজ করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো মুখের ব্যায়াম করা।আমাদের উচিত নিয়মিত নিয়ম মেনে ব্যায়াম করা। তাহলে আমরা নানাভাবে উপকৃত হতে পারবো।
লেখকের শেষ কথা
পরিশেষে আমি বলতে পারি যে ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা থাকলে
সেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। উপরের আলোচনায় আমরা বিভিন্ন প্রকার ব্যায়ামের উপকারিতা জানলাম। এগুলো একজন ব্যক্তি যদি তার জীবনে প্রয়োগ করে থাকে। তবে সেও উপকারিতা পাবে। সতেজ ত্বক পেতে মুখের ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের প্রয়োজন প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশ মিনিট শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যায়াম
করা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় না তাদের যোগ ব্যায়াম করা প্রয়োজন।যে ব্যায়ামগুলো নিয়ে আলোচনা
করা হয়েছে সেগুলোর সবগুলোই অত্যন্ত কার্যকরী। এই ব্যায়ামগুলো
অবশ্যই যেমন তেমনভাবে মেনে চললে হবে না। এই ব্যায়ামগুলো একটি
নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে হবে। তাহলে অনেক উপকারিতা পাওয়া
যাবে।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url